ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসে ১৪ জন নিহত, নিখোঁজ ১৭০
ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসের পর আকস্মিক বন্যা ও প্রবল পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
এছাড়াও এ ঘটনায় এখনো ১৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন যাদের অধিকাংশই দেশটি জাতীয় তাপ বিদ্যুৎ কর্পোরেশনের একটি প্রকল্পে কাজ করা কর্মী।
গতকাল রোববার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার জোশিমঠে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার জোশীমঠের কাছে হিমালয়ের হিমবাহ ভেঙে পড়ে। রেনি গ্রামের তুষারধসের জেরে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর হু হু করে বেড়ে যায়। ক্ষতি হয় হৃষিগঙ্গার ওপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের। নদীর দু'ধারে অবস্থিত অসংখ্য বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। মুখ্যমন্ত্রী এই বক্তব্যের পর ওই শ্রমিকদের জীবিত থাকা সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন অনেকে।
ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত বলেন, ''এই বন্যার জেরে প্রকল্পটির ১০০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। আমরা যদি ৫ কিলোমিটার নীচের দিকে আসি, তা হলে তপোবন বলে একটি জায়গা আছে। সেখানেই তৈরি হচ্ছিল এনটিপিসি-র ওই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। সেখানে দু'টি সুড়ঙ্গে প্রচুর শ্রমিক কাজ করছিলেন। তার মধ্যে একটি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে।''
ইন্ডিয়া টুডে-কে তিনি জানিয়েছেন, অপর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ এখনও সে ভাবে শুরুই করা যায়নি। আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সুড়ঙ্গ কাদায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যে কারণে আইটিবিপি-র জওয়ানরা সুড়ঙ্গের বেশি ভিতরে ঢুকতেই পারেননি।
তিনি জানান, মাত্র ১৫০-২০০ মিটার ভেতর পর্যন্ত যেতে পেরেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
সোমবার সকাল থেকে ওই সুড়ঙ্গে আইটিবিপি, সেনা ও রাজ্য সরকারের উদ্ধারকারী দল ফের কাজ শুরু করেছে বলে তিনি জানান।