চীনে লকডাউনের নিয়ম ভাঙায় গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে প্যারেড করিয়ে শাস্তি
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মহামারির পর থেকেই সতর্ক চীন সরকার। আঞ্চলিক প্রাদুর্ভাবগুলো দেখা দেওয়া মাত্র নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। কোভিডের বিরুদ্ধে চীনের 'শূন্য সহনশীলতা' এবং অতি-কড়াকড়ি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে। সম্প্রতি এমনই এক পদক্ষেপে চারজন স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘণকারীকে শাস্তি দেওয়া হয়।
হ্যাজমেট স্যুট (জীবাণুরোধী পোশাক) ও মুখোশ পরানো এই চারজনের গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তাদের ছবি ও নাম সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। এরপর দাঙ্গা-পুলিশের সশস্ত্র প্রহরায় তাদের গুয়াংশি অঞ্চলের জিংশি শহরের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করা হয়। রাস্তার দুপাশেই ছিল জনতার ভিড়।
এ ঘটনার কিছু ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, শাস্তি পাওয়া প্রতিজনকে দুপাশ থেকে ধরে রেখেছে দুজন করে সশস্ত্র পুলিশ। আবার চারপাশে ঘিরে রাখা হ্যাজমেট স্যুট পরা অন্য পুলিশ সদস্যদের কারো কারো হাতে বন্দুকও ছিল। এভাবে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের প্রকাশ্য অপমান করা হয়।
এর আগে গত আগস্টে যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে না তাদের এভাবে অপদস্থ করার ঘোষণা দিয়েছিল অঞ্চলটির স্থানীয় সরকার।
অথচ মানবাধিকার কর্মীদের কয়েক দশকব্যাপী দাবির মুখে ২০১০ সালে জনসম্মুখে অপমান নিষিদ্ধ করেছে চীন। কিন্তু, কোভিডের বিরুদ্ধে জাতীয় 'শূন্য সহনশীলতা'র নীতি বাস্তবায়ন করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রাদেশিক বা স্থানীয় সরকারগুলো। তাই আবারো তারা নিষিদ্ধ এ শাস্তি ব্যবহারে ঝুঁকেছে।
চীনের বেশকিছু বড় শহরে সংক্রমণ ঠেকাতে সকলের ঘরের বাইরে বেরুনোও নিষিদ্ধ। মাত্র কয়েক ডজন সংক্রমণ শনাক্ত হলেও নেওয়া হয়েছে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত। এমনকি খাদ্য কিনতে বেরুনোও নিষিদ্ধ।
এরমধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘণের দায়ে এমন শাস্তিদানের কথা জানা গেল।
- সুত্র: ডেইলি মেইল