আমি জীবনানন্দের মেয়ে
১
২২.৯.১৯৬১- মিসক্যারেজের আগে দুদিন ধরে পিটিয়েছেন টেড হিউজ। তারই জন্মদিনে জন্ম নেওয়ার কথা যে শিশুর, তাকে হারাতে হলো।
৯.১০.১৯৬২- সিলভিয়া প্লাথ লিখেছেন, আমার মনে হচ্ছে হিউজ আমায় খুন করতে চায়।
২১.১০.১৯৬২- সিলভিয়া প্লাথ দাবি করেছেন, হিউজ প্রকাশ্যে তার মৃত্যু কামনা করেছেন।
৪.২.১৯৬৩- পাগলামি ফিরে আসায়, অবশ দশা ফিরে আসায় আমার ভয়।
একমাত্র ২০১৭ সাল নাগাদ এক মার্কিন বই বিক্রেতা, মনোচিকিৎসক ও প্লাথের মধ্যকার চিঠিপত্র- কপিরাইট, নৈতিকতার বালাই না রেখে বিক্রি করবার জন্য নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেন। রাতারাতি আবার সেসব পত্রিকায় নানা মুখরোচক নিবন্ধের জন্ম দিয়ে গায়েব হয়ে যায়। প্লাথের কলেজ স্মিথ মালিকানা পেলো চিঠিগুলোর। প্রকাশ করবার জন্যে প্লাথের কন্যা ফ্রিডা হিউজের সাথে আলাপ করতে চাইল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দ্বিধায় ভুগছিলেন ফ্রিডা। তাই সিদ্ধান্ত নেবার আগে পড়তে চাইলেন। চৌদ্দটি চিঠি- প্লাথ হিউজ দম্পত্তির সবচেয়ে অন্তরঙ্গ সময়ের নথিপত্র প্লাথের বয়ানে।
কন্যা এক রোববারের অবসরে স্ক্যানড করা চিঠির প্রিন্ট আউট পড়া শুরু করলেন। মা-বাবার সম্পর্ক ও তার ফাটল পড়তে পড়তে বেলা গড়িয়ে আসছিল। সপ্তম চিঠিতে মা লিখছেন, 'আমার মনে হয় না আমি আর সুইসাইডাল টাইপের মানুষ।' মায়ের এই বাক্যে মেয়ের আনন্দ হয় কেন না পত্রিকার ওই সব অরুচিকর নিবন্ধে এই গদ্যের শুরুর যে উদ্ধৃতাংশ, সেসব ফ্রিডাকে অত্যন্ত আহত করেছিল। 'কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!' নবম চিঠিতেই বিচ্ছেদের বীজ। এই বিশেষ চিঠিগুলো পড়ার পর মেয়ের অনুভূতি, 'ইট সিমড টু মি দ্যাট দ্য স্পার্ক অব মাই প্যারেন্টস ফার্স্ট মিটিংস ইগনাইটেড এ ফায়ার, হুইচ দেন বার্ন্ড সো ব্রাইটলি ইন দ্য মাইক্রোকসমিক ইউনিভার্স দে কনস্ট্রাক্টেড ফর দেমসেলভস দ্যাট দে বার্ন আউট অব অক্সিজেন।' চিঠিতে মেয়ে দেখতে পাচ্ছে, সিলভিয়া হিউজের পাণ্ডুলিপি রাগের মাথায় ছিঁড়লেও এমনভাবে ছিঁড়ছেন যাতে জোড়া লাগানো সহজ হয়। একাদশ চিঠিতে আছে টানা দুই সপ্তাহ টেডকে না দেখে তিনি মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করছেন। তার উপর অ্যাশিয়া নামের অন্য নারীকে নিয়ে লেখা স্বামীর দুটি প্রেমের কবিতা পেলেন, ক্রুদ্ধ স্ত্রী তবু প্রকৃত কবিতা পাঠক অন্তরের প্লাথ লিখছেন, 'ফাইন পোয়েমস। অ্যাবসোলিউট ইমপ্যাশন্ড লাভ পোয়েমস।'
সিলভিয়া প্লাথ লেটার্সের দ্বিতীয় খ-ের ভূমিকায়, সাড়ে দশ পৃষ্ঠাজুড়ে ফ্রিডা হিউজ, সিলভিয়া প্লাথ টেড হিউজ দম্পতির কন্যা, চৌদ্দটি নতুন আবিষ্কৃত চিঠির সূত্র ধরে অনুসন্ধানী তৎপরতায় বুঝে নিতে চাইছিলেন, তাঁর কবি বাবা-মায়ের ঘূর্ণিঝড়প্রতিম দাম্পত্যে বাবা টেড যে খলনায়ক হয়ে আছেন আমজনতার মনোবীজে, সেটির সত্যতার মাত্রা। একজন সংবেদনশীল নারীর পক্ষে নিজের বাবা-মায়ের অতিব্যক্তিগত নির্জনে প্রায় অনধিকার প্রবেশ করে এইসব সম্পর্কের রোদ-তাপ-জলহাওয়া আত্মার উপর দিয়ে বইয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কতই না মর্মান্তিক!
মঞ্জুশ্রী দাশ, জীবনানন্দের একমাত্র মেয়ে সম্পর্কে ভাবতে গিয়ে ফ্রিডার কথা মনে পড়ল। কবি জীবনানন্দ, ধরা যাক, 'মাল্যবান' উপন্যাসে স্ত্রীকে অসংবেদনশীল মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করবার বিষয়টি মেয়ের কেমন লেগেছিল? তিনি কি এই বিষয়ে বিশদ কিছু লিখেছিলেন? সংক্ষিপ্ত উত্তর : না। তবে, এই গদ্য কেন? আমি দেখতে চাইছিলাম, ছিন্ন দাম্পত্যে একমাত্র মেয়ের এই আলোরোদভরা দুনিয়ার যাত্রাপথটুকু, আর কিছু নয়।
২
মঞ্জুশ্রী দাশ, একমাত্র মেয়ে কবির। মঞ্জুর জন্ম বাবার জন্ম মাসেই- উনিশ শ একত্রিশ সালের পনেরোই ফেব্রুয়ারি। জীবনানন্দ দাশের দিনপঞ্জির একটি ভুক্তি এমন, 'যখন আমি আমার পরিত্যক্ত ছোটো মেয়েটির কথা ভাবি, উদলা, টুরটুর করে হাঁটছে, এবং সকলের দিকে তাকাচ্ছে, যেখানে সবাই সহানুভূতিহীন, আমার চোখের জল বাঁধ মানে না।' মহৎ কবি সাধারণত ভবিষ্যৎদর্শী হন। মাত্র চৌষট্টি বছরের জীবনকাল পাওয়া মেয়ের জীবনের রাস্তার শেষটুকু তিনি আঁচ করেছিলেন যেন টলোমলো পায়ে, উদলা গায়ে টুরটুর হাঁটতে দেখেই। শিশুবেলায় মঞ্জুশ্রী আমাশায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সারছিলেন না কোনোভাবেই। বিছানায় শুতে চাইত না দুর্বল হয়ে আসা চড়ুই পাখির মতো বাচ্চা মেয়েটি। খালি বলত কোলে শুয়ে ঘুরব। কবিবউ লাবণ্যের জবানিতে, 'যে কাজ আমার দ্বারা হতো না। মেয়েকে কাঁধের উপরে শুইয়ে রাতের পর রাত তিনি ঘরের ভেতর ঘুরে বেড়াতেন। একটুও ক্লান্তি বোধ করতে কোনো দিন দেখিনি।'
মেয়ে যখন কিশোরী, বাবা উৎসর্গ করলেন 'মহাপৃথিবী' কবিতাবই। তেরো শ একান্নের শ্রাবণে বেরিয়েছে, মেয়ে চৌদ্দ বছরের সদ্য কিশোরী। বই পড়লে আমরা দেখতে পারব, কবি বাবা এক আশ্চর্য সংকেত লিপি তৈরি করছেন যেনÑযা মেয়েকে জীবনজুড়ে উদ্ধার করে যেতে হবে। হলুদ পাতার গন্ধে মন ভরে ওঠা শালিক, জ্যোৎস্না বনের পথে চিতাবাঘের গায়ের ঘ্রাণ, চিরদিন ভেসে থাকা কোনো এক মৃণালিনী ঘোষালের শব, ব্যবহৃত হয়ে যাওয়া কোকিলের গান, তিমির মৃতদেহের দুর্গন্ধের মত পৃথিবীর সমস্ত রূপ, আদিম সাপের সহোদরার মতো ট্রামের লাইন (যার ছোবলে একদিন তিনি শেষরহিত হবেন), বাদুড়ের খাদ্য হয়ে যাওয়া কারো জঙঘা আর স্তন- এইসব বোধ সারা জীবন মেয়েকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে।
মঞ্জুশ্রীও লিখেছেন বাবাকে নিয়ে আন্তরিক গদ্য। এই গদ্যে পূর্ণরূপে পাওয়া যায়, তীব্র মেধাবী উজ্জ্বল- এই শতাব্দীর পারমাণবিক বিস্ফোরণপ্রতিম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবির সকল আবরণ সরিয়ে, একজন নরম কোমল স্নিগ্ধ বাবাকে। দেশের মানুষ ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল, তখন ইংরেজের দাস হতে না চেয়ে অপেক্ষাকৃত সহজ হলেও ভালো চাকরি করতে চাইতেন না। জীবনানন্দের প্রকাশভঙ্গি ছিল, কন্যার মতে, 'অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত, অনেকটা জাপানি কবিতার মতো।' অনেক রাত পর্যন্ত লিখতেন-পড়তেন আর কিছু জিজ্ঞেস করলে বলতেন, 'দেখছিস না কী রকম ইস্পাতের মত নীলাকাশ।'
একবার বসন্ত হয়েছিল মঞ্জুশ্রীর। প্রতিদিন সকালে-বিকালে ভাইয়ের বাড়ি কবি মেয়েকে দেখতে যেতেন। 'আশীর্বাদের মতো হাতখানি মাথায় রাখতেন।'- জানাচ্ছেন কবিকন্যা। একদিন বইয়ের তালিকা নিয়ে কিনে দিতে চাইলেন। মেয়েকে ভালো করে পড়বার উৎসাহ দিতেন। জানাতেন, ফার্স্ট ক্লাস পেতে গেলে ভালো করে পড়তে হয়। কবির মৃত্যুর সময় বর্ণনা করবার সময় আমাদের মঞ্জুশ্রী বুঝিয়ে দেন, বৌদ্ধ দর্শন থেকে একমাত্র কন্যার নাম দিয়ে কবিতার বীজই আসলে চারিয়ে দিচ্ছেন বাবা। কন্যার অস্তিত্বে শিকড়বাকড় ক্রমসম্প্রসারিত হয়েছে। তিনি কবিতা লিখেছেন। অন্তিম সময়দৃশ্যটি এমন, 'সেটা ১৯৫৪-এর ২২ অক্টোবর, রাত প্রায় সাড়ে এগারো। আমার সবচেয়ে প্রিয়জনের ধূসর সময়।'
৩
মঞ্জুশ্রী মেচেদা থেকে লোকাল ট্রেনে ফেরার সময় বাবার স্যুটকেসভর্তি পাণ্ডুলিপি হারিয়ে ফেলেন। হাওড়া স্টেশনে নেমে স্যুটকেস না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। কলকাতা পুলিশ বিশেষ তৎপর হয়। খোঁজ মেলে কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ায়। পুরোনো বইয়ের দোকান, মুদির দোকান এমন সব জায়গায় কিছু খাতা উদ্ধার করা হয়। হারানো খাতার পাতা ছিঁড়ে বানানো ঠোঙায় সর্ষে বিক্রি হচ্ছিল। আপামর বাঙালি জীবনানন্দপ্রেমিকের চোখে সর্ষেফুল দেখিয়ে সেসব হারিয়ে যাচ্ছিল দূর দূর প্রান্তে। সাত কেজি ওজনের বাজে কাগজের স্তূপ সাড়ে বারো টাকায় কিনেছিলেন মুদিদোকানদার। উনিশ শ আশি সালের সেপ্টেম্বরের দশ তারিখ নিজ স্বাক্ষরিত বাবার বই দিয়েছিলেন পুলিশ কর্তাকে, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে।
অমিতানন্দ দাশসূত্রে একটা ঘটনা জানা যায়। দিল্লি সফরে গিয়ে তিনি হঠাৎ খেয়ালে বায়না করায় মঞ্জুশ্রী হাতের বালা কিংবা গলার হারজাতীয় কিছু একটা খুলে দেন। বেশ দামি ও ভারী জিনিসটা হারিয়ে ফেলেছিলেন বালক অমিতানন্দ। বছর বিশেক বয়সী কবিকন্যার কোনো তাপ-উত্তাপ দেখা যায়নি। এই ঘটনা আমাদের জানার পরিধিতে আসায় মঞ্জুশ্রী চরিত্রের একটি নিরুত্তাপ, নির্লোভ দিক আমাদের সামনে উন্মোচিত হয়।
এখনো অভিনেত্রী, পরিচালক অপর্ণা সেন বেঁচে আছেন। তাঁর বাবা চিদানন্দ দাশগুপ্ত আমার চট্টগ্রামেরই সন্তান। সত্যজিৎ রায়ের অন্যতম বিদ্যালয় কলকাতা ফিল্ম সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। তাঁকে চিঠি দিয়ে, অপর্ণার সাথে মঞ্জুশ্রীর তুলনা করে ব্যথা প্রকাশ করতেন কন্যাকাতর জীবনানন্দ দাশ। কেমন ছিলেন মানুষ মঞ্জুশ্রী?
কথাসাহিত্যিক, কমলকুমার গবেষক হিরন্ময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জবানিতে জানা যাচ্ছে, 'জাতীয় গ্রন্থাগারের এক কোণে মঞ্জুশ্রী চুপচাপ পড়াশোনা করতেন। একবার ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করি। সেই নিজস্ব খোলশে। বুদ্ধদেব বসুর মেয়েদের পাশে...সত্যি, জীবনানন্দের দুশ্চিন্তা যথার্থ ছিল।' উপন্যাস 'মাল্যবান'-এ মঞ্জুশ্রী মনু, 'মনু চেয়ারে এসে বসল বাপের মুখোমুখি। মাল্যবান তাকে সান্ত্বনা দেবার কোনো ভরসা পাচ্ছিল না। মেয়েটির দিকে তাকাতেও গেল না সে। মেয়েটির পাশে বসে আছে-কেমন কানা ভাঙা খোনা খেমটা উত্তেজের অবসাদে মাল্যবানের মন ভারি হয়ে উঠতে লাগল। নিজে সে বাপ হয়েছিল-বিয়ে করেছিল-হীন কুৎসিত উচ্চুণ্ডে জীবনবীজ ছড়িয়েছিল ভাবতে-ভাবতে মন তার চড়চড় ক'রে উঠল। একটা পাখি সৃষ্টি ক'রে তাকে যদি ইঁদারার অন্ধকারে ফেলে দেওয়া হয়- কেমন ছটফট করে উঠতে লাগল মাল্যবানের ভেতরটা।' ঔপন্যাসিক জীবনানন্দ প্রায় কখনোই ব্যক্তি জীবনানন্দকে আড়াল করতে পারেন না।
৪
পাঠিকা, মধুসূদন সান্যালকে চেনেন? আমিও চিনতাম না অবশ্য। কথাসাহিত্যিক, প্রয়াত অদ্রীশ বিশ্বাস দুই হাজার সতেরো সালের তিন মার্চ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, 'এইমাত্র জানা গেল মধুসূদন সান্যালের সঙ্গে জীবনানন্দ দাশের মেয়ে মঞ্জুশ্রী দাশ দার্জিলিংয়ে যাওয়ার জন্যে, এটাকে একটা অন্যায় বলে গণ্য করে মঞ্জুশ্রী দাশের চাকরি যায় সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে। ভাবুন কোন দেশে বাস করি আমরা? কারা আমাদের সহনাগরিক?' জনৈক শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্যঘরে জানাচ্ছেন, তিনি সপ্তম শ্রেণিতে পড়বার সময় মধুসূদন বাবু অবসর নেন। ছিলেন গণিতের শিক্ষক, ভালো ইংরেজি জানতেন ও ইংরেজিতে কবিতা লিখতেন। দার্জিলিং বেড়াতে যাওয়া অপরাধ হলে মধুসূদন বাবুর কিন্তু কিছু হয়নি।
মঞ্জুশ্রী জার্মান ভাষা শিখেছেন কিছুকাল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার ছাত্রী ছিলেন। বাবার উপর পিএইচডি শুরু করে শেষ করেননি। তার নানা সময়ের সরাসরি শিক্ষক, সহপাঠীদের বরাতে জানা যায়, তিনি ছিলেন অস্থিরচিত্ত, এলোমেলো, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতেন মেধাবী হলেও। বাবার পা-ুলিপি হারানোর জন্য জীবনের শেষ বছরগুলোতে অপরাধবোধে ভুগতেন। জার্মানির বন শহরে গিয়েছেন। বাবার মতো কোথাও থিতু হতে পারেন নাই। ছিন্ন দাম্পত্যের সন্তান আদররহিত পাখি হয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে উড়েছে আজীবন। শেষ বয়সে মনের সচলতা, সাম্য ঠিক রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। মানসিক অসুস্থতার হাসপাতালে উনিশ শ পঁচানব্বইয়ের উনিশে মার্চ মহাপৃথিবীর আকাশে মিলিয়ে গেলেন উদলা গায়ে, টুরটুরে পায়ে হাঁটা কবির স্নেহের মঞ্জু মা। আকাশে মিলিয়ে যাওয়ার আগে অর্থাভাবে দাহ ব্যাহত হচ্ছিল।
জীবনানন্দপ্রেমিক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তখন দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজত্ব করছেন। পরে সুমিতা চক্রবর্তীর সনির্বন্ধতায় মঞ্জুশ্রী ধূসর আকাশে মুক্তি পেলেন।
সত্যতর অর্থে, মুক্তি পেলেন না নিছক লীন হলেন রূপসী বাংলা ছাড়িয়ে মহাপৃথিবীতে?