ইউএস ওপেন জয়ে রাদুকানুর ইতিহাস
বয়স চলে মাত্র ১৮, এরই মধ্যে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে নিলেন এমা রাদুকানু। ১৭ দিন আগে যে স্বপ্নের পথচলা শুরু করেছিলেন ব্রিটেনের এই টেনিস খেলোয়াড়, সেটার শেষ হলো শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ে। প্রতিপক্ষ লেইলা ফার্নান্দেজও তার মতো টিনেজার, বয়স চলে ১৯। দুই টিনেজারের লড়াইয়ে শেষ হাসি উঠলো রাদুকানুর মুখে।
মেয়েদের এককে ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়লেন ব্রিটিশ এই তরুণী। ফাইনালে ৬-৪, ৬-৩ গেমে ফার্নান্দেজকে হারান তিনি। বাছাইপর্ব থেকে তার ফাইনাল পর্যন্ত উঠে আসার পথটা ছিল স্বপ্নের মতো। পুরোটা পথ রাঙিয়ে এসেছেন রাদুকানু। যার শেষটা করলেন টেনিস দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়ে।
বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার ইতিহাস গড়লেন রাদুকানু। ঘোচালেন দেশের দীর্ঘ অপেক্ষাও। রাদুকানুর ইউএস ওপেনের শিরোপা জয়ে ব্রিটিশদের ৪৪ বছরের অপেক্ষা শেষ হলো। ১৯৭৭ সালে উইম্বলডনে ভার্জিনিয়া ওয়েডের পর প্রথম নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে কোনো মেজরের এককে ট্রফি জিতলেন রাদুকানু।
এই শিরোপা জয়ে ১৫০ নম্বর থেকে এক লাফে র্যাঙ্কিংয়ের ২৩ নম্বরে উঠে আসবেন রাদুকানু। র্যাঙ্কিংয়ে হয়ে যাবেন ব্রিটেনের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়। ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও ঢুকবে বিশাল অংক, ইউএস ওপেন জয়ে ১৮ লাখ পাউন্ড প্রাইজমানি পাবেন তিনি!
রাদুকানুর প্রতিপক্ষ ফার্নান্দেজ ইউএস ওপেন শুরু করেন প্রথম রাউন্ড থেকে, ৩০ আগস্ট। কিন্তু রাদুকানুর স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয় আরও আগে, কারণে তাবে বাছাই পর্ব পেরিয়ে উঠে আসতে হয়। এই পর্বে তাকে জিততে হয়েছে তিনটি ম্যাচ। এরপর জিতেছেন ৭টি ম্যাচ। এই ১০ ম্যাচে একটি সেটও হারেননি র্যাঙ্কিংয়ে রাদকানু। প্রতিটি ম্যাচ জেতেন সরাসরি সেটে।
ফাইনালের শেষ পর্যায়ে অবশ্য শঙ্কা জেগেছিল। দ্বিতীয় সেটে ৫-৩ গেমে এগিয়ে থাকার সময় পায়ে আঘাত পান তিনি। তবে মেডিকেল টাইম আউট নিয়ে ফেরার পর আর বেশি সময় নেননি, দুর্দান্ত দাপটে জিতে নেন শিরোপা। ২০০৪ সালে রাশিয়ার মারিয়া শারাপোভার পর সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন তিনি।