পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি: জোর করে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দিলেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিজেপি নেতা নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য এবং এর জেরে পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে কদিন ধরেই প্রবল বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন ভারতের মুসলিমরা। বিক্ষোভ, অবরোধে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়াও।
এই বিক্ষোভ-অবরোধের জেরে উত্তপ্ত হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু রওনা হওয়ার আগে বাড়িতেই আটকে দেওয়া হয় তাকে।
জানা গেছে, সুকান্ত মজুমদারের নিউটাউনের বাড়ির সামনে গার্ডরেল বসিয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ হাওড়ায় তার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল। সেজন্য বিজেপির কর্মীরা সুকান্তকে বাড়ি থেকে বের করে আনলেও পুলিশ তাকে আগে বাড়তে দেয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, 'হিংসাত্মক ঘটনা' ঠেকাতে যেকোনো পদক্ষেপ নেবেন।
বাড়ি থেকে বের হতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মী এবং সুকান্তের নিরাপত্তাররক্ষীদের।
শেষ পর্যন্ত বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে সুকান্ত জোর করেই হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেন।
আজ সকাল ১১টায় মনসাতলায় বিজেপির পার্টি অফিসে যাওয়ার কথা ছিল সুকান্তের। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, তাকে নিয়ম ভেঙে 'গৃহবন্দি' করা হয়েছে।
সুক্তান্ত বলেন, 'পুলিশ দলদাসের মতো ব্যবহার করছে। পুলিশ কোনো কারণ দেখাতে পারেনি। হাওড়ায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় যেতে দেবে না বলেছে। কিন্তু, হাওড়া থেকে আমার বাড়ি অনেক দূর। ১১টার সময় যখন আমি বাড়ি থেকে বেরোতে গিয়েছিলাম, সেই সময় আমাকে আটকে দেওয়া হয়। কেন আমাকে গৃহবন্দি করে রাখা হল বুঝতে পারছি না। পুলিশ কোনও আইনি কাগজ দেখাতে পারেনি।'
হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়েও আক্রমণাত্মক বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী তিন দিন ধরে চুপ করে বসে রয়েছেন। কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রথমেই পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। ঝাড়খণ্ডেও প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।'
- সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার