প্রাথমিক ট্রায়ালে সাফল্য পেলো গ্লাক্সো সমর্থিত চীনা টিকা
প্রাথমিক গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি গ্লাক্সোস্মিথক্লিন সমর্থিত একটি কোভিড-১৯ টিকা তৈরির প্রচেষ্টা। তাই এখন বড় আকারের ট্রায়ালের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গ্লাক্সোর সহযোগিতায় টিকাটি তৈরি করছে চীনের সিচুয়ান ক্লোভার বায়োফার্মা ইঙ্ক। কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রাথমিক ট্রায়ালে ১৫০ ব্যক্তির দেহে তাদের প্রতিষেধক দেওয়া হলে- তা অ্যান্টিবডি তৈরিতে সমর্থ হয়। এদের মধ্যে বয়স্করাও ছিলেন। কারো মধ্যেই বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও পড়েনি।
এই প্রতিষেধক প্রস্তুতে ব্যবহার হয়েছে ব্রিটিশ কোম্পানি গ্লাক্সো এবং মার্কিন কোম্পানি ডায়নাভ্যাক্স টেকনোলজিক্স কর্পের তৈরি 'অ্যাডজুভেন্ট' বা সহায়ক উপাদান।
তবে আসন্ন বড় আকারের ট্রায়ালে গ্লাক্সোর অ্যাডজুভেন্ট পরীক্ষা করা হবে। চলতি মাসেই শুরু হবে এ ট্রায়াল। আর ডায়নাভ্যাক্সের তৈরি উপাদানের পরীক্ষা শুরু হবে ২০২১ সালের প্রথমদিকে। আজ শুক্রবার (৪ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিশ্বব্যাপী যে কয়েক ডজন টিকা প্রাথমিক ট্রায়ালের ধাপ শেষ করছে তাদের মধ্যে এই ভ্যাকসিনও রয়েছে। ফাইজার ও মডের্না ইঙ্ক বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার চাইতে দৌড়ে পিছিয়ে গেলেও তারা হাল ছাড়তে রাজি নয়। তাছাড়া, প্রতিটি দেশই জাতীয়ভাবে টিকা তৈরির সক্ষমতা অনুধাবন করতে পেরেছে। ফলে দুনিয়াজুড়ে বহু দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সরকারি সহায়তায় টিকা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
সকলেরই প্রত্যাশা তাদের তৈরি প্রতিষেধক নতুন জীবাণু সার্স কোভ-২'র বিনাশ ঘটাবে। অবসান করবে মহামারির।
এই অবস্থায় ক্লোভারের টিকার গঠন সাধারণ ফ্রিজের তাপমাত্রায় দীর্ঘসময় স্থির থাকার প্রমাণ মিলেছে। এরফলে গবেষণা সফল হওয়া এটিকে গণটিকা কর্মসূচির অংশ করা যাবে। সরবরাহ করা যাবে উন্নয়নশীল ও স্বল্প আয়ের দেশগুলোতেও।
টিকাটির গবেষণার লক্ষ্যে গঠিত কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপারডনেস ইনোভেশন্স- এর প্রধান রিচার্ড হ্যাচেট এক বিবৃতিতে একথা জানান।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের কোভাক্স জোটে সরবরাহ করার লক্ষ্যে টিকাটির কোটি কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এরফলে সমতার ভিত্তিতে সকল দেশের মানুষ টিকা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
এদিকে প্রাথমিক ট্রায়ালে সফলতার ঘোষণায় লন্ডন পুঁজিবাজারের লেনদেনে শুক্রবার গ্লাক্সো'র শেয়ারের দর ১.৬% বাড়ে।
- সূত্র: ব্লুমবার্গ