ইংলিশ ক্রিকেটে বর্ণবাদ: প্রথম সপ্তাহেই আরও হাজার খানেক বৈষম্যের অভিযোগ
আজিম রফিক বলেছিলেন, ইংলিশ ক্রিকেট প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই বর্ণবাদী। সংসদীয় কমিটির কাছে এ কথা বলার কয়েক দিনের মধ্যেই এখন তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
সাবেক ইয়র্কশায়ার ক্রিকেটারের কাছ থেকে অভিযোগ আসার পর ইসিবির অধীনস্থ সংগঠন ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন ফর ইক্যুইটি ইন ক্রিকেট (আইসিইসি) গত ৯ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি খুলে, যাতে জাতীয় দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে বৈষম্যের শিকার হওয়া খেলোয়াড়দের ফোন করে অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানানো হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মাঝেই এক হাজারেরও বেশি ফোনকল পেয়েছে আইসিইসি।
গত মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের সংসদীয় কমিটির সামনে এক অশ্রুসিক্ত সাক্ষ্যদান পর্বে ইয়র্কশায়ারে থাকা অবস্থায় যেসব বর্ণবাদী আচরণ ও উত্পীড়নের শিকার হয়েছিলেন সেসবের বর্ণনা দেন রফিক।
আইসিইসি প্রধান সিন্ডি বাটস দাবি করেন, এ ঘটনাই বলে দিচ্ছে যে ক্রিকেটে এখনই পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, "গত সপ্তাহে কল ফর এভিডেন্স কর্মসূচী শুরু করার পর থেকে ইতোমধ্যে এক হাজার জনেরও বেশি মানুষ আমাদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে এগিয়ে এসেছেন।
"ক্রিকেটের বিভিন্ন অংশ থেকে, অনেকেই আজিমের সাহসিকতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে আসছেন। এবং তাদের ঘটনাগুলো শোনানোর সুযোগ পাচ্ছেন।"
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ক্রিকেটার আজিম রফিক বলেছিলেন, বর্ণবাদের জন্য নিজের ক্যারিয়ারকেই বিসর্জন দিতে হয়েছে তাকে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এভাবে কণ্ঠ দেওয়ায় পাঁচ বছরের মধ্যে ইংলিশ ক্রিকেটে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যাবে।
বুধবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রফিক বলেন, ইয়র্কশায়ারে তার বর্ণবাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করাটা শুধু ক্রিকেট নয়, পুরো সমাজকেই একটি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার স্বীকারোক্তি অন্যদেরকেও সামনে এগিয়ে আসার সাহস দিবে। কাউন্টি ক্রিকেটে তার মতো নিগ্রহের শিকার হওয়া অন্যান্য ক্রিকেটারদেরকেও তাদের অভিজ্ঞতা শুনানোর আহ্বান জানান তিনি।