আবারও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলেন ইমানুয়েল ম্যাঁখো
ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী মেরিন লঁ পেনকে পরাজিত করে আবারও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাঁখো। ইউরোপের রাজনৈতিক ঝড় আর দেশের কট্টর ডানপন্থী প্রার্থীকে হারিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদের আরও ৫ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। রোববার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল প্রকাশের পর ম্যাঁখো আগের মেয়াদে তার প্রতি জনগণের অসন্তোষের কথা স্বীকার করেন এবং সামনের দিনগুলোতে তিনি তা সংশোধন করবেন বলে আশ্বাস দেন। খবর রয়টার্সের।
চ্যাম্প ডি মার্স পার্কে আইফেল টাওয়ারে বিশাল এক স্ক্রিনে ফলাফল ভেসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে উল্লসিত হন ম্যাঁখোর সমর্থকরা। বার্লিন, ব্রাসেলস, লন্ডন এবং অন্যান্য দেশের নেতারা তার কাছে কট্টরবাদী, ইউরোসেপ্টিক লঁ পেনের পরাজয়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৭.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন ম্যাঁখো। তবে নিজের বিজয়ের ভাষণে তিনি স্বীকার করেছেন, অনেকেই তাকে ভোট দিয়েছিলেন কেবল লঁ পেনকে দূরে রাখার জন্য। সেইসঙ্গে প্রথম মেয়াদে তার ওপর জন অসন্তোষের কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ভুলগুলো সংশোধন করে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, "অনেকেই আমাকে ভোট দিয়েছেন এ কারণে নয় যে তারা আমাকে সমর্থন করেন, বরং কট্টর-ডানপন্থীদেরকে দূরে রাখতেই তারা আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং জানতে চাই, আগামী বছরগুলোর জন্য আমি তাদের কাছে ঋণী হয়ে গেলাম।"
টানা দুই বছর মহামারিজনিত সংকট এবং এরপর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ফ্রান্সে জ্বালানির মূল্যে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে। এ কারণে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক খাতে দেখা দিয়েছে নানান ধরনের সমস্যা। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দেখা দিয়েছিল জন অসন্তোষ।
এদিকে, নির্বাচনে নিজের পরাজয় বরণ করে নিলেও জুনের সংসদ নির্বাচনে আবারও লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছেন লঁ পেন।
নিজের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আমি কখনই ফরাসিদের ছেড়ে যাবো না।"
- সূত্র: রয়টার্স