মহামারিতে অসমানুপাতিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে নারীরা: ইইউ’র প্রতিবেদন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের মহামারিতে তুলনামূলকভাবে নারীরা অনেক আক্রান্ত হয়েছেন। যার অন্যতম কারণ- স্বাস্থ্যখাত থেকে শুরু করে সম্মুখ সারির বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রেই রয়েছে নারীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা। শুক্রবার ইইউ'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
লিঙ্গ সমতা নিয়ে ইইউ-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মহামারিতে নারীদের প্রতি গার্হস্থ্য সহিংসতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, "কোভিড-১৯ মহামারি নারীদের জীবনকে অসমানুপাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ইতোমধ্যে যথেষ্ট প্রমাণ আছে যে বিগত বছরের পরিশ্রমে অর্জিত সাফল্য থেকে নারীরা 'পিছিয়ে গেছে'... নারী অধিকারের অগ্রগতি কঠিন কিন্তু তা ধরে রাখা আরও দুঃসাধ্য।"
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির ভেতর কাজের চাপ ও পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে গিয়ে নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়েছে। লকডাউনের সময় নতুন করে আরো দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে নারীদের উপর।
এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের বসন্তে ইউরোপে প্রথম লকডাউনের সময় ফ্রান্স, লিথুয়ানিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং স্পেনে নারীদের প্রতি গার্হস্থ্য সহিংসতা বেড়েছে।
নারীরা পুরুষদের তুলনায় সেই সব চাকরীতে বেশি ছিল- যেখানে পেশাগত কারণেই তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের প্রয়োজন হয়, যার দরুণ করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রবর্তিত নিষেধাজ্ঞার কারণে নারীরাই চাকরীক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, "কম বেতনের কর্মক্ষেত্রে এবং পেশায় নারীদের অতিরিক্ত প্রতিনিধিত্ব কোভিড-১৯ সংকটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রম বাজারে তাদের ভয়াবহ রকমের অসুরক্ষিত করে তোলে।"
মহামারির শুরুতে ইইউতে নারী কর্মসংস্থান পুরুষদের কর্মসংস্থানের তুলনায় কিছুটা কমে গেছে এবং তারপর থেকে নতুন চাকরি খুঁজে পেতে আগের থেকে বেশি ভোগান্তির ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে নারীদের।
এটি একটি শঙ্কার বিষয় যে, এই প্রবণতা চলতে থাকলে তা নারীদের জন্য কম পেনশনের ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হতে পারে, যার ফলে লিঙ্গ ব্যবধানে পেনশন বৈষম্য বাড়বে বছরের পর বছরের জন্য।
সূত্র- রয়টার্স