বিশ্বের দ্রুততম বৈদ্যুতিক বিমান বানানোর দাবি রোলস-রয়েসের
'বিশ্বের দ্রুততম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক বিমান' তৈরির দাবি করেছে ব্রিটিশ অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা রোলস-রয়েস।
কোম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'স্পিরিট অফ ইনোভেশন' নামের বিমানটি ঘণ্টা প্রতি উড়তে পারে ৩৮৭.৪ মাইল বা ৬২৩ কিমি গতিতে; এটি আকাশে উড্ডয়নকারী কোনো যানের সর্বোচ্চ গতি।
রোলস-রয়েসের প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, স্পিরিট অফ ইনোভেশন মোট তিনটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছে। এরমধ্যে একটি হলো, ১ মিনিটের মাঝেই বিমানটি ৩ হাজার মিটার উপরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ উপরে ওড়ার রেকর্ড। এছাড়া, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক বিমান পরীক্ষার সাইট উইল্টশায়ারে প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ মাইল গতিতে উড়েছে স্পিরিট অফ ইনোভেশন। বিমানটি আগের রেকর্ডের চেয়ে ১৮২ মাইল দ্রুত গতিতে উড়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
এক্সিলারেটিং দ্য ইলেকট্রিফিকেশন অফ ফ্লাইট (এসিসিইএল) প্রকল্পের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে এই বিমান। এতে অর্থায়ন করেছে এরোস্পেস টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (এটিআই), ডিপার্টমেন্ট ফর বিজনেস, এনার্জি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্র্যাটেজি ও ইনোভেট ইউকে। বিমানটি ৪০০ কিলোওয়াট হর্সপাওয়ারের বৈদ্যুতিক পাওয়ারট্রেনে চলে।
রোলস-রয়েসের মতে, মহাকাশে চালিত বিমানগুলোর মধ্যে স্পিরিট অফ ইনোভেশনেই সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করা হয়েছে।
টেস্ট পাইলট ও রোলস-রয়েসের ফ্লাইট অপারেশনের পরিচালক ফিল ও'ডেল বলেন, "এটি আমার ক্যারিয়ারের বড় একটি অর্জন; পুরো দলের জন্য এটি সত্যিই এক অবিশ্বাস্য পাওয়া।"
কোম্পানির সিইও ওয়ারেন ইস্ট বলেন, "এটি এসিসিইএল টিম ও রোলস-রয়েসের জন্য একটি চমত্কার কৃতিত্ব।"
ইস্টের মতে, এই বিমানে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যেন কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে মিশে যেতে না পারে। এমনকি এই বিমান থেকে ভূপৃষ্ঠ কিংবা পানিতেও মিশবে না কার্বন ডাই অক্সাইড। এর বিশেষত্ব হলো, এটি জিরো কার্বন নিঃসরণ করে।
তাই ইস্ট মনে করেন, সম্প্রতি কপ-২৬ এ দেওয়া বিশ্ব নেতাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এই বিমান অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
সূত্র: সিএনএন