ত্রিপাঠি বীরত্বে আইপিএলের ফাইনালে সাকিবদের কলকাতা
১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটি থেকেই মেলে ৯৬ রান। মনে হয়েছিল হেসেখেলেই জিতে যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু প্রথম উইকেটের পতনের পর কলকাতা যে খেই হারালো, ম্যাচ হারার যোগাড়!
শেষ ওভারে গিয়ে প্রয়োজন দাঁড়ালো ৭ রানের। এবার পারেননি সাকিব আল হাসান, শেষ ওভারে দলের সবচেয়ে কঠিন সময়ে ২ বল খেললেও কোনো রান আসেনি তার ব্যাট থেকে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন টানা দুই উইকেট নেওয়ায় বেড়েছে বিপদ, শেষ ২ বলে দরকার দাঁড়ায় ৬ রানের। যেখানে নায়ক রাহুল ত্রিপাঠি, পঞ্চম বলে অশ্বিনকে ছক্কা মেরে কলকাতাকে আইপিএলের ফাইনালে তুলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
বুধবার আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে কলকাতা। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে কলকাতাকে রোমাঞ্চকর এই জয় এনে দেন ত্রিপাঠি। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো আইপিএলের ফাইনালে উঠলো কলকাতা। দুবাইতে আগামী ১৫ অক্টোবর ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হবে কলকাতা।
সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচের শেষ ওভারে চার মেরে কলকাতার জয়ে বড় অবদান রাখা সাকিব এদিন তেমন কিছুই করতে পারেনি। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় কোনো উইকেট নিতে পারেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। সবচেয়ে বেশি ৭ ইকোনমিতে রান খরচা করেছেন সাকিব।
শারজাহতে টস জিতে দিল্লিকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। আগে ব্যাটিং করে সাকিব, বরুণ চক্রবর্তী, লকি ফার্গুসনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে দিল্লি। জবাবে উড়ন্ত সূচনার পরও ম্যাচ হারার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল কলকাতা। এক বল বাকি থাকতে দলটি ফাইনালের টিকেট পায়।
শেষ ওভারে কলকাতার দরকার ছিল ৭। উইকেটে তখন রাহুল ত্রিপাঠি ও সাকিব। দিল্লির হয়ে ওভারটি করতে আসেন অশ্বিন। প্রথম বলে ত্রিপাঠি এক রান নেন। পরের বলে সাকিব রান নিতে পারেননি, তৃতীয় বলে বাংলাদেশ অলরাউন্ডারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন অশ্বিন।
পরের বলেও উইকেট, এবার অশ্বিনের শিকার সুনীল নারাইন। টানা দুই উইকেট পতনে কলকাতা খাদের কিনারায়, ২ বলে দরকার ৬ রান। এমন সময়ে কাণ্ডারি হয়ে ছক্কা মেরে কলকাতা শিবিরে হাসি ফেরান ত্রিপাঠি। ১২ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
উদ্বোধনী জুটিতে ৯৬ রান যোগ করেন শুভ মান গিল ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। গিল ৪৬ ও আইয়ার ৫৫ রান করেন। ম্যাচ সেরা আইয়ারের বিদায়ের পরও ঠিক পথে ছিল কলকাতা। কিন্তু দলীয় ১২৩ রানে নিতিশ রানা ফিরতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে কলকাতার ব্যাটিং লাইন আপ।
দিনেশ কার্তিক, অধিনায়ক ইয়ন মরগান, সাকিব ও নারাইন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। নিতিশ রানা ১৩ রান করেন। দিল্লির আনরিক নরকিয়া, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কাগিসো রাবাদা ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন শিখর ধাওয়ান। এ ছাড়া পৃথ্বী শ ১৮, মার্কাস স্টয়নিস ১৮, শ্রেয়াস আইয়ার ৩০ ও শিমরন হেটমেয়ার ১৭ রান করেন। ২টি উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। একটি করে উইকেট নেন লকি ফার্গুসন ও শিভাব মাভি।