মিথেন নির্গমন কমাতে অঙ্গীকারবদ্ধ ৯০ দেশ
২০২০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস মিথেন নির্গমন ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনতে একজোট হয়েছে ৯০টি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন এ জোটের অঙ্গীকারনামা সইয়ের কথা জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এ উদ্যোগের ঘোষণা দেওয়া হবে।
কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরেই অন্যতম প্রধান গ্রিনহাউজ গ্যাস হলো মিথেন। কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে এর ধরে রাখার ক্ষমতাও বেশি, তবে বায়ুমণ্ডলে মিথেন কণা দ্রুত ভেঙে যায়। অর্থাৎ, মিথেন নির্গমন কমিয়ে আনতে পারলে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে ঘোষিত গ্লোবাল মিথেন প্লেজে এ নিয়ে মিথেন নির্গমনকারী শীর্ষ ৩০টি দেশের অর্ধেক দেশ যুক্ত হলো।
নতুনভাবে অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে মিথেন নির্গমনের শীর্ষ পাঁচে থাকা ব্রাজিলও রয়েছে।
তবে, মিথেন নির্গমনের শীর্ষ পাঁচে থাকা চীন, রাশিয়া ও ভারত এখনো সই করেনি।
গত সেপ্টেম্বরে ঘোষণার পর অল্প কিছু স্বাক্ষরকারী দেশ থাকায়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মিথেন নির্গমনকারী দেশগুলোগুলো একত্র করতে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
কপ-২৬ সম্মেলনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ থেকে সর্বশেষ কূটনৈতিক চাপের পর গত সপ্তাহ পর্যন্ত স্বাক্ষর করেছিল ৬০টি দেশ।
মিথেন নির্গমন কমিয়ে আনার এ উদ্যোগ জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক আলোচনার অংশ না হলেও, কপ-২৬ সম্মেলনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফলাফল হতে পারে এটি।
গত মে মাসে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দশকে মিথেন নির্গমন উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে পারলে ২০৪০ এর দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রায় ০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে, মিথেন নির্গমন কমিয়ে আনতে ব্যর্থ হলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রাও ব্যর্থ হবে।
স্বাক্ষরকারী ৯০টি দেশ একসঙ্গে ৩০ শতাংশ মিথেন গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনবে। তেল ও গ্যাসের অবকাঠামো, পুরাতন কয়লা খনি, কৃষি ও ভাগাড় মিথেন গ্যাস নির্গমনের বড় উৎস।
এ উদ্যোগ সফল হলে, জ্বালানি খাতে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে এই অঙ্গীকারনামা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল-গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, গ্যাসের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সূত্র: রয়টার্স