দীর্ঘ অপেক্ষা ঘুচিয়ে প্রথমবার এনসিএল চ্যাম্পিয়ন সিলেট
২৫ বছরের সময়সীমা, দীর্ঘ এই সময় ধরে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) খেলে আসছে সিলেট বিভাগ। কিন্তু কোনোবারই শিরোপার স্বাদ নেওয়া হয়, উল্টো বেশিরভাগ সময় দ্বিতীয় স্তরের দল হয়ে থেকেছে তারা। অবশেষে অপেক্ষা শেষ হলো তাদের, প্রথমবারের মতো এনসিএলে শিরোপার স্বাদ নিলো দলটি। ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে বরিশাল বিভাগকে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতেন অমিত হাসান, ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিলেট। এই ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল তাদের, দরকার ছিল ঢাকা মেট্রো-রংপুর বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হওয়া। শেষ দিনে এই ম্যাচটি ড্র হলে এক রাউন্ড বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় সিলেটের। ৬ ম্যাচে সিলেটের পয়েন্ট ৩৭, আরও একটি ম্যাচ বাকি তাদের। ওই ম্যাচে সিলেট হারলেও তাদের তোলা ৩৭ পয়েন্ট ছুঁতে পারবে না আর কোনো দল।
সিলেটের পেসারদের দাপট দেখানোর ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে বরিশাল। রেজাউর রহমান রাজা, ইবাদতদের বোলিংয়ে সামনে খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি তারা। সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান তোলে বরিশাল। জবাবে চার হাফ সেঞ্চুরিতে ১০ উইকেটে ৩৪২ রান তোলে সিলেট।
প্রথম ইনিংসে ৩৮ রানের লিড পায় সিলেট। সিলেটের পেসারদের তোপে দ্বিতীয় ইনিংস আরও ছোট হয় বরিশালের। খালেদ-তোফায়েলদের বোলিংয়ের সামনে ১৪২ রানেই গুটিয়ে যায় দলটির ইনিংস। সিলেটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৪ রান। এবারের আসরে রানের ফোয়ারা বইয়ে দেওয়া অমিত হাসান ও নাসুম আহমেদের ব্যাটে ২৭.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় সিলেট।
যদিও লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো ছিল না সিলেটের। ২৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এই চাপ সামাল দেন অমিত ও নাসুম, চতুর্থ উইকেটে ৭৭ রান যোগ করেন তারা। এতেই জয়ের খুব কাছে পৌঁছে যায় সিলেট। অমিত ৬৯ বলে ৩৮ ও নাসুম ৫২ বলে ৪৪ রান করেন। এর আগে ১৮ রান করেন পিনাক ঘোষ। বরিশালের রুয়েল মিয়া ও মইনুল ইসলাম ২টি করে উইকেট পান। একটি উইকেট নেন সোহাগ গাজী। দুই ইনিংসে ৪ উইকেট ও ৬৪ রান করে ম্যাচ সেরা হন সিলেটের তোফায়েল।