শপথ নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার অ্যাডমিরাল
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার কর্মকর্তা হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সহকারী সচিব ডা. র্যাচেল লিভাইন।
৬৩ বছর বয়সী এই চার-তারকা বিশিষ্ট কর্মকর্তা এখন ইউএস পাবলিক হেলথ সার্ভিস কমিশনড কর্পসের অ্যাডমিরাল।
মঙ্গলবার শপথ গ্রহণের বক্তব্যের সময় তিনি সেই অনুষ্ঠানটিকে "গুরুত্বপূর্ণ" এবং "ঐতিহাসিক" বলে উল্লেখ করেন। এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, "আজকে আমার এই পদে নিয়োগ যেন আরও অনেকের জন্য একটি নতুন সূচনা। আমরা একটি বৈচিত্র্যময় এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যত তৈরি করবো।"
হার্ভার্ড কলেজ এবং তুলানে ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী ডা. লিভাইন আগে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া, তিনি পেনসিলভেনিয়ার ফিজিশিয়ান জেনারেল এবং রাজ্যটির স্বাস্থ্য সচিব হিসেবেও কাজ করেছেন।
ইউএস পাবলিক হেলথ সার্ভিস কমিশনড কর্পস–এ প্রায় ৬ হাজার ইউনিফর্মধারী অফিসার রয়েছেন। এসকল অফিসারদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন ডা. লিভাইন। করোনা মহামারি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদেরকে।
ডা. লিভাইনের এই পদে নিয়োগকে "জাতি হিসেবে সমতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার এক বিশাল পদক্ষেপ" হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন স্বাস্থ্য সচিব জেভিয়ার বেসেরা।
মার্চে সিনেট ভোটের সময় ডা. লিভাইনকে মার্কিন সহকারী স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে নিশ্চিত করা হয়।
নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়, পেনসিলভেনিয়ার স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে মহামারি বিষয়ক কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হন তিনি। এসময় বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্রীয় নীতিকে দায়ী করেন সমালোচকরা। এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য কোভিড রোগীদেরকে নার্সিং হোমগুলোতে রাখার প্রয়োজনীয় ছিল।
এসকল বিতর্কের কিছুদিন পরেই ডা. লিভাইন জানান, ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নিজের মাকেও কেয়ার হোম থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
- সূত্র: বিবিসি
-