বর্ষায় গঙ্গার পানি বাড়তেই ভেসে উঠছে কোভিড রোগীদের মরদেহ
বর্ষা শুরু হতেই ভারতের উত্তর প্রদেশের গঙ্গা নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে নদীর বালুচরে সন্দেহভাজন কোভিড রোগীদের মৃতদেহ ভেসে উঠছে।
উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের ২৩ ও ২৪ জুনের ভাইরাল ভিডিওগুলোতে কর্তৃপক্ষের মৃতদেহ উত্তোলনের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।
প্রয়াগরাজ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা নিরাজ কুমার সিংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভি-তে বলা হয়, "আমরা আলাদা আলাদা করে রীতি মেনেই প্রতিটি মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করছি,"
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রয়াগরাজ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন এলাকার নদীর পাশ থেকে সার্জিকাল গ্লোভস পরিহিত একটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আরেকটির মরদেহ নদী থেকে উদ্ধারের সময় মুখে অক্সিজেন টিউব লাগানো ছিল। এসব দেখেই ধারণা করা হচ্ছে মরদেহগুলো কোভিডজনিত কারণে মৃত রোগীদের।
মহামারির সেকেন্ড ওয়েভের বিপর্যয়ের পর গঙ্গাসহ ভারতের বিভিন্ন নদীতে শত শত মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত। মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে কর্তৃপক্ষকে শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে দেখা গেছে।
মুখে অক্সিজেন টিউব লাগানো মরদেহের ব্যাপারে নিরাজ কুমার সিং বলেন, "দেখাই যাচ্ছে ওই ব্যক্তি অসুস্থ ছিলেন, এবং তার পরিবার হয়তো তাকে ভাসিয়ে দিয়েছে। হয়তো বা তারা ভয় পাচ্ছিলেন, আমি সঠিক বলতে পারবো না,"
গঙ্গা নদীর পানির উচ্চতা বাড়তে শুরু করায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বালুচর থেকে মরদেহ বের হয়ে আসতে শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে দ্য ডেক্কান হেরাল্ডে।
বেশিরভাগ মরদেহ তখনো পচে যায়নি, অবস্থা দেখে সহজেই অনুমেয়, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এসব দেহ দাফন হয়েছে, বলেন তিনি।
এবিপি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ দিনের ৭০টির মতো মরদেহ এসব স্থান থেকে তুলে সমাহিত করা হয়েছে।
প্রয়াগরাজের মেয়র অভিলাষ গুপ্তা নন্দী ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "নদীর পানি বৃদ্ধি বা যে কারণেই মরদেহগুলো ভেসে উঠুক, আমরা এসব মরদেহ শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করছি,"
এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার।
সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট ইউকে