বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হতে যাচ্ছেন যারা
বিলিয়নিয়ারদের পেছনে ফেলে এবার আসছে ট্রিলিয়নিয়ারদের যুগ। অক্সফামের বার্ষিক অসমতা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী এক দশকের মধ্যে পাঁচজন ব্যক্তি অন্তত ১ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ অর্জন করবেন।
এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ক, যিনি বর্তমানে ৪৩০ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। তিনি পাঁচ বছরের মধ্যেই এই মাইলফলক ছুঁতে পারেন।
ইলন মাস্কের পরেই আছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ এবং এলভিএমএইচ সিইও বার্নার্ড আরনল্ট।
২০২৪ সালে উল্লেখযোগ্য হারে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদ বাড়তে দেখা গেছে। অক্সফামের মতে, গত বছর তাদের মোট সম্পদ ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় তিনগুণ দ্রুতগতিতে বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৮১৬ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন, যাদের মোট সম্পদ গত বছরে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে কেউ যদি ৯৯ শতাংশ সম্পদও হারিয়ে ফেলেন, তবুও তারা বিলিয়নিয়ার থাকবেন।
'টেকার্স নট মেকার্স' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান বিলিয়নিয়ারদের এক-তৃতীয়াংশের সম্পদ এসেছে উত্তরাধিকার সূত্রে। ২০২৩ সালে প্রথমবার উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ অর্জন করা বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা উদ্যোক্তাদের চেয়ে বেশি ছিল। ৩০ বছরের কম বয়সী ১৭ জন বিলিয়নিয়ার সবাই তাদের সম্পদ উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন।
অক্সফামের মতে, বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ দেশে উত্তরাধিকার কর নেই। যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ কর কমিয়ে আনা এবং কর ফাঁকির কৌশল এই প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা রাজনীতিতেও ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার করছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, নতুন সরকারে অন্তত ১২ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন—মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম ধনী প্রশাসন এটি।
ইলন মাস্ক, যিনি ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে ২৬০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন, এখন ট্রাম্পের উপদেষ্টা এবং সরকারি দক্ষতা বিভাগের সহ-নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার বিদায়ী ভাষণে বলেছিলেন, 'আজ আমাদের গণতন্ত্র একটি অল্প কয়েকজনের হাতে কুক্ষিগত হয়ে পড়ছে। এটি কেবল অর্থনৈতিক অসমতা নয়, বরং মৌলিক অধিকার ও সমতার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।'