সুদিনের আশা সুদূর পরাহত, ১৫ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে এয়ারবাস
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/07/01/airbus_a350_aircraft_at_the_companys_factory_near_toulouse_france_this_month.jpg)
আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম উড়োজাহাজ। জনপ্রিয় এই ভ্রমণ ব্যবস্থাটি সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের চলমান মহামারিতে। এর ফলে যাত্রী পরিবাহী উড়োজাহাজ সংস্থার ব্যবসা যেমন শিকেয় উঠেছে, ঠিক তেমনি তার প্রভাব এসে পড়েছে বৃহৎ উড়োজাহাজ নির্মাতাদের কাঁধেও। খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট শিল্পে গতি ফেরার আশাও করা যাচ্ছে না, বিভিন্ন দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ হানা দেওয়ার প্রেক্ষিতে।
আন্তর্জাতিক বেসামরিক যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ শিল্পের প্রধান দুই উৎপাদক হচ্ছে বোয়িং ও এয়ারবাস। এর মধ্যে ইউরোপীয় মালিকানাধীন এয়ারবাস গত মঙ্গলবার তাদের বৈশ্বিক জনশক্তির প্রায় ১৫ হাজার জন কমানোর কথা জানিয়েছে। কোম্পানিটির ইতিহাসে এটাই হতে চলেছে সবচেয়ে বড় কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা। খবর ব্লুমবার্গের।
বাণিজ্যিক বিমান ব্যবসায় ৪০ শতাংশ ধ্বসের কথা জানিয়ে একে এভিয়েশন শিল্পের 'নজিরবিহীন সঙ্কট' বলে উল্লেখ করা হয় এয়ারবাসের বিবৃতিতে। যার কারণে মোট বৈশ্বিক কর্মশক্তির ১০ শতাংশকে ছাঁটাই করার কথা জানানো হয়েছে। কর্মী ছাটাইয়ের অধিকাংশই করা হবে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যের কারখানাগুলোতে।
এয়ারবাসের মুখ্য নির্বাহী গিলিয়ামো ফাউরি বিগত দিনগুলোতে আসন্ন ছাঁটাই নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করে আসছিলেন। এসময় তিনি নতুন উড়োজাহাজের চাহিদা কমে যাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোম্পানির অস্তিত্ব ধরে রাখতে এ পদক্ষেপ বাধ্য হয়েই নিতে হবে বলে সতর্ক করেছিলেন।
মঙ্গলবার কোম্পানিটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের আগে বা ২০২৫ সাল পর্যন্ত তারা ভাইরাস পূর্ববর্তী অবস্থায় আকাশপথে যাত্রী পরিবহন ব্যবসার উত্তরণের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না।
এদিন এয়ারবাস নির্বাহী তার বিবৃতিতে জানান, বেসামরিক উড়োজাহাজ নির্মাণ শিল্পের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এয়ারবাস। তাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখাকেই সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা সঙ্কটকাল অতিক্রম করে বৈশ্বিক বিমান উৎপাদন শিল্পে নেতৃস্থানীয় অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হব।