বোরকা বাধ্যতামূলক না হলেও নারীদের হিজাব পরতে হবে: তালেবান মুখপাত্র
তালেবান শাসনের অধীনে আফগানিস্তানে বোরকা পরিধান বাধ্যতামূলক না হলেও নারীদের হিজাব পরতে হবে। বুধবার (১৭ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান কাতারের দোহায় অবস্থিত তালেবান দপ্তরের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন।
এর আগে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের শাসনকালে আফগানিস্তানে নারীদের জন্য বোরকা পরিধান বাধ্যতামূলক ছিল। সে সময় মেয়েদের স্কুলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। নারীদের স্বাধীনভাবে ভ্রমণ এবং কাজ করার অনুমতি ছিল না।
স্কাই নিউজকে সুহাইল শাহীন বলেন, পুরো শরীর ঢাকা বোরকার পরিবর্তে নারীরা মাথায় হিজাব পরছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তবে, তালেবান কী ধরনের হিজাবের অনুমোদন দিবে তা স্পষ্ট করেননি সুহাইল।
পোশাকের বাইরে আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা নিয়েও উদ্বিগ্ন রয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী।
তবে, নারী শিক্ষা বিষয়ে তালেবান আগের মতো কঠোর থাকবে না বলেও আশ্বাস দেন সুহাইল শাহীন।
"নারীরা প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন," বলেন তিনি।
সুহাইল শাহীন বলেন, "আমরা মস্কো ও দোহা সম্মেলনেও নারী শিক্ষা নিয়ে এ ধরনের নীতির কথা বলেছি।"
তালেবান অধিকৃত অঞ্চলে হাজার হাজার স্কুলের কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে শরীয়াহ আইনের সীমার মধ্যে নারী অধিকার সংরক্ষণের ঘোষণা দেন তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
নারীদের সরকারে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তালেবানের একজন শীর্ষ নেতা।
- সূত্র: এএফপি