হুয়াওয়ের কাছে রপ্তানিতে ইনটেলসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা
চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইনটেলসহ হুয়াওয়ের অন্যান্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলর কাছে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু লাইসেন্স বাতিল করার কথা জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেইসাথে হুয়াওয়ের কাছে পণ্য সরবরাহের ব্যাপারে একাধিক আবেদন প্রত্যাখান করা হতে পারে।
বিশ্বের সর্ববৃহত টেলিযোগাযোগ পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকির অভিযোগ এনে বিভিন্ন সময়ে নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন, এর জের ধরেই ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ দিনগুলোতে নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে।
হুয়াওয়ে ও ইনটেল এসম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ লাইসেন্সের নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মন্তব্য না করলেও, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখতে বাণিজ্য বিভাগ লাইসেন্স নীতিমালার ব্যাপারে অন্যান্য সংস্থাগুলোর সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করছ বলে জানানো হয়।
সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন গত শুক্রবার জানিয়েছে, বাণিজ্য বিভাগ হুয়াওয়ের কাছে রফতানির বেশকিছু লাইসেন্স প্রত্যাখানের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ইতোপূর্বে অনুমোদনপ্রাপ্ত অন্তত একটি লাইসেন্স বাতিল করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একাধিক লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। সংশ্লিষ্ট একজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, চারটি প্রতিষ্ঠানের আটটি লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
এরফলে এশিয়ার দেশগুলোতে সেমিকন্ডাক্টর খাতের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং-এর ১ দশমিক ৫, জাপানের অ্যাডভানটেস্টের ১ দশমিক ৫ ও টোকিও ইলেকট্রনের দশমিক ৮ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রে জানা গেছে, জাপানের ফ্ল্যাশ মেমোরি চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কিওক্সিয়া কর্পের অন্তত একটি লাইসেন্স বাতিল হয়েছে।
২০১৯ সালে মে-তে হুয়াওয়ের কাছে মার্কিন পণ্য ও প্রযুক্তি বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন সরকার।
নতুন এ সিদ্ধান্তের আগে ১২০ বিলিয়ন মূল্যের পণ্যের ১৫০টি লাইসেন্স অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল।
গত বছর সেপ্টেম্বরে হুয়াওয়ের কাছে কিছু নির্দিষ্ট পণ্য বিক্রির লাইসেন্স পায় ইনটেল। এর আগে আগস্টে বলা হয়, ফাইভজি সুবিধা সম্বলিত পণ্য রফতানির অনুমোদন দেয়া হবেনা, এছাড়া অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে প্রতিটির আলাদা মূল্যায়নের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গত ৪ জানুয়ারি থেকে মার্কিন বাণিজ্য, শক্তি, প্রতিরক্ষা বিভাগের একাধিক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
- সূত্র: রয়টার্স