৫০৫ দিন ধরে কোভিড আক্রান্ত!
যুক্তরাজ্যের এক ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি সময়, ৫০৫ দিন টানা কোভিড আক্রান্ত ছিলেন। তাকে শনাক্ত করার পরই দেশটির চিকিৎসকরা একটানা সংক্রমণ থাকার চিকিৎসায় জরুরিভাবে নতুন চিকিৎসা শুরুর কথা বলছেন।
২০২০ সালে কোভিড শনাক্ত হয় ওই রোগীর, টানা ৫০৫ দিন কোভিড আক্রান্ত থাকার পর মারা যান তিনি। তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক দুর্বল ছিল। এর আগে, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কোভিড আক্রান্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক রোগী, ৩৩৫ দিন ধরে কোভিড পজিটিভ ছিলেন ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফেরা ওই রোগী।
কিংস কলেজ লন্ডন এবং গাই'জ অ্যান্ড সেন্ট থমাস' এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের গবেষকরা সংক্রমণের পর ভাইরাসের রূপান্তর হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে একটানা কোভিড আক্রান্ত থাকা নয়জন রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করেন। দেখা গেছে, অঙ্গ প্রতিস্থাপন, এইচআইভি, ক্যান্সার বা অন্যান্য রোগের চিকিৎসার কারণে সব রোগীরই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল ছিল।
১০ সপ্তাহ বা এর বেশি সময় ধরেও তাদের মধ্যে অনেকে কোভিড সংক্রমণ ছিল। কিন্তু, দুইজন রোগী এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আক্রান্ত ছিলেন। সবচেয়ে বেশি সময়, ৫০৫ দিন দিন আক্রান্ত থাকা রোগী ছাড়াও, আরেক জন রোগী ৪১২ দিন ধরে আক্রান্ত ছিলেন। তার পরবর্তী চেক-আপে হয়তো তিনিও মরণঘাতী এ রোগে আক্রান্ত থাকার ৫০৫ দিন অতিক্রম করবেন।
গত গ্রীষ্মেই ব্রিস্টলের চিকিৎসকরা ডেভ স্মিথ নামের ৭২ বছর বয়সী এক রোগীকে পান, যিনি প্রায় ১০ মাস ধরে আক্রান্ত ছিলেন।
দীর্ঘ সময় ধরে কোভিড সংক্রমণের বেশি ঝুঁকিতে থাকেন দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার রোগীরা। সর্বশেষ এই গবেষণায় দেখা গেছে, নয়জন রোগীর চারজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে তিনজন বা দুইজনেরই মৃত্যুর অন্যতম কারণ কোভিড। নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর আরেকটি উৎস হতে পারে দীর্ঘদিন ধরে কোভিড আক্রান্ত থাকা ব্যক্তিরা। কারণ, রোগীর শরীরে বিবর্তনের জন্য ভাইরাসের নতুন মিউটেশনের প্রয়োজন হয়।
এভাবে দীর্ঘমেয়াদি কোভিডে আক্রান্ত থাকা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভব ঠেকাতে দ্রুত নতুন চিকিৎসার দরকার, বলছেন গবেষকরা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান