গেইল-পোলার্ডদের বিধ্বস্ত করে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পায় ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখতে পারা দলটিকে নিয়ে অনেক রণ কৌশলই আটতে হয় ইংলিশদের। কিন্তু সেসবের সবটা কাজে লাগলো না। এর আগেই বিধ্বস্ত দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দাপুটে জয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু করলো ২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
শনিবার দুবাইতে অনুষ্ঠিত গ্রুপ-১ এর ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ক্যারিবীয়রা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে গেছে ক্রিস গেইল-কাইরন পোলার্ডদের দেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা। সারা বছর বিভিন্ন দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলে বেড়ান তারা। এ কারণে এবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখছিলেন অনেকে। কিন্তু তাদেরকেই ক্রিকেট শেখালো ইংল্যান্ড।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আদিল রশিদ, ম্যাচসেরা মঈন আলী ও টাইমাল মিলসের বোলিং তোপে ১৪.২ ওভারে মাত্র ৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে তারা কখনও ১০০ রানের নিচেও অলআউট হয়নি। ১০১ রান ছিল তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।
জবাবে ইংল্যান্ডের জন্য কাজটা একেবারে সহজ হয়নি। এই রান তুলতেই ৪টি উইকেট হারায় ইয়ন মরগানের দল। জস বাটলারের ব্যাটে ৮.২ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ইংল্যান্ড।
জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই হয় ইংলিশদের। ৩.১ ওভারে ২১ রান যোগ করেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জস বাটলার। তখন মনে হচ্ছিল ১০ উইকেটেই জিততে যাচ্ছে তারা। কিন্তু রয় আউট হওয়ার পর ৩৯ রানের মধ্যে আরও ৩টি উইকেট হারায় তারা। বাটলার ১৪ ও মরগার ৭ রান করে দলকে জেতান, দুজনই অপরাজিত থাকেন। ক্যারিবীয় বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন ২টি ও রবি রামপাল একটি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলীয় ৮ রানেই ওপেনার এভিন লুইসকে হারায়। প্রথম উইকেট হারিয়েই ওলট-পালট হয়ে পড়ে তাদের ইনিংস। একটু পরপরই উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবীয়রা।
উইন্ডিজের কোনো ব্যাটসম্যানই এই ভাঙনের সুর থামাতে পারেননি। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিস গেইল দুই অঙ্কের রান করেন। ক্যারিবীয় এই ব্যাটিং ঝড়ের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৩ রান। ইংল্যান্ডের দারুণ বোলিংয়ের বিপক্ষে বাকিরা কেউ ১০ রানের কোটা পেরোতে পারেননি।
লেন্ডল সিমন্স ৩, এভিন লুইস ৬, শিমরন হেটমেয়ার ৯, ডোয়াইন ব্রাভো ৫, নিকোলাস পুরান ১, অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ৬, আন্দ্রে রাসেল ০, ওবেদ ম্যাকয় ০ ও রবি রামপাল ৩ রান করেন।
অবিশ্বাস্য বোলিং করেন আদিল রশিদ। ইংলিশ এই লেগ স্পিনার ২.২ ওভারে মাত্র ২ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার সেরা বোলিং। এ ছাড়া মঈন আলী ও টাইমাল মিলস ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ক্রিস ওকস ও ক্রিস জর্ডান।