পুতিনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু হয়
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রুশ সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর থেকে একের পর এক বিস্ফোরণের খবর আসছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের বিস্ফোরণের ছবিও প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের কিয়েভ, খারকোভ, ওডেসাসহ বিভিন্ন শহরে একের পর এক বিস্ফোরণের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। চারপাশ থেকে বিস্ফোরণের কালো ধোঁয়া বের হওয়ার ছবি দেখে আতঙ্কিত হয়েছেন অনেকেই।
তবে এইসব বিস্ফোরণ ঠিক কোথায় হয়েছে, জায়গাগুলো জনবসতিপূর্ণ নাকি জনবিরল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার ক্যামেরায় বিস্ফোরণের যে ছবি এবং ভিডিও ধরা পড়েছে, তা বিশ্লেষণ করে কোন কোন শহরের কাছে বিস্ফোরণ হয়েছে তা অনুমানের চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও এসব বিস্ফোরণে কেউ নিহত বা আহত হয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বিস্ফোরণের বিষয়টি এক টুইট বার্তায় জানান। তিনি লিখেছেন, "পুতিন ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করেছেন। তার নির্দেশে ইউক্রেনের শান্তিপূর্ণ শহরগুলোতে এখন হামলা চলছে। এটি আগ্রাসনের যুদ্ধ। ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করবে এবং জিতবে। এই বিশ্ব পুতিনকে থামাতে পারে এবং অবশ্যই থামাতে পারে। এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার উপযুক্ত সময়।"
এদিকে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জানান, কিয়েভের বিমানবন্দরের বাইরে ইউক্রেনের যুদ্ধ বিমানগুলোর ওপর একে একে রকেট হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভেঙে দিতেই পুতিনের বাহিনী এই হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
- সূত্র: বিবিসি