৮ মাসের বেতনসহ ফেডারেল কর্মীদের চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব দিল ট্রাম্প প্রশাসন
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং সংস্কারের লক্ষ্যে ফেডারেল কর্মীদের পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে ৮ মাস বেতন দেওয়া হবে। খবর বিবিসির
এবিষয়ে সরকারের প্রায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। তাঁরা 'বিলম্বে পদত্যাগের' এই কর্মসূচির অংশ হতে চান কিনা— সেবিষয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। রাজী হলে সেপ্টেম্বরের শেষে তাঁদের চাকরি ছাড়ার সর্বশেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
ই-মেইলটি যারা পেয়েছেন— তাঁদের অনেকেই এটি কীভাবে কার্যকর করা হবে সেবিষয়ে নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মানবসম্পদ বিষয়ক সংস্থা– অফিস অব পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট (ওপিএম) এই পরিকল্পনার একটি রূপরেখা দিয়েছে। এতে বলা হয়, যারা প্রস্তাবটি গ্রহণ করবেন– তাঁদেরকে আর চাকরি করতে হবে না, তবে কিছুক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে।
পূর্ণকালীন চাকরিরত ফেডারেল সরকারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য এই প্রস্তাব প্রযোজ্য হবে। তবে এর আওতামুক্ত থাকবেন ডাককর্মী, সামরিক বাহিনীর সদস্য, অভিবাসন কর্মকর্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কয়েকটি টিম।
এছাড়া যারা চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেবেন– তাঁরা আরেকটি ছাড় পাবেন। ট্রাম্প সরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার বদলে অফিসে এসে কাজের শর্ত দিয়েছেন। পদত্যাগ করা কর্মীরা তাঁদের আগের নিয়োগচুক্তির বাকি সময়টুকুতে দায়িত্ব পালনের সময় এই শর্ত থেকে রেহাই পাবেন। অর্থাৎ, বাড়ি থেকেও অনলাইনে কাজ করতে পারবেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেছেন, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারের ১০ হাজার কোটি ডলার সাশ্রয় হতে পারে।
অফিস অব পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট (ওপিএম) তাদের পাঠানো প্রস্তাবটিতে আরও জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি চাকরিতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। যার অংশ হিসেবে বেশিরভাগ কর্মীকে সপ্তাহে পাঁচদিন নিজ দপ্তরে এসে কাজ করতে হবে।
করোনা মহামারির সময় যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করার সুযোগ পান। মহামারির পরেও যা অনেকক্ষেত্রে অব্যাহত রাখা হয়। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরেই 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' এর এই সুবিধা আর দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন।