ভারতে কর্মদিবস হবে ৪ দিন, বেতনেও আসছে পরিবর্তন
২০২২ অর্থবছরের শুরুতেই মজুরি, সামাজিক নিরাপত্তা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং পেশাগত নিরাপত্তা বিষয়ে নতুন শ্রম আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে ভারত। ভারত সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে পিটিআই নিউজ এজেন্সি। নতুন আইনের অধীনে ভারতে শ্রম ও কাজের পরিবেশ সম্পর্কিত একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে কর্মঘন্টা, কর্মদিবস এবং টেক-হোম বেতন সম্পর্কিত নিয়মও থাকবে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, নতুন এ শ্রম আইন কার্যকর হলে ভারতীয় কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচদিনের বদলে চার দিন কাজ করতে হবে। তবে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চার দিন কর্মদিবস হলেও সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজের শর্ত পূরণ করতেই হবে। সেক্ষেত্রে কর্মীদের ওই চারদিন ১২ ঘন্টা করে কাজ করতে হবে।
নতুন আইনে আরও বলে হয়েছে যে এ আইন কার্যকর হলে কর্মীদের টেক-হোম বেতন কমে আসতে আসতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বড় পরিসরে প্রভিডেন্ট ফান্ডের দায় নিতে হবে।
কম বেতন ঘরে, বেশি থাকবে প্রভিডেন্ট ফান্ডে
ভারতের নতুন শ্রম আইন মূল্যায়ন করছেন যেসব বিশেষজ্ঞরা, তাদের মতে, নতুন শ্রম আইনে ভারতীয় কর্মীদের মূল বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের হিসাবে বড় রকম পরিবর্তন আসবে। আইন অনুযায়ী কর্মীরা মাস শেষ কম বেতন হাতে পাবেন, কিন্তু অন্যদিকে তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে বেশি টাকা জমতে থাকবে।
নতুন শ্রম আইনে মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন মাসিক বেতন হিসেবে, বাকিটা মূল বেতন ও ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্সের (ডিএ) শতকরা হার হিসেবে প্রভিডেন্ট ফান্ডে থাকবে।
ভারতের বর্তমান শ্রম আইন অনুযায়ী, একজন কর্মীর মূল বেতন এবং ডিএ'র উপর ভিত্তি করে নিয়োগকর্তা তার প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা রাখেন। যেমন, কোনো কর্মীর মাসিক বেতন যদি হয় ৫০,০০০ রুপি, তাহলে তাকে ২৫,০০০ রুপি মাসিক দেওয়া হবে, বাকি ২৫,০০০ থাকবে প্রভিডেন্ট ফান্ডে।
কার্যকর হবে আগামী অর্থবছরেই
ভারতের চারটি শ্রম আইনের আওতায় ইতোমধ্যেই নতুন আইনগুলো চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু শ্রম একটি সহাবস্থিত ইস্যু হওয়ায় আলাদাভাবে প্রতিটি রাজ্য এ আইন তাদের নিজস্ব কাঠামোতে ফেলে বাস্তবায়ন করবে।
এরই মধ্যে দেশটির অন্তত ১৩টি রাজ্য নতুন আইনগুলো নিয়ে তাদের খসড়া পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস