দুই রাউন্ড পরই স্থগিত জাতীয় ক্রিকেট লিগ!
করোনাভাইরাসের প্রকোপে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দেশের সব ধরনের ক্রিকেট। দুটি টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেটারদের মাঠে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাও শুরু করে বাংলাদেশ। দীর্ঘ অপেক্ষার পর জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে (এনসিএল) গত ২২ মার্চ মাঠে গড়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট। কিন্তু দুই রাউন্ড শেষ হতেই আবার স্থগিত হয়ে যাচ্ছে লঙ্গার ভার্সনের এই টুর্নামেন্টটি।
হঠাৎ-ই করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে গেছে। হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে দ্বিতীয় রাউন্ড চলাকালেই বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুটি ভেনুতে জাতীয় লিগের চারটি ম্যাচ আয়োজন করার। কিন্তু বৃহস্পতিবার জানা গেল, আপতত স্থগিত রাখা হচ্ছে জাতীয় লিগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে আপাতত জাতীয় লিগ স্থগিত করা হয়েছে। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়, এটা খুবই সাময়িক। যতো দ্রুত সম্ভব আমরা শুরু করব। এটা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, যেখানে আটটি দল খেলছে। একাধিক ভেন্যু ব্যবহৃত হচ্ছে। সে কারণেই এই পরিস্থিতিতে একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে কিন্তু খেলাধুলার কোনো কার্যক্রমই বন্ধ নেই। বাংলাদেশ গেমসও চলছে।'
বিকেএসপির দুটি মাঠ ও কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুটি মাঠে জাতীয় লিগের ম্যাচগুলো আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু বিকেএসপিতে দুটি ম্যাচ আয়োজন করার সুযোগ থাকলেও কক্সবাজারে তা সম্ভব নয়। কক্সবাজারে ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে সেখানে ম্যাচ আয়োজন করা যাচ্ছে না।
জাতীয় লিগ শুরুর পর বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হন। মোহাম্মদ আশরাফুল, সাদমান ইসলাম অনিক, আকবর আলী, অলোক কাপালি, নাঈম ইসলাম, আলাউদ্দিন বাবুরা করোনা পজিটিভ হন। এ ছাড়া প্রতিদিনই করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এ কারণেই লিগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
স্থগিত হলেও ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে লিগ শুরু করা হবে। যেখানে স্থগিত হচ্ছে, সেখান থেকেই লিগ শুরু করার পরিকল্পনা বিসিবির। গত ২২ মার্চ জাতীয় লিগ শুরু হয়। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে কয়েক দিনের বিরতির পর আগামী ৫ এপ্রিল থেকে তৃতীয় রাউন্ডের খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল।