‘মীনা কার্টুন’ প্রতিষ্ঠাতা আর অ্যানিমেশনের জনক!
ছোটবেলায় মীনা কার্টুন দেখিনি, আমাদের এই প্রজন্মে এমন লোক খুঁজে পাওয়াটা দুষ্কর হবে। এই মীনা কার্টুনের নির্মাতা কে জানেন?
মীনা, রাজু ও মিঠুর বর্ণালি জগতকে নিজের হাতে নির্মাণ করে যিনি আমাদের শৈশবকে রাঙিয়েছিলেন, সে ব্যক্তিটির নাম রাম মোহন (২৬ আগস্ট ১৯৩১- ১১ অক্টোবর, ২০১৯)। এই জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজটি নির্মিত হয়েছিল মুম্বাইয়ে অবস্থিত তাঁর স্টুডিও রাম মোহন বায়োগ্রাফিক্সে।
মুম্বাইয়েই জন্মানো রাম মোহনকে বলা হয়ে থাকে 'ভারতীয় অ্যানিমেশনের জনক'। শুধু ভারত না, পুরো উপমহাদেশের অ্যানিমেশন জগতেই একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব তিনি। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে বেশ বিনয়ী রাম মোহন নিজে সব সময় দাদাসাহেব ফালকেকে ভারতীয় অ্যানিমেশনের জনক হিসেবে আখ্যা দিয়ে এসেছেন।
সেই ১৯১২ সালে একটি মটরগাছের বৃদ্ধি চিত্রিত করার জন্য ম্যাচের কাঠি এবং ক্যামেরার টাইম-ল্যাপ্স কৌশল ব্যবহার করে ফালকে উপমহাদেশের প্রথম অ্যানিমেশন ক্লিপ তৈরি করেছিলেন। পরবর্তী এসব ক্লিপ এবং ফালকের অন্যান্য কাজ দেখেই অ্যানিমেশনের ব্যাপারে আগ্রহ জন্মেছিল মোহনের।
এমনিতে রসায়নে পড়াশোনা করেছিলেন রাম মোহন। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক করার পর স্নাতকোত্তর পড়াশোনাও শুরু করেছিলেন। ১৯৫৬ সালে তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে যোগ দেন ভারত চলচ্চিত্র বিভাগের কার্টুন ফিল্ম ইউনিটে। স্বাধীনতা-পূর্ব যুগে ভারতের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র শুধু হাতেগোনা কয়েকজন নির্মাতার পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কার্টুন ফিল্ম ইউনিট ছিল প্রথম কাঠামোগত অ্যানিমেশন স্টুডিও। এই ইউনিটের লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিতেন ডিজনি স্টুডিওর অ্যানিমেটর ক্লেয়ার উইকস। স্নো হোয়াইট, বাম্বি এবং পিটার প্যানের মতো বিখ্যাত কিছু ডিজনি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন উইকস।
এদিকে রাম মোহন ছিলেন স্বশিক্ষিত, ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অফ ইন্ডিয়া ম্যাগাজিনে এরই মধ্যে তার আঁকা কার্টুন প্রকাশিতও হয়েছে অনেকবার। উইকসের সাহচর্যে এসে ডিজনির অ্যানিমেশনের শৈলীকে রপ্ত করেন রাম মোহন এবং সেই আঙ্গিকে নির্মাণ করেন বেনিয়ান ডিয়ার নামের একটি অ্যানিমেশন মুভি। প্রাচীন জাতক শ্রুতি অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে অজন্তা গুহার চিত্রকর্মের সঙ্গে ডিজনির নির্মাণশৈলীর এক নান্দনিক ও আকর্ষণীয় মিশ্রণ দেখা যায়।
রাম মোহনের পরবর্তী কাজগুলোতে আরও অনেক কিছুর প্রভাবই পরিলক্ষিত হয়েছে। ইউনাইটেড প্রোডাকশন অব আমেরিকার সমতল চরিত্র নির্মাণপদ্ধতি থেকে শুরু জাগরেবসহ অন্যান্য ইউরোপীয় ধারার অ্যানিমেশন শৈলীর সম্মেলন ঘটেছে তার কাজগুলোয়। যদিও চলচ্চিত্র বিভাগ মূলত ভারত সরকারের প্রোপাগান্ডার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু তার চলচ্চিত্রগুলো একটি তরুণ প্রজাতন্ত্রকে আরও শিক্ষিত ও একত্র করতে ভূমিকা রেখেছিল।
কার্টুন ফিল্ম ইউনিটের ১৯৭৪ সালের চলচ্চিত্র এক আনেক অউর একতা (এক, অনেক এবং একতা), বা দ্য ট্রি অব ইউনিটির মতো ছবিগুলো 'বৈচিত্র ও ঐক্য'র মতো ধারণাগুলোকে জনগণের মাঝে এমনভাবে প্রচার করতে সক্ষম হয়েছিল, যা কোনো রাজনীতিবিদের পক্ষেও করা সম্ভব ছিল না।
উপমহাদেশে কার্টুন ছবির প্রথম প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করা ছাড়াও রাম মোহন প্রতিভাবান তরুণ শিল্পীদের পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করেছেন। মোহন নিজে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। স্ক্রিপ্ট লেখা থেকে শুরু ডিজাইন করা, অ্যানিমেশন আঁকা থেকে নির্দেশনা দেওয়া; সব বিভাগেই ছিল তাঁর পদচারণ। যে কারণে অনুজদের সব রকমের সহায়তাই করতে পারতেন তিনি।
রাম মোহন নির্মিত হোমোস্যাপস ১৯৬৭ সালে সেরা পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্রের ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ১৯৬৮ সালে তাঁর নির্মিত ক্যাওস নামের একটি শট ফিল্ম জার্মানির লাইপজিগ ফেস্টিভালে পুরস্কৃত হয়।
১৯৬৮ সালে চলচ্চিত্র বিভাগকে বিদায় বলে দিয়ে প্রসাদ প্রোডাকশনের অ্যানিমেশন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহন। ১৯৭২ সালে নিজেই একটি প্রযোজনা সংস্থা খোলেন তিনি, নাম রাখেন 'রাম মোহন বায়াগ্রাফিক্স'। সেখানে মোহনের সঙ্গে যোগ দেন টেকনিক্যাল সহকারী এসজি নায়ক সাতম এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইনার এম আর পারুলেকার। খ্যাতিমান নির্মাতা ভীম সাঁইও কিছুদিন কাজ করেছেন তাঁদের সঙ্গে।
তাঁরা একসঙ্গে বাপ রে বাপ, ইউ সেড ইট!, ফায়ার গেমস, ডাউন টু আর্থ সিরিজ, স্বর সঙ্গম, তরু এবং দ্য হোয়াইট এলিফ্যান্ট-এর মতো পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
স্টুডিওটি সাই পরঞ্জপায়ীর চাশমে বুদ্ধুর এবং কথা, সত্যজিৎ রায়ের শতরঞ্জ কা খিলারি, বিআর চোপড়ার পতি, পত্নী অউর ওহ, গুলজারের অঙ্গুর এবং মৃণাল সেনের ভুবন শোম-এর মতো চলচ্চিত্রের সিকোয়ন্স এবং শিরোনামের জন্য অ্যানিমেটেড ক্লিপ তৈরি করেছে।
ষাট থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ভারতজুড়ে অ্যানিমেশন বিজ্ঞাপনকে জনপ্রিয় করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আরএমবি। স্ট্রেপসিলস, নটরাজ পেন্সিল, এভারেডি ব্যাটারি, আমুল, বাটা বাবলগামার্স, ক্যাডবেরি জেমস, প্যারির ল্যাক্টো কিং ও ম্যাগির মতো অনেক জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নির্মিত হয়েছে এই স্টুডিওতে।
গোবিন্দ নিহালানি এবং প্রহ্লাদ কক্করের মতো অনেক তরুণ নির্মাতাদের আড্ডা দেওয়ার স্থানও ছিল এই স্টুডিওটি।
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে য়ুগো সাকো নামের একজন জাপানি প্রযোজক এসে ধরনা দেন রাম মোহনের কাছে। তিনি জানান, বাল্মিকীর রামায়ণ অনুসারে একটি অ্যানিমেশন মুভি বানাতে চান তিনি। এই ছবিকে নিজের জীবনের মিশন হিসেবেই আখ্যা দেন এই জাপানি নির্মাতা।
রাম মোহন ও কোইচি সাসকির সহনির্দেশনায় অবশেষে ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় রামায়ণ: দ্য লিজেন্ড অব প্রিন্স রামা। ভারতের চলচ্চিত্র জগতের অনেক রথী-মহারথীই যুক্ত ছিলেন এই প্রযোজনার সঙ্গে। যার মধ্যে শিল্পনির্দেশক নচিকেত এবং জয়ু পটবর্ধন, গীতিকার নরেন্দ্র শর্মা, সংগীত রচয়িতা বনরাজ ভাটিয়া উল্লেখযোগ্য। কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে রাম চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছে অরুণ গোবিল এবং রাবণের চরিত্রে অমরেশ পুরি।
ভারতীয় মহাকাব্যের অন্যতম সেরা অ্যানিমেটেড অ্যাডাপটেশন হিসেবে বিবেচিত হলেও উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীদের রোষানল এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ভারতে চলচ্চিত্রটির মুক্তি বারবার বিলম্বিত হতে থাকে।
মুম্বাইয়ে ছবিটির প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিল মাত্র ৪০ জন এবং দেশজুড়ে উগ্রবাদীদের আগ্রাসনের কারণে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই মুক্তি পায়নি চলচ্চিত্রটি।
এই ছবিকে ঠিকভাবে আপ্যায়ন করা হলে ভারত ও উপমহাদেশের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের মান ও সংস্কৃতি বদলে যেতে পারত।
হলে মুক্তি না পেলেও পরবর্তী সময়ে টিভি চ্যানেল কার্টুন নেটওয়ার্ক এই ছবিটি দেখানো শুরু করলে ভালোই জনপ্রিয়তা পায় চলচ্চিত্রটি। মুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন করার সময় জাপানে বছরব্যাপী প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি।
নব্বইয়ের দশকে অবশ্য আরেকটি মহান কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাম মোহন। এ সময়ে ইউনিসেফের একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে জনপ্রিয় চরিত্র মীনার জগতকে জীবিত করেন এই কিংবদন্তি অ্যানিমেটর। লিঙ্গসমতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মেয়েদের শিক্ষা এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে সোচ্চার মীনাকে ফুটিয়ে তোলা হয় এই কার্টুন সিরিজে।
মীনা সিরিজ একযোগে সম্প্রচারিত হয়েছে ভারত, নেপাল, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে। সম্প্রচারের পর উপমহাদেশে এই কার্টুন এতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে এই প্রচারাভিযানের সাফল্য দেখে আফ্রিকা মহাদেশের জন্যও একটি অনুরূপ চরিত্র তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনিসেফ। সে চরিত্রের নাম দেওয়া হয় সারা।
সারাকে নিয়ে কার্টুন সিরিজ নির্মাণ করতে আবার রাম মোহনকেই দায়িত্ব দেয় ইউনিসেফ। মোহন আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পীদের এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন আরএমবিতে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সারার প্রাথমিক পর্বগুলোর নির্মাণেও জড়িত ছিলেন তিনি।
বৈশ্বিক বাজারে অ্যানিমেশনের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে ১৯৯৭ সালে ইউটিভির সঙ্গে একীভূত হয় আরএমবি, প্রতিষ্ঠা করে আরএম-ইউএসএল নামের নতুন একটি স্টুডিওকে। সে সময়ে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অ্যানিমেশনশিল্পও সমপরিমাণ আর্থিক সাফল্য অর্জন করবে বলে ধারণা করছিল সংশ্লিষ্টরা।
ভিজ্যুয়াল ইফেক্টশিল্পে এই ধারণা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এই শিল্পে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্টুডিও তাদের ব্লকবাস্টার ছবিগুলোর জন্য ভারতীয় প্রতিভাদের ব্যবহার করেছে। কিন্তু টু-ডি অ্যানিমেশনের স্বাধীন প্রকল্পগুলো অধরাই রয়ে গেছে।
পরবর্তী সময়ে একটি কম্পিউটার গ্রাফিক্স স্টুডিওর দায়িত্বও গ্রহণ করেছিলেন রাম মোহন। গ্রাফিতি মাল্টিমিডিয়া নামের এই স্টুডিওর সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি।
২০০৬ সালে বাচ্চাদের জন্য একটি অ্যানিমেশন স্কুল স্থাপন করেন রাম মোহন। গ্রাফিতি স্কুল অব অ্যানিমেশন নামের এই স্কুলটি নির্মাণের পাশাপাশি ক্রিশ ত্রিশ এবং বাটলিবয় শিরোনামে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তরুণ প্রজন্মকে পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
নিজের কাজকে সব সময় ভালোবেসে এসেছেন রাম মোহন। এই ভালোবাসা এতই গভীর ছিল যে কখনো অবসর নেওয়ার কথা চিন্তাও করেননি তিনি। বয়স আশি হয়ে যাওয়ার পরও কাজ চালিয়ে গেছেন।
৮৪ বছর বয়সে একটি স্ট্রোকের শিকার হলেও 'দ্য পি প্ল্যান্ট লিগাসি' নামের একটি ডকুমেন্টারির তত্ত্বাবধান করে গেছেন এই কিংবদন্তি। ২০১৫ সালের এই চলচ্চিত্রে দাদাসাহেব ফালকের প্রাথমিক অ্যানিমেশন পরীক্ষাগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এই ছবিতে বিভিন্ন রং নিয়ে খেলা করার পাশাপাশি টু-ডি, থ্রি-ডি, স্টপ-মোশন এবং টাইমল্যাপ্সের মতো বিভিন্ন অ্যানিমেশন শৈলী ব্যবহার করা হয়।
রাম মোহন ফালকের অগ্রণী প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ব্যস্ত থাকলেও এটি একটি অনস্বীকার্য সত্য যে তাঁর নিজের অধ্যবসায় ভারতীয় অ্যানিমেশনের মান নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বর্তমানে ভারত ও উপমহাদেশের অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রি এমন শিল্পীদের দ্বারা পরিপূর্ণ, যাঁরা হয় রাম মোহনের সান্নিধ্যে তাঁদের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, অথবা রাম মোহনের কাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই পেশায় এসেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন রানী বুরা ডে, শিল্পা রানাদে, শ্রীরং সাথায়, অজিত রাও, কিরিত খুরানা, সঞ্জীব ভাইরকার, গায়ত্রী রাও, ফানি তেতালি, সুমন্ত রাও, প্রকাশ মূর্তি, নীলিমা এবং ই সুরেশ, গীতাঞ্জলি রাও, উত্তম পাল সিং, তিলক শেঠি, মুনজাল শ্রফ, সিমি নালাসেথ, টনি সিং, চেতন শশিতাল এবং বাংলাদেশের মোহাম্মদ শিহাবুদ্দিন।
রাম মোহনের চলচ্চিত্রগুলো যেন আমাদের এখন ভারতীয় অ্যানিমেশন মাধ্যমের গল্পই বলে যায়। যে মাধ্যম গত কয়েক দশক ধরে কোনো না কোনোভাবে নিজেকে বাঁচিয় রেখেছে এবং সে জন্য টুথপেস্ট বিক্রি করা থেকে শুরু করে মানুষের বিবেককে আঘাত করা পর্যন্ত সব ধরনের আধেয়ই নির্মাণ করেছেন তাঁরা।
৫৯ বছর ধরে এই মশাল জ্বালিয়ে রেখেছিলেন রাম মোহন। এই দীর্ঘ সময়ে নিজের শিল্পের মাধ্যমে মানুষকে হাসিয়েছেন, কাঁদিয়েছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন এবং সর্বোপরি মানুষের সঙ্গে একটি বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন, যা তাঁকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখবে।