সহিংসতা নিরসনে মিয়ানমারের জান্তার ওপর চাপ প্রয়োগ করবেন আসিয়ান নেতারা
মিয়ানমারে সহিংসতার অবসানসহ দেশটিতে আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছানোর সুযোগ করে দিতে সামরিক জান্তার ওপর চাপ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সরকার প্রধানেরা। এব্যাপারে আগামী শনিবার (২৪ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিতব্য আসিয়ান সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কূটনীতিকরা ইঙ্গিত দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স দুটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানায়, জাকার্তায় আসিয়ান সদস্যভুক্ত দেশের নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নিয়ে নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি আলোচনার আশা করছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ জেনারেল মিন অং হ্লিয়াং-ও সেখানে যোগ দিতে পারেন বলে স্বাগতিক দেশের কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা জানান।
ওই অভ্যুত্থানের পর থেকেই রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে মিয়ানমার, প্রতিদিনই দেশজুড়ে হচ্ছে অগণিত বিক্ষোভ। প্রতিবাদ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জান্তা, তাতে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন শত শত আন্দোলনকারী।
সূত্রগুলো জানায়, এই পরিস্থিতির অবসানে আসিয়ান যে পদক্ষেপগুলো নেওয়ার কথা ভাবছে তার মধ্যে অন্যতম হলো; সহিংসতায় বিরতি দিয়ে সেই সুযোগে দেশটিতে জরুরি চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহ পৌঁছানো। পাশাপাশি, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তাদের প্রতিপক্ষ ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) নেতৃবৃন্দের আলোচনায় মধ্যস্ততা করতে একজন বিশেষ দূত নিয়োগ।
রুদ্ধদ্বার ওই আলোচনায় আসিয়ান ভুক্ত দেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতি থাকবে না। তবে আলোচনায় অংশ নেওয়া দেশগুলো এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শানার বার্গেনার বৈঠকের পার্শ্বঃ আলোচনায় যোগ দেবেন, বলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।
ক্ষমতাচ্যুত পার্লামেন্ট সদস্য এবং জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এনইউজি'র এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, তাদের জোটের সঙ্গে আসিয়ানের নেতৃবৃন্দ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
- সূত্র: রয়টার্স