ফ্যাশন, ওয়েস্টার্ন, গণ-অভ্যুত্থান, আশির দশকের জিনস
আমাদের স্কুলে ছেলেদের ইউনিফর্ম ছিল নেভি-ব্লু শোল্ডার লেস লাগানো সাদা শার্ট, যার বুকে দুটি পকেট এবং বাঁ পকেটে স্কুলের প্লাস্টিকের মনোগ্রাম ঝোলানো, নেভি-ব্লু রঙের ট্রাউজার, কালো বেল্ট, সাদা মোজা, কালো অক্সফোর্ড শু। এ দেশের একটা বড় অংশের স্কুলে বোধ করি ছেলেদের ইউনিফর্ম এই প্রকারের। আমাদের ইউনিফর্মে ঝামেলার বিষয় ছিল ওই নেভি-ব্লু শোল্ডার লেস, অনেক ছেলে এটা পছন্দ করত না। তারা সুযোগ পেলেই শার্টের সাথে সংযুক্ত সাদা শোল্ডার লেস থেকে নীলরঙা স্লিভ আর পকেট থেকে স্কুলের মনোগ্রাম খুলে ফেলত। ফলে প্রতিবেশী আরও কয়েকটা বয়েজ স্কুলের সাথে আমাদের স্কুলের ইউনিফর্মের পার্থক্য থাকত না। যারা স্কুলের গ্রিলবিহীন জানালা দিয়ে সানশেডে নেমে পানির পাইপ ধরে ঝুলে সীমানাপ্রাচীর ডিঙিয়ে ধোপাপট্টির ভেতর দিয়ে স্কুল পালাত, তাদের জন্য ইউনিফর্মের এই পার্থক্য ঘোচানোটা খুব দরকার ছিল। কারণ, রবিবার সকালে মর্নিং শোয়ে ইংলিশ-অ্যাকশন সিনেমা অথবা রবিবার দুপুরের পরপর বাংলাদেশ টেলিভিশনে জনি ওয়েসমুলারের টারজান দেখতে চাইলে স্কুল পালানো ছাড়া উপায় ছিল না। যাদের সাহস আরও বেশি ছিল, অথবা যারা নেশায় পড়ে গিয়েছিল তারা 'বেড়ার ঘরে' ভিসিআরে সিনেমা দেখার জন্য সপ্তাহের অন্যান্য দিনেও স্কুল পালাত। গায়ে যদি স্কুলের এমন ইউনিফর্ম থাকে, যেটা এক শ হাত দূর থেকে দেখে পার্থক্য করা যায়, তাহলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ কারণে শোল্ডার লেস থেকে স্লিভ আর পকেট থেকে মনোগ্রাম খুলে ফেলা। অচিরেই আরেকটি বিষয় আবিষ্কৃত হলো। শার্টের ভেতরে যদি একটা টিশার্ট পরা যায় এবং ট্রাউজারটা যদি জিনস হয়, তাহলে স্কুলের দেয়াল ডিঙিয়ে শার্টটা খুলে ফেললেই কেল্লা ফতে! জিনস-টিশার্টে বরং বেশ ভাব আসে এবং কোনো স্কুলের ইউনিফর্ম বলে মনে হয় না। আমাদের স্কুলের শার্ট ট্রাউজারের ভেতরে টাক-ইন করা বাধ্যতামূলক ছিল। যারা জিনস পরে আসা শুরু করেছিল, তারা দেখল শার্ট টাক-ইন করলে কেমন কেমন যেন লাগে। তাই তারা শার্ট টাক-ইন করা ছেড়ে দিল, ফলে ব্যাপারটা স্যারদের চোখে পড়ে গেল। ইতিহাসের যেকোনো সময়ে যেকোনো স্কুলে স্যারদের কাছে কথা লাগিয়ে দিয়ে ভালো মানুষ সাজার মতো ছেলের অভাব কখনোই হয় না। অতএব তাদের কেউ কেউ শার্টের নিচে টিশার্ট এবং জিনস পরার আসল কারণ যথাস্থানে জানিয়ে দিল। কিছুদিন এটা নিয়ে কিঞ্চিত ধরপাকড়ের পর স্কুল কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিলেন 'জিনস নীল রঙের ট্রাউজার হলেও সেটা ইউনিফর্ম বলে গণ্য হবে না।' স্কুল পালানো দলে 'পুনর্মূষিকো ভব' হলো।
জিনস যেহেতু উনবিংশ শতকে বাজারে চলে এসেছিল এবং বিংশ শতকের মাঝামাঝি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করে, তাই ধারণা করা যায়, আমাদের দেশেও জিনস ওই সময়েই ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তবে ডেনিম ট্রাউজার তথা জিনস তরুণ-যুবাদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল সম্ভবত সত্তরের দশকের শেষ ভাগে। গোড়াতে অপেক্ষাকৃত বয়স্করা সচরাচর জিনস পরতে চাইতেন না, বাচ্চাদের সাইজের আর মেয়েদের জিনস খুব সুলভ ছিল না। অবশ্য পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাক পরতে অভ্যস্থ নয় এমন মেয়েরা জিনস পরার কথা বিবেচনা করতেন না। দেশে তখনো জিনসের কাপড় (ডেনিম) উৎপাদনের কোনো ফ্যাক্টরি ছিল না বলে ডেনিম বা জিনস সবই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এ কারণে জিনসের দামটা একটু বেশি পড়ত। বিক্রেতারা দাবি করতেন ওসব জিনস নাকি থাইল্যান্ড/জাপান/আমেরিকা থেকে আমদানি করা। আমরা আসলে জানতাম না জিনস কোথা থেকে আসত, তাই আমাদের যা বলা হতো, আমরা তাই বিশ্বাস করতাম। দাম বিবেচনায় থাই জিনস আমাদের পছন্দ ছিল।
১৯৮৩ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে বাংলাদেশের প্রথম ওয়েস্টার্ন বইটি বের হয় কাজী মাহবুব হোসেনের লেখা 'আলেয়ার পিছে'। ল্যুই লামুর 'ওয়েস্টওয়ার্ড দ্য টাইড' অবলম্বনে লেখা এই বই আমাদের মনের বনে আগুন লাগিয়ে দিল। আগুনটা শুরুতে অল্পস্বল্প ছিল, পরে সেবা থেকে নিয়মিত ওয়েস্টার্ন বই বের হওয়া শুরু হলে সেটা দাবানলে পরিণত হল। আমাদের ধ্যানজ্ঞানে তখন বুনো পশ্চিম, গরুর পাল, খামার, স্বর্ণের খোঁজ, স্ট্যালিয়ন মাসটাং বে ইত্যাদি ঘোড়া, অ্যাপাচি চেরোকি মোযেভ ইত্যাদি ইন্ডিয়ান, মাথায় কাউবয় হ্যাট, গায়ে ডেনিমের জ্যাকেট, কোমরের দুই পাশের হোলস্টারে গোঁজা দুটি পিস্তল, পরনে ফিট জিনস, যাতে অনেকগুলো পকেট আর রিভেট লাগানো, পায়ে উঁচু হিলের স্পার লাগানো বুট, হাতে ল্যাসো। সেবা প্রকাশনীর ওয়েস্টার্নগুলোতে কিছু কিছু লেখক আবার একজন করে নায়ক তৈরি করে সিরিজ বানালেন; যেমন কাজী মাহবুব হোসেনের এরফান জেসাপ, রওশন জামিলের অ্যালান ওসমান ও ওসমান পরিবারের অন্যরা, হুয়ান কর্টেয সাবাডিয়া, জাহিদ হাসানের ম্যাক্স ওয়াইল্ডার, শওকত হোসেনের ফ্র্যাংক শ্যানন, আলীম আজিজের রুফ টেকন এমন সব। আমরা মনে মনে একেকজন সেসব নায়ক সাজি। যেহেতু ঘোড়া, পিস্তল, ল্যাসো, স্পার লাগানো বুট জোগাড় করা যাবে না, অতএব ডেনিম জ্যাকেট, জিনস আর কাউবয় হ্যাট পরে স্বপ্নপূরণের চেষ্টা করি। তখন সেবা প্রকাশনীর দেখাদেখি অন্য কয়েকটি প্রকাশনী থেকেও ওয়েস্টার্ন বই বের হওয়া শুরু হলো। অমন একটা প্রকাশনী থেকে ওয়াইল্ড বিল হিকককে নিয়ে সিরিজ বের হলো। বাংলা ভাষায় ওয়েস্টার্ন বইয়ের প্রকাশনার ফলে লেখক-প্রকাশকদের অজান্তেই তরুণদের মধ্যে 'জিনস কিনতেই হবে' ব্যাপারটা দাঁড়িয়ে গেল।
তখনো বাংলাদেশে গার্মেন্টসশিল্পে বিপ্লব হয়নি, তাই অ্যালাওয়েন্সের বা স্টক লটের জিনস দিয়ে বঙ্গবাজার, ঢাকা কলেজের উল্টো দিকের মার্কেটের মতো সারা দেশের কম দামি পোশাকের বাজার সয়লাব হয়নি। থান কাপড় কিনে জিনস বানানোর জন্য আমাদের প্রথম পছন্দ ছিল ইব্রাহিম টেইলার্স আর রেডিমেড জিনস কেনার জন্য নিউ এলিফ্যান্ট রোডের দক্ষিণ পাশের দোকানগুলো, বিশেষত মনসুর ভবন, মিনিতা প্লাজা আর তার কাছাকাছি মার্কেটগুলো। আলপনা প্লাজা হতে তখনো ঢেড় দেরি আছে, পিয়ারসন্সের চ্যালেঞ্জার আর সেঞ্চুরী তখন ভালো ব্যবসা করে যাচ্ছে। আমরা এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড় থেকে বাঁ পাশের পোশাকের দোকানগুলো থেকে ঢুঁ মারতে মারতে সায়েন্স ল্যাবোরেটরি মোড়ের পাঞ্জাবির দোকান 'ইয়াদ মুর্শেদ', 'ইবনে জায়েদ', 'ইবনে আয়াজ' পর্যন্ত চলে যেতাম। তখনো 'লিভাইস'-এর জিনস আমরা বাস্তবে দেখিনি – বিদেশি ম্যাগাজিনে ছবি দেখেছি মাত্র। আমরা খুঁজতাম জর্ডেচ, এডউইন, মাউইন, ফপসের মতো ব্রান্ড। তখনকার জনপ্রিয় আরও কিছু ব্রান্ড ছিল, যেগুলোর নাম এখন আর মনে নেই।
বুননের বিবেচনায় টুইলকে যদি 'গণ' (genus) ধরা হয়, তাহলে ডেনিম আর কর্ডরয়কে তার 'প্রজাতি' (species) বলা যায়। জিনস যখন সবে জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে, তখন তার দূরসম্পর্কিত জ্ঞাতি ভাই কর্ডরয়ের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে শনৈ শনৈ গতিতে বাড়তে থাকে। সাধারণ হিসাবে দুটোই মোটা, তবে কর্ডরয় মোলায়েম। কর্ডরয়ের এই রাজত্ব খুব বেশি দিন টিকতে পারেনি তার গায়ের ছালবাকল উঠে গিয়ে বিচ্ছিরি রূপ ধারণ করত বলে। এই ঘটনার পরে আশির দশকের শুরু থেকে বাংলাদেশে জিনসের যে অগ্রযাত্রা শুরু হলো, তা মোটামুটি অব্যাহত আছে। এর মাঝে কটন ক্যানভাস, কটন অক্সফোর্ড, গ্যাবার্ডিন ইত্যাদি অনেক কিছু এসেছে, যার বেশির ভাগ অল্প সময়ে বিদায় নিয়েছে কিন্তু জিনসের অবস্থান মোটামুটি অব্যয়, অক্ষয় আছে। প্রথম প্রথম শুধু ডেনিমের ট্রাউজার বা জিনস পাওয়া যেত। এরপরে আস্তে আস্তে ডেনিমের শার্ট, জ্যাকেট, স্কার্ট আসা শুরু করল। আমরা এর সবগুলোকে যথাক্রমে জিনসের প্যান্ট, শার্ট, জ্যাকেট, স্কার্ট বলতাম। ডেনিমের ক্যাপ আর ব্যাগ এসেছে আরও অনেক পরে, তত দিনে বাংলাদেশে জোরেশোরে ডেনিম উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। প্রথম প্রথম জিনস পাওয়া যেত শুধুই ঘন নীল রঙের। আশির দশকের মাঝামাঝি হালকা নীল, সাদা, কালো রঙের জিনসও পাওয়া শুরু হলো। তার সাথে শুরু হলো স্টোনওয়াশড, অ্যাসিডওয়াশড, ব্লিচড, ফেইড জিনসের মতো নানা রকমের ফেব্রিক ট্রিটমেন্ট আর রিপড জিনসের রাজত্ব। যেদিন থেকে বঙ্গবাজার বা দোজা মার্কেটের মতো জায়গায় ভালো মানের জিনস পাওয়া যাওয়া শুরু হলো, সেদিন থেকে বাংলাদেশে জিনসের বিজয়যাত্রা শুরু হলো; আর যেদিন থেকে বাংলাদেশে ডেনিম উৎপাদন শুরু হলো, সেদিন থেকে জিনস অনতিক্রমণীয় অবস্থানে পৌঁছে গেল।
ওই সময়ে একবার একজন বলেছিলেন, জিনস হচ্ছে কুলিদের পোশাক। তার এই উক্তিতে জিনসের চেয়ে কুলিদের প্রতি অবজ্ঞাটা বেশি ছিল। জিনসের ইতিহাস পড়লে শ্রমজীবী মানুষের সাথে জিনসের সম্পর্কটা জানা যায়। আমরা শ্রমজীবী মানুষদের অবজ্ঞা করার যেমন কোনো কারণ খুঁজে পাইনি, তেমন জিনসকেও ছোট করে দেখার কোনো কারণ দেখিনি। জিনস অপেক্ষাকৃত সস্তা, তুলনামূলকভাবে বেশি টেকসই এবং কম ধুলে চলে বলে এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। এতে উন্নাসিক লোকজন জিনস নিয়ে একটু বিপদে পড়ে যান। কে, কবে বিদেশ থেকে দামি জিনস এনে দেবে তবে পরবে – এমনটা তাদের পোষাচ্ছিল না। দেশে আমদানি সহজীকরণ হলে বাজারে লিভাইস, এসকাডা, গুচ্চি, ডলচে অ্যান্ড গ্যাবানার মতো দামি ব্রান্ডের জিনস পাওয়া শুরু হলে উন্নাসিকেরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ঘরে ঘরে জিনস পরিধান শুরু হলে কিছু অদ্ভুত সমস্যার উদ্ভব হয়। ময়লা জিনস ধোওয়ার জন্য পানিতে ভিজালে সেটি বেশ ভারী হয়ে যায়, ফলে মায়েরা পুত্রদের জিনস ধুতে অস্বীকৃতি জানান। গৃহকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ নাকি সপ্তাহে কয়টা জিনস ধুতে হবে সেটা জেনে পারিশ্রমিকের হার নির্ধারণ করতেন। পাড়ার লন্ড্রিগুলো পর্যন্ত প্রথম প্রথম বুঝে উঠতে পারছিল না জিনস ধোয়ার চার্জ কী সাধারণ ট্রাউজার ধোয়ার চার্জের সমান হবে কি না। অচিরেই লোকে জিনসকে মেনে নিলে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
১৯৮৩ সালেই বোধকরি বাংলাদেশ টেলিভিশনের 'মুভি অব দ্য উইক'-এ সাদাকালো 'জেসি জেমস' সিনেমাটি দেখায়। এই সিনেমা দিয়ে আমাদের ওয়েস্টার্ন সিনেমার হাতেখড়ি হয়। কিন্তু বাংলাদেশ টেলিভিশনে তখন ওয়েস্টার্ন সিনেমা বিশেষ একটা দেখানো হতো না। এর কয়েক বছরের মধ্যে ভিসিআরের মাধ্যমে রঙিন টেলিভিশনে ওয়েস্টার্ন সিনেমা দেখার সুযোগ তৈরি হলো। তখন ক্লিন্ট ইস্টউডের 'আ ফিস্টফুল অব ডলারস', 'ফর আ ফিউ ডলারস মোর', 'দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি', 'হ্যাং দেম হাই' বা 'দ্য আউটল জোসি ওয়ালেস' দেখে আমাদের ওয়েস্টার্ন রোগ আবার মাথা চাড়া দেয়। আমরা নিউমার্কেটের গেটের কাছ থেকে ক্লিন্টের পোস্টার কিনে নিজের ঘরের দেয়ালে লাগাই। তার মতো পোশাক পরার কথা ভাবি। অতএব আমরা নতুন করে জিনসের ব্যাপারে আগ্রহী হই। তত দিনে বাংলাদেশে জিনস সুলভ আর সাশ্রয়ী মূল্যের হয়ে যাওয়ায় ডেনিম জ্যাকেট অথবা জিনস জোগাড় করতে আমাদের আর কষ্ট হয় না।
বাংলাদেশের তরুণ-যুবাদের আশির দশকটা গেছে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে। মিটিং, মিছিল, বিক্ষোভ, দেয়াল লিখন, পোস্টার, প্রকাশনা, স্লোগান, প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ করতে করতে। দিনের পর দিন নাওয়া-খাওয়ার ঠিক নেই, নিরাপত্তা বাহিনী আর পেটোয়া বাহিনীর তাড়া খেয়ে পালিয়ে বেড়ানো, ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, লাঠি-গুলি-টিয়ার গ্যাসের আক্রমণ মোকাবিলা করা। অকুতোভয় তরুণ-যুবারা স্বৈরাচার হঠাতে অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন, নির্যাতন সয়েছেন। এই সংগ্রামী জীবনে তাঁদের অনেকেরই পরনে ছিল জিনস। টেকসই, সহনশীল, কম ময়লা হয়, ধোয়াধুয়ির ঝামেলা কম বলে তাঁদের অনেকেই জিনস পছন্দ করেছেন। সাধারণ শার্টের সাথে, টিশার্টের সাথে, এমনকি পাঞ্জাবীর সাথে জিনস তাঁদের পছন্দের তালিকায় চলে এসেছে। এক দশকের সংগ্রামে বাংলাদেশ সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে, এই সময়ে জিনসও বাংলাদেশের মানুষের আপন হয়ে গেছে।