ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করেছে রাশিয়া
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করেছে রাশিয়া। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার প্রভাবশালী সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
রাশিয়া বলছে, মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউট কর্তৃক তৈরি করা বিশ্বের 'প্রথম' এই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি উৎপাদনের পর এ মাসের শেষের দিকেই চালু হয়ে যাবে।
রয়টার্স বলছে, অনেক বিজ্ঞানীরই শঙ্কা, ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে নিরাপত্তার চেয়েও জাতীয় মর্যাদাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে মস্কো।
মাত্র দুই মাস গবেষণা এবং পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর গত মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ প্রতিরোধী স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনের ব্যবহার অনুমোদন দেয় রাশিয়া।
এ নিয়ে বিশ্বের নানা দেশের চিকিৎসা, ওষুধ এবং প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞরা তীব্র উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়েও সন্দেহ পোষণ করেন তারা। জানিয়েছেন সম্ভাব্য ক্ষতিকর পার্শ্বঃপ্রতিক্রিয়া নিয়ে তাদের ভয়ের কথাও।
তবে রাশিয়া স্পুটনিক-ভি এর সুরক্ষা নিয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সমালোচনা নাকচ করে বলেছে, তাদের উৎপাদিত এ প্রতিষেধক নিয়ে 'সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন' সব কথা বলা হচ্ছে।
গত বুধবার (১২ আগস্ট) রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে বলেন, "রাশিয়ার তৈরি প্রতিষেধকটির প্রতিযোগী সম্ভাবনা অনুমান করেই বিদেশি বিশেষজ্ঞ মহল এমন সব প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে…যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।"
তিনি আরও জানান, "খুব শীঘ্রই অনুমোদনপ্রাপ্ত ভ্যাকসিনটি বাজারে ছাড়বে রাশিয়া। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিনটির প্রথম চালান ছাড়া হবে। প্রথমে শুধু চিকিৎসকরা এটি পাবেন।"
বৈশ্বিক সমালোচনার তোয়াক্কা না করেই রুশ কর্মকর্তারা আগামী অক্টোবর নাগাদ স্পুটনিক-ভি ব্যাপকভাবে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।