‘দুঃখিত, ওবামার বাড়িতে দেখুন’! সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টকে বাথরুম ব্যবহারে নিষেধ ইভানকার
ক্যাপিটলের দাঙ্গা, টুইটারে নিষিদ্ধ, অভিশংসন- একের পর এক কেলেঙ্কারিতে ট্রাম্প প্রশাসনের শেষের দিনগুলো জর্জরিত। এখন ওয়াশিংটন পোস্ট তালিকায় আরও একটি যুক্ত করেছে: ওয়াটার ক্লোজেট গেট!
আমেরিকার এই অন্যতম শীর্ষ অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম জানায়, জারেড কুশনার এবং ইভানকা ট্রাম্পের জন্য নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের অত্যন্ত আপত্তিকর সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। বাথরুমের জন্য জায়গা খুঁজেছেন তারা!
ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুসারে, প্রেসিডেন্টের কন্যা এবং তার স্বামী, হোয়াইট হাউসের শীর্ষ উপদেষ্টা- দুজনে মিলে তাদের ওয়াশিংটন ডিসি ম্যানসনে নিরাপত্তার জন্য নিযুক্ত নারী ও পুরুষের এ দলকে নির্বাসিত করেছেন।
প্রতিবেশী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, 'ট্রাম্পের মেয়ে এবং জামাতার বাড়ির আধা ডজন বাথরুমের কোনোটিই ব্যবহার না করার নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে তাদের সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা কাজের সময়ে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে একটি নির্ভরযোগ্য বাথরুম খুঁজতে মাসের পর মাস অতিবাহিত করেছেন!'
একজন আইন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি লেখে, 'এই প্রথম কোনো গোপন পরিষেবা কর্মকর্তাদের আমি বাথরুম খোঁজার জন্য এত দূর যাওয়ার কথা শুনলাম।'
জরুরি ভিত্তিতে বাথরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে- এমন অনেককেই বহনযোগ্য (পোর্টেবল) টয়লেট ব্যবহার করতে হয়েছে বলেও উল্লেখ ছিল প্রতিবেদনটিতে। বারাক ওবামা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বাথরুমও বাদ যায়নি।
শুনতে যেমনই লাগুক, এই সমস্যার মূল্য কিন্তু চড়া ছিল। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই সমস্যাক্লিষ্ট সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের জন্য ফেডারেল গভর্নমেন্ট বেসমেন্ট স্টুডিও সহযোগে একটি বাথরুম ভাড়া করে। এর জন্য করদাতাদের ব্যয় কত, জানবেন? মাসে তিন হাজার ডলার!
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে পত্রিকাটি তাদের তদন্ত চালিয়ে যায়। তারা জানায়, 'ঘটনাটি জানেন, এমন একজন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা বাদানুবাদ করেন, যিনি জানান পরিবারের অনুরোধে এজেন্টদের বাইরে রাখা হয়।'
চার বছর মহাসমারোহে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে দায়িত্ব পালন শেষে শিগগিরই যখন ইভানকা ট্রাম্প এবং তার স্বামী অফিস ছেড়ে যাচ্ছেন, এমন এক সময়ে পত্রিকাটি এই প্রতিবেদন সামনে আনল। পূর্বেই ছেড়ে আসা নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসির সামাজিক চেনা পরিসরগুলো থেকেও যে তাদের প্রত্যাখ্যানের সম্ভাবনা রয়েছে, উল্লাসের সঙ্গে সে নিয়েও একাধিক প্রতিবেদন করা হয়েছে।
স্থানান্তরিত হতে চললেও এই দম্পতির যে ঘর বলে কিছু থাকছে না, সেটি ভাবা যাচ্ছে না! সম্প্রতি তারা ফ্লোরিডার এক দ্বীপে ৩০ মিলিয়ন ডলারের জমি কিনেছেন। সেটির নাম রাখা হয়েছে 'বিলিয়নিয়ার'স বাঙ্কার'।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান