অনুশীলন শুরু করতে প্রস্তুত বিসিবি
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শেষে অনেক দেশেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরছে। শুরু হচ্ছে খেলাধুলা। বুন্দেসলিগা দিয়ে মাঠে ফেরে ফুটবল। অন্যান্য শীর্ষ লিগগুলোর খেলাও চলছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও মাঠে ফিরছে। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট ৮ জুলাই শুরু হচ্ছে। অন্যান্য দেশেও ক্রিকেট ফেরানোর তোরজোর চলছে।
বাংলাদেশে অবশ্য ভিন্ন চিত্র। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বেড়েছে মৃতের হারও। এই অবস্থায় ক্রিকেট ফেরানোর কথা ভাবতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি। যদিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। এমনকি অনুশীলন শুরুর কথাও ভাবছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এরআগে অনেক আলোচনার পর ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছিল বিসিবি। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হতে থাকলে সেই সিদ্ধান্ত থেকে শুরু সরে আসে বিসিবি। তবে নতুন করে আবারও অনুশীলন শুরুর করা ভাবা হচ্ছে।
এ বছরের এশিয়া কাপকে সামনে রেখে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অনুশীলন শুরু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান। বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক জানিয়েছেন, এ জন্য তারা আরও ১৫ দিন অপেক্ষা করবে।
আকরাম খান বলেছেন, 'ক্রিকেট মাঠে ফেরাতে বিসিবি প্রস্তুত। ক্রিকেটাররাও ভালো অবস্থায় আছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা। আমরা আরও ১৫ দিন অপেক্ষা করব। তবে এটা ঠিক যে, বিসিবির কাছে সবার আগে ক্রিকেটারদের সুস্থতা। কোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়া হবে না।'
এশিয়া কাপকে সামনে রেখে অনুশীলনের কথা বলা হলেও এবারের আসরটি কোথায় এবং কবে শুরু হবে, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সভাপতি শাম্মি সিলভা জানিয়েছিলেন, আইসিসির কাছ থেকে এশিয়া কাপ আয়োজনের সুবজ সংকেত পেয়েছেন তারা। আক্টোবরে আয়োজন করা হতে পারে আসরটি।
সেই হিসেবে এখনও চার মাস বাকি। এমন খারাপ অবস্থার মাঝেও এত পরের টুর্নামেন্টের জন্য অনুশীলন শুরুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেক ক্রিকেটারেরই প্রশ্ন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রিকেটার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা সবাই মাঠে ফিরতে চাই, ক্রিকেট খেলতে চাই। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে হবে আগে। কারণ সবার আগে জীবন। বেঁচে থাকলে অনেক ক্রিকেট খেলা যাবে।'
এই ক্রিকেটারের মতে, আগামী কয়েক মাসে বাংলাদেশের যেহেতু কোনো সিরিজ নেই, তাই তাড়াহুড়ো না করাই ভালো। বাংলাদেশের পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড সফর আগেই স্থগিত হয়ে গেছে। এরপর স্থগিত হয় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ। সর্বশেষ স্থগিত করা হয়েছে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর।