‘দ্য জাঙ্গল বুক’ যখন ভারত, উপনিবেশবাদ দোষে দুষ্ট!
জোসেফ রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের 'দ্য জঙ্গল বুক' সাতটি ছোটগল্পের এক সিরিজ, যার অধিকাংশ ঘটনাই ভারতের জঙ্গল বা অরণ্যে ঘটতে দেখা যায়। যেহেতু বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৯৩ সালে, সেহেতু অনেকেই ভেবে থাকেন যে 'দ্য জঙ্গল বুক' আসলে পশ্চিমা সংস্কৃতি কর্তৃক ভারতকে 'উপনিবেশ' করার এবং কীভাবে পশ্চিমা 'প্রাচ্যবাদ' বা 'ওরিয়েন্টালিজমে'র ধারণায় 'পূর্ব' বা 'অপর'কে পশ্চিমা সংস্কৃতির ক্ষমতায় সৃষ্টি করা হয় এবং পশ্চিমা রচনায় 'পূর্ব' বা 'অপর' সম্পর্কে এসব ধারণা প্রতিফলিত হতে দেখা যায়, তারই একটি প্রতিফলন।
'দ্য ক্রিটিক্যাল ট্র্যাডিশন'-এ 'পোস্ট কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড এথনিক স্টাডিজ'-এর মুখবন্ধে মিশেল ফুকো একটি তত্ত্ব খাড়া করেন যে 'জ্ঞান' জিনিসটির স্বতসিদ্ধভাবেই অন্যর ওপর ক্ষমতা বিস্তারের সুযোগ রয়েছে এবং এর ওপরে ভিত্তি করেই এডওয়ার্ড সাঈদ তাঁর 'ওরিয়েন্টালিজম' বা 'প্রাচ্যবাদ' এবং 'আদার' বা 'অপর' বিষয়ক তত্ত্বাদি বিষয়ে কথা বলেন বা তত্ত্ব নির্মাণ করেন। ফুকোর তত্ত্বের সাথে একমত হয়ে এটুকু সহজেই বোঝা যায় যে কেন একটি পশ্চিমা জাতি অপরকে 'উপনিবেশিত' করার বিষয়টি কীভাবে অন্যদের চেয়ে ভালো বোঝে, যেহেতু জ্ঞানসহ নানা বিষয়ে তারা অনেক বেশি অগ্রসর, অগ্রসর সেসব জাতির চেয়েও, যারা এখনো 'উপনিবেশিত' হয়নি। এই অ-পশ্চিমা জাতিগুলোর ওপর নিজেদের জ্ঞানকে চাপানোর মাধ্যমেই পশ্চিম তার শক্তিঅর্জন করেছে, যেহেতু এই অ-পশ্চিমা জাতিগুলো আরও দ্রুত উপনিবেশিত হবার জন্য পশ্চিমা সংস্কৃতির আদর্শ ও নেতৃত্ব দ্বারা একধরনের বলপ্রয়োগের ভেতরেই থাকে।
সাঈদের মতে, 'ওরিয়েন্টালিজম' বা প্রাচ্যবাদ পশ্চিমা সংস্কৃতির সৃষ্টি এবং অন্য সংস্কৃতিগুলোর ওপর পশ্চিমকে আধিপত্য জারি রাখতে এবং পশ্চিম এতদিন ধরে যে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করেছে, তা চাপিয়ে দিতে সাহায্য করে। 'ওরিয়েন্ট' বা 'প্রাচ্য' নিজেই পশ্চিমা সংস্কৃতির একটি সৃষ্টি এবং সংস্কৃতির চোখে 'অন্য'কে যেভাবে দেখা হয়, সেটা পশ্চিমের চোখেই দেখা। সাঈদের মতে, পশ্চিমের চোখে পূর্বের সম্পর্কে কিছু চারিত্র্য লক্ষণজুড়ে দেওয়া হয়, যা পশ্চিমের সংস্কৃতি বা সাহিত্যে বিপুলভাবে উপস্থিত থাকে। 'দ্য জঙ্গল বুক'-ও এমন এক উদাহরণ।
জেনহচকিস উল্লেখ করেন যে ইউরোপীয় সংস্কৃতি অনুসারে 'অপর'-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো অলস, ব্যভিচারী বা যৌনপ্রশ্নে অনৈতিক, ধূর্ত (প্রতারণাপূর্ণ বা কৌশলী), নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতায় পরিপূর্ণ।'দ্য ক্রিটিক্যাল ট্র্যাডিশন'-এ 'পোস্ট কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড এথনিক স্টাডিজ'-এ এডওয়ার্ড সাঈদ ইঙ্গিত করেন যে কীভাবে পশ্চিম পূর্বকে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহে চিহ্নায়িত করে তাকে আসলে অযৌক্তিক, শিশুসুলভ বা অপরিণত হিসেবে দেখাতে চায়। পূর্বকে পশ্চিম কীভাবে দেখাতে যায়, সেটা উল্লেখ করার মাধ্যমে পশ্চিমাদের একজন হওয়াটা কেমন, সেটাও সাঈদ বুঝিয়ে দেন। সাঈদ আরও বলেন যে পশ্চিম নিজেকে সবসময়ই যৌক্তিক, গুণবান, পরিণত ও স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপিত করে। 'দ্য জঙ্গল বুক'-এ পশ্চিম সেভাবেই উপস্থিত। এই উপন্যাসে 'প্রাণী'রা সবাই ধূর্ত, নিষ্ঠুর (তারা গ্রামবাসীদের শিশুকে ছিনিয়ে নেয়), নৃশংস (তাদের জীবনধারা খুবই ক্রূর) এবং স্বতন্ত্র (একই প্রজাতির নয়)।
ভারতের ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই ব্রিটেন কীভাবে ভারতীয়দের দেশ দখল করে তাদের একটি 'উপনিবেশিত জাতি' হিসেবে গড়ে তোলে—এটা ছিল তাদের 'ঔপনিবেশিকীকরণে'র একটি ধারণা মাত্র। 'ওরিয়েন্টালিজম'-এর আওতায় ভারতকে একটি জাতি হিসেবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকেরা এই দেশটিকে নিজেদের ভাবধারা ও চিন্তা-চেতনায় গড়ে তোলার সুযোগ পেল। এটা নিশ্চিত যে ব্রিটেন নিজেকে সেভাবেই সংজ্ঞায়িত করতে চেয়েছে, যেভাবে পশ্চিমারা নিজেদের করে থাকে—যৌক্তিক, গুণবান, পরিণত এবং স্বাভাবিক—ঠিক ভারতীয় নেটিভদের উল্টো।
ড্যানিয়েল সেরেডের মতে, পশ্চিমারা তাদের সংস্কৃতিতে 'অন্য' বা 'অপর'কে যেভাবে দেখে, সেভাবেই 'প্রাচ্য'কে বিশেষায়িত করা হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই যেমন 'দ্য জাঙ্গল বুক'-এ ভারতীয় সংস্কৃতিকে পশ্চিমা সংস্কৃতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন বা বৈরী কিছু হিসেবে দেখানো হয়। উপনিবেশিত ভূমিকে পশ্চিমারা নিজেদের সংস্কৃতি অনুযায়ী পুনঃসংজ্ঞায়িত এবং পুনর্গঠিত করতে চায়, দেখাতে চায় কীভাবে তাদের 'জাতি'র ধারণা নতুন ভূমিতে কাজে লাগানো যায়।
'দ্য জাঙ্গল বুক'-এ অরণ্যের প্রাণীদেরই 'অপর' বা 'অন্য' উপাধিটি দেয়া হয়, যেহেতু এই পশুরা 'অ-উপনিবেশিত' এবং গ্রামবাসীদের মতে ওদের কাজ চালিয়ে নেবার মতো কোনো সমাজ নেই। আমরা দেখতে পাই যে কেমন চুপিসারে 'অপর'-এর উপাধিটি জঙ্গলের প্রাণীদের দেওয়া হয়, যখন কিনা মুগলিকে গ্রামে ছুড়ে ফেলা হয় এবং গ্রামবাসীরা মুগলিকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, কিন্তু মুগলি এখন যতটা না গ্রামবাসীদের মতো, তারও চেয়ে বেশি জঙ্গলের প্রাণীদের মতো, কিন্তু গ্রামবাসী মনে করে যে মুগলিকে এখন তাদের সমাজে চলার মতো হতে হবে। গ্রামবাসীরা নিজেদের সমাজকে 'শ্রেয়তর' ভাবে (জঙ্গলের প্রাণীদের চেয়ে ঢের ঢের ভালো) এবং নিজেদের রীতি-নীতি মুগলির ওপর চাপিয়ে দিতে চায় যেন তাকে অন্য জংলি প্রাণীদের চেয়ে আলাদা করা যায়। মুগলির কোন কাজ যখনই গ্রামবাসীর চোখে 'ভিন্ন' বা 'আলাদা' মনে হয়, তখনই তারা তাকে বদলাতে চায় যেন মুগলি অনেকটা বেশি তাদের মতো হয়, আর যেন সে 'অন্য'দের মতো বা জংলি প্রাণীদের মতো না হয়, যেহেতু গ্রামবাসীর মতো হওয়াটাই সংস্কৃতি, কিন্তু মুগলি এই বদলের প্রতি খানিকটা প্রতিরোধী।
'দ্য জঙ্গল বুক'-এ আমরা দেখতে পাই যে কীভাবে গোটা ভারতবাসীকে শুরু থেকেই 'অপর' হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে এবং তাদের ক্রমাগতভাবে এই সাতটি গল্পেই 'অপর' হিসেবে দেখানো হয়। মুগলি যখন প্রথম গল্পে দেখা দেয়, তখন তাকে মানুষ বলে জানা যায়, সে 'পশু'দের কেউ নয়, তবু পশুরা তাকে গ্রহণ করে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজেদের একজন হিসেবে যত্ন করে। জঙ্গলের পশুরা মুগলিকে 'ভিন্ন' বা 'অপর' কেউ হিসেবে দেখে না, যতক্ষণ না শের খান (বাঘ) তাকে 'অপর' হিসেবে উল্লেখ করে এবং এরপরই শের খান ক্ষমতা পায় মুগলিকে স্বাভাবিক করার অথবা তাকে 'খেয়ে ফেলা'র, যেহেতু মুগলি 'অস্বাভাবিক'।
অন্যদিকে আমরা অন্য মানুষদেরও এই বইয়ে দেখতে পাই, যারা 'জঙ্গলের প্রাণী' হিসেবে এই বইয়ে 'অপর'কে প্রতিনিধিত্ব করছে। 'প্রাণী'দের চোখে মানুষ 'অপর' আর মানুষের চোখে 'প্রাণী' অপর। 'অপর' হিসেবে ভারতীয়দের এই বইয়ে অব্যাহতভাবে চিহ্নিত করা হয়। এতে শুধু জঙ্গলের প্রাণীদের নয়, আসলে ভারতীয়দেরই 'অন্য' এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন কেউ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জেন হচকিসের মতে, কিপলিং নিজেই ভারতে জন্মেছেন এবং কিছুদিন সেখানে কাটিয়েছেন, তবে তিনি আমেরিকাতেও থেকেছেন এবং দুই দিকের গল্পটাই তিনি জানেন—মার্কিনিদের চোখে তিনি ভারতীয়দের একজন হিসেবে ছিলেন এবং ভারতীয়দের চোখে তিনি মার্কিনিদের একজন। 'দ্য জাঙ্গল বুক'-এর ঘটনাটা একইরকম। মুগলিকে খুবই অল্প বয়স থেকে জঙ্গলের পশুদের ভেতর কাটাতে হয় বলে একদিকে সে পশুদের একজন আর জৈবিকভাবে বললে সে ভারতীয় গ্রামবাসীদের একজন।
দুই দিকেরই একজন হবার সুবাদে মুগলি প্রথমে নেকড়েদের ঝাঁকে বড় হবার সুবাদে মানুষকে 'অপর' হিসেবে দেখার সুযোগ পায় এবং পরে মানুষের সাথে বসবাসের সময় পশুদের 'অপর' হিসেবে প্রত্যক্ষ করে। উপন্যাসে এটাই মূল তত্ত্ব যে কাকে 'অপর' হিসেবে দেখা হবে, সেটা নির্ভর করে তুমি কোন 'গোষ্ঠী'র অন্তর্গত। পশ্চিমারা যেমন অন্যকে 'অপর' হিসেবে দেখার সময় ভাবেনি যে অন্য জাতিগুলোর চোখে তারাও 'অপর'।
হচকিসের মতে, বইয়ের শেষে ' মুগলির ভাই'দের গান দুটো সংস্কৃতির ভেতর বড় হওয়া মুগলির অর্ন্তদ্বন্দকে প্রতিফলিত করে—একদিকে সে বড় হয়েছে জঙ্গলের প্রাণীদের সাথে, অন্যদিকে ভারতীয় গ্রামবাসীদের সাথে সে জৈবিক সূত্রে গ্রথিত। মুগলি বলে, 'আমি গ্রাম ও জঙ্গলের ভেতর উড়ে বেড়াই' আর একথা ভেতর দিয়ে সে বোঝায় যে দুইয়েরই অংশ হিসেবে কীভাবে সে গ্রাম ও জঙ্গলে সময় কাটায়। কিপলিং নিজেও যেমন ভারতীয় সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা ও জন্মসূত্রে মার্কিনি হিসেবে এ দুয়ের টানাপোড়েনের ভেতর জীবন কাটানো এক মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রত্যক্ষ করেছেন।
'দ্য জাঙ্গল বুক'-এর রাজনীতি নিয়ে বলতে গিয়ে ল্যরা স্টিভেনসন বলেন যে এই বইয়ে কিপলিং মুগলিংয়ের গল্পগুলোকে শামসুল ইসলামের আলোচনায় যেমন ঔপনিবেশিক আইনের একধরনের প্রকাশ হিসেবে দেখা হয়, তেমনটাই দেখানো হয় এবং নর্ম্যান ম্যাকক্লর কিপলিংয়ের এই সাতটি গল্পকেই 'সামগ্রিকভাবে ঔপনিবেশিক শিক্ষা ও আইনের উপকথা' হিসেবেই দেখান, যেখানে কিনা 'পশুদের প্রতি মুগলির আচরণ ঠিক ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের আচরণের মতো।' জঙ্গলের আইনে এখানে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আইনই প্রতিফলিত হয়েছে। স্টিভেনসন আরও বলেন যে ব্রিটিশেরা ভারতীয়দের সাথে ঠিক যেমন ব্যবহার করেছে, মুগলিও বনের পশুদের সাথে তাই করে। আবার যখন পশুরা তার জীবিকাকে বিপন্ন করে, তখন সে পশুদের হারায়, যেভাবে ব্রিটিশরা ভারত বা অন্যান্য উপনিবেশিত জনপদকে হারিয়েছে।
হচকিস আরও জানান যে রুডলিংয়ের এই আখ্যানে গ্রামবাসীরা ঔপনিবেশিক বসতিস্থাপনকারী এবং পশুরা ১৭৫৭-এর ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়া ভারতীয়দের প্রতিনিধিত্বও করে। ১৭৫৭ সালে প্রথম বাংলা বিজয়ের পর গোটা ১৮০০ শতক ধরে ব্রিটিশ ধীরে ধীরে গোটা ভারত জয়ের পথে এগোলে ১৮৫৭ সালে ভারতীয়রা একটি বড় বিদ্রোহ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। কিপলিংয়ের উপন্যাসে পশুরা বিদ্রোহী ভারতীয়, যেহেতু এই পশুরা জঙ্গলে কোনো 'ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি'র ভেতর বড় না হলেও তাদেরও একটি নিজস্ব সমাজ ও তার নিয়ম-নীতি রয়েছে, ঠিক যেমন ব্রিটিশরা এসে ভারতকে ঔপনিবেশিক শিক্ষার ছাঁচে ঢেলে ফেলবার আগে তাদের নিজস্ব সমাজ ও সংস্কৃতি ছিল। এই জঙ্গলের পশুরা যে আসলে প্রতীকীভাবে বিদ্রোহী ভারতীয়, তার আরেকটি বড় প্রমাণ হলো গ্রামবাসীরা যখন মুগলিকে বদলে ফেলতে চায়, তখন সে সহজে বদলগুলো নিতে চায় না—যেমনটা নিতে চায়নি বিদ্রোহী ভারতীয়রা।
গ্রামবাসীর চরিত্রের সাথে ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপনকারীদের দারুণ মিল আছে। যেমন ব্রিটিশরা প্রথমে এই 'দ্য জাঙ্গল বুক'-এর গ্রামবাসীর মতোই বুঝতে পারেনি যে পশুদেরও নিজস্ব একটি সুসমন্বিত ও সংগঠিত সমাজ আছে এবং 'উপনিবেশিত' হবার জন্য তাদের গ্রামবাসীর কাছ থেকে কোনো সাহায্য দরকার নেই বা তারা 'উপনিবেশিত' হতেও চায়না। গ্রামবাসীর জঙ্গলের পশুদের বন্য ও বর্বর হিসেবে প্রত্যক্ষ করে, শুরুতে তারা মুগলিকে দেখে তাকে অন্য পশুদের থেকে 'আলাদা' ভাবে এবং তারপর তাকে শেখাতে চায় যাতে তার 'ভালো' হয়। মুগলি সারাজীবন পশুদের সাথে কাটাবে, এটা যেমন পাগলাটে এক ভাবনা, তেমনি মুগলির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গ্রামবাসীই বরং বর্বর এবং পশুরা তার পরিবার যেহেতু, সে জীবনের খুব অল্প বয়স থেকে অনেকদিন এদের সাথে কাটিয়েছে।