ফেসবুক বয়কটে যোগ দিল কানাডার বৃহৎ ব্যাংকগুলো
কানাডার বৃহৎ বাণিজ্যিক ঋণদাতারা ফেসবুক বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বর্ণবাদ বিরোধী এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্দোলনকারীরা বর্ণবাদী বিদ্বেষ ও ঘৃণা প্রচারে ফেসবুকের ভূমিকার কারণে বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটিকে পরিত্যাগের যে আহ্বান জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই তাতে যোগ দিয়েছে ইউনিলিভার, কোকোকোলা, অ্যাডিডাসের মতো প্রায় চার শতাধিক বিখ্যাত ব্র্যান্ড। সর্বশেষ এতে কানাডার ব্যাংকগুলোর যোগ দেওয়ার কথাও জানা গেল। খবর রয়টার্সের।
গত ২৫ মে মিনিয়াপোলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর থেকেই ফেসবুক পরিত্যাগের আহ্বান জানানো 'স্টপ হেট ফর প্রফিট' প্রচারণা গতিশীল হয়ে ওঠে, লাভ করে ব্যাপক জন-সমর্থন।
এই অবস্থায় শুক্রবার কানাডার বৃহৎ কয়েকটি ব্যাংক; রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডা, টরেন্টো-ডোমিনিয়ন ব্যাংক, ব্যাংক অব নোভা স্কোশিয়া, ব্যাংক অব মন্ট্রিল, ন্যাশনাল ব্যাংক অব কানাডা এবং কানাডিয়ান ইম্পেরিয়াল ব্যাংক অব কমার্স জানায়, তারা চলতি জুলাই মাস জুড়েই ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে বিরত থাকবে।
এর আগে কানাডীয় ঋণদাতা বাণিজ্যিক ইউনিয়নগুলোর সবচেয়ে বড় জোট- ডেসজার্ডিনস গ্রুপ গত বৃহস্পতিবার তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে এক মাসের জন্য বিজ্ঞাপন প্রদান বন্ধ রাখার শর্ত সাপেক্ষ ঘোষণা দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'সদস্য বা গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগের খুব জরুরি প্রয়োজন দেখা দিলেই কেবল এ উদ্যোগ আংশিকভাবে লঙ্ঘিত হতে পারে।'
তবে 'সকল বর্ণের মানুষের সহাবস্থান এবং সমাজে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার' মূল্যবোধের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানানো হয় অধিকাংশ ঋণদাতাদের প্রদত্ত বিবৃতিতে।
নজিরবিহীন এই চাপের মুখে পড়ে ইতোমধ্যেই নাগরিক অধিকার অডিটের জন্য নিজেদের কার্যক্রমকে উন্মুক্ত ঘোষণা করেছে ফেসবুক। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আড়াই শতাধিক শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী সংগঠনকেও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক ইমেইলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফেসবুক ইঙ্কের একজন মুখপাত্র।
তিনি দাবি করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে ফেসবুক বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এর মাধ্যমে ৯০ শতাংশ বিদ্বেষমূলক প্রচারণাকে প্রথমেই শনাক্ত করে, সেগুলো সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।