‘পুরনো পাকিস্তানে স্বাগতম’, ইমরানের ক্ষমতাচ্যুতিতে রাজনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞদের প্রতিক্রিয়া
রোববার ভোর রাতে জাতীয় পরিষদের অনাস্থা ভোটের সিদ্ধান্তে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত ৮ মার্চ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের এক মাসেরও বেশি সময় পর, অবশেষে জাতীয় পরিষদের সদস্যরা পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন।
গত কয়েক দিন ধরেই অনাস্থা ভোট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছিল পকিস্তানে। শেষ পর্যন্ত রোববার ভোর রাতে ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর, এখনও অনেকে নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে চলেছেন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ থেকে শুরু করে হতাশ, রাগ, এমনকি হাস্যরস পর্যন্ত করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ নিজের টুইটারে লিখেছেন, "আমার প্রিয় পাকিস্তানের জন্য দুঃস্বপ্নের সময় শেষ। এখন নিরাময়ের সময়।"
বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী এবং পিটিআই নেতা শাফকাত মাহমুদ অবশ্য বলেছেন, "এটি পাকিস্তানের জন্য একটি দুঃখের দিন। একজন ন্যায়পরায়ণ ও নির্ভীক নেতা পরিচিত দুর্নীতিবাজ মাফিয়াদের লক্ষ্যে পরিণত হলো এবং শেষ পর্যন্ত তাকে বিদায় নিতে হলো।"
তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, "ইমরান খান আবারও ঘুরে দাঁড়াবেন, কারণ পাকিস্তানের জনগণ তার এবং পিটিআই-এর সঙ্গেই রয়েছে।"
পিটিআই নেতা এবং সংসদ সদস্য ফয়সাল জাভেদ খান বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী শৃঙ্খলার সঙ্গে ওয়াক আউট করেছেন; তিনি মাথা নত করেননি।"
অন্যদিকে, পিএমএল-এন নেতা খাজা সাদ রফিক ইমরান খান সরকারের পতনের পর জাতিকে আবারও 'পুরনো পাকিস্তানে' স্বাগত জানিয়েছেন।
অ্যাক্টিভিস্ট আম্মার আলি জান বলেছেন, "সংবিধানকে অন্তর্ঘাত করার আনাড়ি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।" তবে, 'জনগণের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে' বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পাকিস্তনের সাংবাদিক সিরিল আলমেদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লিখেছেন, "হাইব্রিড শাসনের পতন হয়েছে।"
এদিকে সাংবাদিক হাসান জাইদিও কটাক্ষ করে বলেছেন, "ইমরান খান পাকিস্তানে আরেকটি নতুন রেকর্ড গড়েছেন! অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।"
- সূত্র: ডন