যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ, ২৫ শহরে কারফিউ
মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চলছে প্রবল বিক্ষোভ। চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই গুলিতে ১৯ বছরের এক তরুণ নিহত হয়েছে। মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় পুলিশের বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, দোকান লুটপাটসহ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এমন সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মিনেসোটা, জর্জিয়া, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, ওকল্যান্ড, স্যান হোসে ওয়াশিংটন ডিসি ও ক্যালিফোর্নিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ৩০ শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। ২৫টি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডের গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিন। সেদিন থেকে সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। সেই বিক্ষোভ এখন বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে ডেরেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন ফ্লয়েড।
হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। ৪৬ বছর বয়সী এই কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই মিনিয়াপোলিস উত্তাল হয়ে ওঠে। মঙ্গল ও বুধবার বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান। বেশ কয়েকটি ভবন ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।
'আই কান্ট ব্রিদ' বা 'আমি শ্বাস নিতে পারছি না' এবং 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলন করছেন বিক্ষোভকারীরা।