বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির আমদানির জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন
ভারতের ঝাড়খণ্ডে কোভিড আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য রেমডেসিভিরের চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশের একটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি থেকে ওষুধটির ৫০ হাজার শিশি আমদানির জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে রাজ্য সরকার।
ঔষধটির দ্রুত আমদানির অনুমতি চেয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় রসায়ন ও সার মন্ত্রী শ্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়াকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন চিঠি পাঠিয়েছেন।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, "টিকাদান ও হার্ড ইমিউনিটির দিক এগিয়ে যাওয়ার কারণে আমরা ধরে নিয়েছিলাম সেকেন্ড ওয়েভের ভয়াবহতা কম হবে। কিন্তু বিরাট সংখ্যক রোগীর গুরুতর উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কিছুক্ষেত্রে রেমডেসিভির অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঝাড়খণ্ডে ঔষধটির নিদারুণ সংকটে পড়েছি আমরা,"
এ বিষয়ে একটি টুইটার বার্তাও দেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
ঔষধটির ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে ভারতীয় উৎপাদনকারীরাও চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, একারণেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির প্রয়োজন পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
"ভারতীয় উৎপাদকরা প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধটি সরবরাহ করতে না পারায় রেমডেসিভির কিনতে আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে ঝুঁকেছি আমরা। বাংলাদেশের বেক্সিকমো ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে ঔষধটির ৫০ হাজার শিশি কেনার নিশ্চয়তা পেয়েছি আমরা," বলা হয় চিঠিটিতে।
চিঠির শেষে ঔষধটি আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়, "উপরিল্লিখিত কারণে উল্লিখিত কোম্পানি থেকে ঔষধটি আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।"
বিগত দিনগুলোতে ভারতের সর্বত্র করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। ঝাড়খণ্ডে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬৭ হাজারের মতো মানুষ কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন। কোভিডজনিত কারণে রাজ্যটির ১,৫০২ জন মারা গেছেন এ পর্যন্ত।