পূর্ব-পশ্চিম বিরোধে তুরস্ক স্পষ্টতই পশ্চিমের পক্ষে: ওরহান পামুক
জার্মান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন দের স্পিগেল-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে নোবেল বিজয়ী ওরহান পামুক ইউক্রেন-রাশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারীরা শেষ পর্যন্ত হেরে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পুতিন এখনও মধ্যযুগে আটকে আছেন বলে যুক্তি দেন পামুক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এ বিষয়ে সোচ্চার না হলেও কেন তুরস্ক এই সংঘাতে পশ্চিমের পাশে রয়েছে সেটিও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।
ডার স্পাইগালের সাথে ওরহান পামুকের কথোপকথনের কিছু অংশ:
ডার স্পাইগাল: আমরা আপনার সাথে শুধুমাত্র সাহিত্য নিয়েই কথা বলতে চাই।
পামুক: আমিও! আমি কখনোই নিজেকে রাজনৈতিক লেখক হিসাবে বিবেচনা করিনি। কিন্তু এরকম এক সময়ে এসে আমার মতো দেশের কেউ যদি রাজনীতি নিয়ে কথা না বলে তাহলে সেটি অসৎ, এমনকি অনৈতিক বলে মনে হবে।
আপনি কি এরদোয়ান বা পুতিনকে বোঝেন?
পামুক: একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত, হ্যাঁ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি তাদের মনোভাব নিজের মধ্যে ধারণ করি।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের ফলে বিশ্বের সর্বজনীনতা নিয়ে আপনার যে দৃষ্টিভঙ্গি, তা কি ভেঙ্গে পড়েছে?
পামুক: প্লেগ নিয়ে আমি 'নাইটস অফ প্লেগ' নামক একটি বই লিখেছি। আমাদের আজকের সাক্ষাৎকারের আগে আমি নিজেকে প্রশ্ন করেছি, আমার বইয়ের বিষয়ের সাথে বর্তমান ঘটনার কী সম্পর্ক আছে? এর উত্তর হলো: দুটিই মধ্যযুগীয় ঘটনা। প্লেগ মধ্যযুগীয়, পুতিনও মধ্যযুগীয়। এই প্রশ্ন আমাকে মধ্যযুগের প্রত্যাবর্তনের উপর উমবার্তো ইকোর লেখা প্রবন্ধগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। 'ডোমেইন' বা 'প্রভাবের ক্ষেত্র' এর মতো ধারণা বোঝার জন্য আমাদের সেগুলো পড়া উচিত।
পুতিন তার ডোমেইন লঙ্ঘনের কারণ হিসেবে ন্যাটোকে দেখছেন। এ বিষয়টি কি আমি বুঝি? হ্যাঁ, আংশিকভাবে বুঝি। কিন্তু তার কাজ কি আমি অনুমোদন করব? অবশ্যই না।
আপনি বলছেন মধ্যযুগ ফিরে আসছে। আবার অনেকের কাছেই মনে হচ্ছে ২০ শতকে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব ফিরে এসেছে।
পামুক: গত কয়েকদিনে আমার প্রায়ই ১৯৩৮ সালের মিউনিখের কথা মনে পড়েছে। সেসময় শান্তি রক্ষার আশায় গ্রেট ব্রিটেন চেকোস্লোভাকিয়ার একটি বড় অংশ হিটলারের জার্মানির হাতে তুলে দেয়। এরপর ২০১৪ সালে পুতিনের ক্রিমিয়া দখলের সময় ওবামার প্রতিক্রিয়াও ছিল ভুল।
২০ শতকের ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ার কি কিছু আছে?
পামুক: আমি মনে করি, প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে যে 'অন্যদেরকে' কী অনুপ্রাণিত করে, সে পুতিন হোক বা এরদোয়ান। তা বোঝার পরেও আমাদের নিজস্ব মূল্যবোধ, যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার রক্ষা- ইত্যাদি অব্যাহত রাখতে হবে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পর্যবেক্ষকরা সেটিকে 'ইতিহাসের সমাপ্তি' ভেবেছিলেন। সেসময় মনে হয়েছিল, উদার গণতন্ত্রের যুগ শুরু হয়েছে। কিন্তু, বর্তমানের পরিস্থিতি কি বিপরীত?
