প্যান্ডোরা পেপারস কেলেঙ্কারিতে শচীন: গোপন বিনিয়োগ ছিল বিদেশে
প্রভাবশালী বিশ্বনেতা ও ধনকুবেরদের গোপন আর্থিক লেনদেন ও সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে প্যান্ডোরা পেপারসে। এ তালিকায় আছে অনেক তারকার নামও।
প্যান্ডোরা পেপারস কেলেঙ্কারিতে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের নামও।
যদিও এই কেলেঙ্কারিতে শচীনের নাম আসায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, শচীন টেন্ডুলকারের বিদেশে বিনিয়োগ আছে সত্যি। কিন্তু তার কোনো বিনিয়োগই গোপন নয়।
তিনি বলেন, 'টেন্ডুলকারের বিদেশে বিনিয়োগ আছে। তবে সব বিনিয়োগই বৈধ ও আইনসিদ্ধ। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই সেই বিনিয়োগ করা হয়েছে।'
'প্যান্ডোরা পেপারস' নামের এই গোপন নথি প্রকাশ করেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক জোট আইসিআইজে। এই নথিতে উঠে এসেছে, কমপক্ষে ছয়জন ভারতীয় রাজনীতিবিদ অফশোর লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
১১৭টি দেশের ৬০০ জনের বেশি সাংবাদিক মাসের পর মাস অনুসন্ধান চালিয়েছেন এই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আনার জন্য। ১৪টি উৎস থেকে পাওয়া দলিলপত্র ঘেঁটে তারা তুলে এনেছেন প্রভাবশালী নেতা-ধনকুবেরদের অপকীর্তির প্রমাণ।
প্যান্ডোরা পেপারসে শচীন টেন্ডুলকার ছাড়াও নাম আছে পপ তারকা শাকিরা, সুপার মডেল ক্লদিয়া শিফারের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের। এমনকি ইতালির কুখ্যাত মাফিয়া ডন রাফায়েল আমাতোও আছেন এ তালিকায়। রাফায়েল কমপক্ষে এক ডজন খুনের সঙ্গে জড়িত।
শচীন টেন্ডুলকার ২০১৩ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর কিছুদিন ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। প্যান্ডোরা পেপারসে কেবল তার নামই নয়, এসেছে তার পরিবারের সদস্যদের নামও।
প্যান্ডোরা পেপারসের নথিতে বলা হয়েছে, শচীনের পরিবার ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের সাস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছিল। ২০১৬ সালে সেই বিনিয়োগের টাকা তুলে নেওয়া হয়।
শচীনের স্ত্রী অঞ্জলি টেন্ডুলকার ও শ্বশুর আনন্দ মেহতার নামও আছে এতে। প্যান্ডোরা পেপারসের তথ্যানুসাড়ে, ২০১৬ সালে সেই প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ নগদীকরণের সময় শচীনের ৯টি, অঞ্জলির ১৪টি ও আনন্দ মেহতার ৫টি শেয়ার ছিল। শচীনের শেয়ারের মূল্য ৮ লাখ ৫৬ হাজার, অঞ্জলির ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ও শ্বশুরের শেয়ারের মূল্য ৫ লাখ ৫৩ হাজার ডলার।
এছাড়াও আইসিআইজের ফাঁস করা নথিতে জর্ডানের বাদশা, ইউক্রেন, কেনিয়া ও ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের মতো নেতাদের অফশোর লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে।