নিজের টাকায় বেকার কর্মীদের বেতন দিচ্ছেন নেইমার
মাঠে ফুটবল খেলাই নেইমারের কাজ। ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ফুটবলার অবশ্য শুধু ফুটবলেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। সুযোগ হলেই মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি হওয়া কঠিন অবস্থাতেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। নিজের টাকায় নেইমার ইনস্টিটিউটের বেকার কর্মীদের বেতন দিয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান এই সেনসেশন।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে পুরো বিশ্বই কঠিন অবস্থা পার করছে। যেসব দেশে করোনা চরমভাবে ছোবল বসিয়েছে, এর মধ্যে ব্রাজিল অন্যতম। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪ জন মানুষ মারা গেছে। দেশের এমন অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারেননি নেইমার। দুস্থ-অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন তিনি।
অনেক আগে থেকেই অস্বচ্ছল মানুষদের সাহায্য করে আসছেন নেইমার। অসহায় ও দুস্থ শিশুদের জন্য ব্রাজিলের প্রেইয়া গ্রান্দে অঞ্চলে নেইমার জুনিয়র ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানটি তিন হাজার শিশুর দেখভাল করে। কিন্তু করোনার প্রকোপে বাকি সব প্রতিষ্ঠানের মতো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেইমারের এই প্রতিষ্ঠানটিরও।
এমন অবস্থায় আর্থিক ক্ষতি কমানোর জন্য বিশ্বের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে বেতন কমানোর মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু নেইমার জুনিয়র ইনস্টিটিউট সেই তালিকার নেই। করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা ঝুললেও এখানকার ১৪২ জন কর্মীর চাকরি এখনও টিকে আছে।
কাজ না করলেও ১৪২ জনের সবাইকে পুরো বেতন দিয়ে যাচ্ছেন নেইমার। বেতনের পাশাপাশি কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন খরচের দায়িত্বও পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মীদের বেতনের পেছনে প্রায় ৯০ হাজার ইউরো (প্রায় সাড়ে ৯১ লাখ টাকা) খরচ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির। অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নেইমার তার কর্মীদের এভাবেই বেতন-ভাতা দিয়ে যাবেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নেইমারের বাবা ও তার এজেন্ট নেইমার সিনিয়র বলেছেন, 'আমার পরিবার ও আমি ১৪২ জন সদস্যের এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারটা দেখভাল করছি। তারা সম্পূর্ণ বেতন-ভাতাই পাচ্ছে। নিজেদের পকেট থেকে খরচ করে আমরা কর্মীদের বেতন দেওয়ার এই কাজটা করে যাচ্ছি।'