পামুক: রোমান সাম্রাজ্যের পতন হলে মধ্যযুগ শুরু হয়। সেই পতন কিন্তু বাইরের শত্রুর আক্রমণে হয়নি, বরং নিজেদের মাঝে সমস্যা থেকেই তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গণতান্ত্রিক যুগের সমাপ্তির কথা বললে অনেকেই সম্ভবত এটাই বোঝায়।
২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসেন তখনও এই উদ্বেগ ছিল। কিন্তু আমি সে বিষয়ে এতটা নিশ্চিত নই। আপনি জানেন যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়েছে। বেশিরভাগ রাষ্ট্র ও জাতি স্বেচ্ছায় গণতান্ত্রিক পশ্চিমা ব্যবস্থায় যোগ দিয়েছে। এমনকি, পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের কারণও এটিই- তিনি হেরে যাচ্ছেন।
'নাইটস অফ প্লেগ' বইতে আপনি বর্ণনা করেছেন কিভাবে শাসকরা যত বেশি চাপের মধ্যে পড়ে ততই দমনমূলক আচরণ করে। এ বিষয়টি কি রাশিয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য?
পামুক: পুতিন বর্তমানে পরীক্ষা করছেন যে তিনি আসলে কতদূর যেতে পারেন। পশ্চিমাদের জীবনযাত্রার একটি মান আছে যা তারা হারাতে চায় না।
আপনার যদি হারানোর মতো কিছু না থাকে, তবেই আপনি এরকম একটি ঝুঁকি নিতে পারবেন। কিন্তু আমি আবারো বলতে চাই, আমি পশ্চিমে থাকা আমার বন্ধুদের মতো হতাশাবাদী নই। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতাই বেছে নেয়। তবে, একটি বিষয়ে আমি বিরক্ত। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া যে পশ্চিমা আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছে এ বিষয়ে খুশি চীনের জনগণ।
২০০৫ সালে আপনার প্রবন্ধের সংগ্রহ 'দ্য ভিউ ফ্রম মাই উইন্ডো'তে আপনি বলেছিলেন, গ্লোবাল নর্থের নাগরিকরা বিশ্বের কম সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মানুষের ক্রোধ বুঝতে পারে না।
পামুক: আমার বই 'স্নো'-এর নায়ককে আমি বলতে দিয়েছি: 'আমরা গরীব, কিন্তু বোকা নই'। তথাকথিত 'ন্যাশনালিস্টিক ইনসাল্ট' এর পেছনে প্রায় সবসময়ই ভালো কারণ থাকে। পশ্চিমা উদারনীতি থেকে সবাই উপকৃত হয় না। কিন্তু এর ফলে অন্য দেশে বোমা ফেলা ন্যায়সঙ্গত নয়।
আমি নিশ্চিত যে, শেষ পর্যন্ত কেউই পুতিনের যুদ্ধকে সমর্থন জানাবে না। এমনকি ভিক্টর অরবানও পশ্চিমের সাথে সময় থাকতেই যুক্ত হতে পারেন নি, যদিও তিনি জানতেন যে ইউক্রেনের পর পুতিন হাঙ্গেরি গ্রাস করবেন।
তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। নতুন এই সংঘর্ষে আপনার দেশের অবস্থান কোথায়?
পামুক: সরকারের পশ্চিমা বিরোধী জনতাবাদ সত্ত্বেও তুরস্ক স্পষ্টতই পশ্চিমের পক্ষে। এরদোয়ান যে ন্যাটোর একজন ভালো অনুসারী তা প্রমাণ করার মাধ্যম ইউক্রেনের যুদ্ধ। যদিও তিনি তুর্কি সংবাদপত্রে এ বিষয়ে জোর দিয়ে কিছু বলেন না। মূলত ইসলামবাদী ও পশ্চিমা বিরোধী ভোটারদের হারাতে চান না তিনি।
এরদোয়ান এবং পুতিন ব্যক্তিগতভাবে বেশ ঘনিষ্ঠ বলে মনে হচ্ছে ...
পামুক: কিন্তু দুই বছর আগেই পুতিন ৩৪ জন তুর্কি সৈন্যের ওপর ইদলিবে বোমা হামলা চালায়।
পুতিন যেভাবে একটি বৃহত্তর রাশিয়ান সাম্রাজ্যকে জয় করেছেন, এরদোয়ানও অটোমান অতীতকে মহিমান্বিত করেছেন।
পামুক: হ্যাঁ, এবং আমিও এর কারণ বুঝতে পারি। অনেক উন্নয়নশীল দেশের লোকেরাই শুনতে পছন্দ করে যে, অন্তত তাদের পূর্বপুরুষরা মহান ছিলেন। তুর্কি প্রজাতন্ত্র এর শুরুর বছরগুলোতে অটোমানদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। আতাতুর্ক তার নিজস্ব প্রজাতন্ত্রী এবং ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয় পরিচয় তৈরি করতে চেয়েছিলেন। এর ১০০ বছর পর এসে এরদোয়ান এবং তার দল সেই চিন্তাকে বিপরীত দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আপনার 'নাইটস অফ প্লেগ' বইয়ের কেন্দ্রে রয়েছেন দ্বিতীয় সুলতান আবুলহামিদ।
পামুক: একজন আকর্ষণীয় চরিত্র। তিনি ফরাসি বলতেন, অপেরা পছন্দ করতেন এবং তার প্রাসাদে একটি থিয়েটার তৈরি করেছিলেন। আজকের এরদোয়ানের চেয়ে অনেক বেশি পশ্চিমামনা ছিলেন তিনি।
একইসাথে তিনি একজন ইসলামপন্থী ছিলেন…
পামুক: দ্বিতীয় আবুলহামিদ তার রাজনৈতিক লক্ষ্যে ইসলামকে ব্যবহার করেছিলেন। তিনি পশ্চিমাদের হুমকি দিয়েছিলেন যে, তোমরা যদি আমার সাম্রাজ্য দখল কর, তাহলে আমি বিশ্বের মুসলমানদেরকে তোমাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেব। ধর্মের ব্যাপারে তিনি ছিলেন কঠোর। অন্যদিকে এরদোয়ান একজন আন্তরিক ও কট্টর ইসলামপন্থী।
আপনি একজন নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে 'নাইটস অফ প্লেগ' নিয়ে লিখেছেন। এটা কি সচেতন কোনো সিদ্ধান্ত ছিল?
পামুক: হ্যাঁ। একজন ঔপন্যাসিক হিসেবে আমি নিজেকে একজন নারীর চোখ দিয়ে পৃথিবী দেখতে বাধ্য করি। এর নৈতিক কারণও রয়েছে। আমি আমার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের পুরুষদের সব কুসংস্কারই বহন করি।
২০১৬ সালে আপনি বইটির কাজ শুরু করেছিলেন। করোনাভাইরাসের ফলে আপনার লেখার কি কোনো পরিবর্তন হয়েছে?
পামুক: 'স্নো' নিয়ে আমারও একই রকম অভিজ্ঞতা হয়। আমি যখন বইটি শেষ করতে যাচ্ছিলাম তখনই নাইন ইলেভেনের ঘটনা ঘটে। আমি তখন পাণ্ডুলিপি থেকে ওসামা বিন লাদেনের কথা উল্লেখ করা দুটি প্যাসেজ মুছে দিয়েছিলাম। কিন্তু এইবার আমি কিছু বাদ দেইনি। লোকেরা কিভাবে মহামারি মোকাবেলা করে তার মধ্যে বেশ মিল পেয়েছি আমি।
করোনার সাথে প্লেগের কী মিল পেয়েছেন?
পামুক: মানুষ প্রথমে বিপদ অস্বীকার করে। তারপর তারা তাদের সরকারকে দুটি সাংঘর্ষিক পদক্ষেপ নিতে বলে। তারা বলে তাদেরকে সুরক্ষা দিতে; আবার একইসাথে বলে সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মে চালাতে।
মহামারি মোকাবেলায় ধর্ম কি কোনো ভূমিকা পালন করে?
পামুক: তেমন একটা না। মহামারির শুরুর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সবকিছু খোলা রেখেছিলেন। অপরদিকে এরদোয়ান দেশের সব মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিছুদিন পরই তা বদলে যায়।
মহামারির বিষয়ে আপনার আগ্রহের জায়গাটি কী?
পামুক: আমি ৪০ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। আমার আগের কাজগুলোতেও এ বিষয়টি বারবার এসেছে। প্রাথমিকভাবে, নিয়তিবাদের ধারণা আমাকে মুগ্ধ করে। ভাগ্যের কাছে মানুষ কতটুকু আত্মসমর্পণ করে? এবং কখনই বা তারা বিদ্রোহ করে? দেখা গেছে যে, প্রতিটি মহামারির সময়ই সহিংস প্রতিবাদ হয়েছে।
কিন্তু, তুরস্কের নাগরিকরা কোনো অভিযোগ ছাড়াই সরকার কর্তৃক আরোপিত করোনা নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছে।
পামুক: তবুও আমি নিশ্চিত যে, এই মহামারি নির্বাচনে এরদোয়ানের পতনে অবদান রেখেছে।
এরদোয়ান বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক কম জনপ্রিয়। তিনি আর কতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন বলে মনে করছেন?
পামুক: আমি সবসময় পশ্চিমে আমার বন্ধুদের বলতাম, এরদোয়ানের রাজত্ব বেশিদিন টিকবে কারণ বিরোধী দলগুলো তাকে যতোটা ঘৃণা করে তার থেকেও বেশি ঘৃণা তারা একে অপরকে করে। কিন্তু, নির্বাচনে এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা নাটকীয়ভাবে কমে যাওয়ায় এর ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
ছয়টি বিরোধী দল তুরস্কে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে।
পামুক: এই কারণেই আমি বিশ্বাস করি যে আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এরদোয়ান আর জিততে পারবেন না।
'নাইটস অফ প্লেগ' এর জন্য আপনাকেও তুরস্কের জাতীয়তাবাদীরা আক্রমণ করেছিলেন। আপনি কি এখন লেখার ক্ষেত্রে পাঠকদের কিছু অংশের ক্ষোভ বিবেচনা করে কাজ করেন?
পামুক: যখন আমি আমার বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পর্কে জানতে পারি [আতাতুর্ককে অপমান করার অভিযোগে], তখন আমি আমার আইনজীবীর কাছে যাই। আমরা জনগণকে না জানিয়েই প্রসিকিউটরের কাছে গিয়েছিলাম।
তুরস্কে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বর্তমান পরিস্থিতি কী?
পামুক: তুরস্কে বাকস্বাধীনতা বলতে গেলে প্রায় নেই। সব প্রধান সংবাদপত্র এবং মিডিয়া এরদোয়ান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে আমার আইনজীবী বাকস্বাধীনতার অধিকারের উপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু বেশিরভাগ সময়, প্রসিকিউটররা মনে করেন যে এর মাধ্যমে আপনি আপনার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন।
তুরস্কে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাজারো মানুষের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে খুব কম মানুষই বাকস্বাধীনতার কথা উল্লেখ করেনি। করলে এর অর্থ দাঁড়াবে, 'হ্যাঁ, আমি আমাদের রাষ্ট্রপতির সমালোচনা করেছি'। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে বলতে হবে যে, আমি রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি। তবে, অনেক সময় এই যুক্তিও কাজে আসেনা। বর্তমানে তুরস্কের আদালত এবং কারাগার এরদোয়ানের সমালোচনাকারীদের দিয়ে পূর্ণ।
সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ওরহান পামুক (৬৯) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তুরস্কের সবচেয়ে বিখ্যাত একজন লেখক। পাশাপাশি তিনি একজন রাজনৈতিক চিন্তাবিদ। এ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার সর্বশেষ উপন্যাস 'নাইটস অব প্লেগ'।
- স্পাইগাল ইন্টারন্যাশনাল থেকে অনুদিত