নেইমারের ফেরার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে বললেন ব্রাজিল কোচ
হাঁটুর ইনজুরির কারণে প্রায় এক বছর ধরে মাঠের বাইরে থাকা নেইমারের পুরোপুরি সুস্থ হতে যতোটা সময় দরকার, সেটা তাকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়র। তারকা ফরোয়ার্ড নেইমারের ফেরার জন্য ব্রাজিলিয়ান ভক্ত-সমর্থকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত বছর অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে হাঁটুর লিগামেন্টের গুরুতর ইনজুরিতে পড়েন বার্সেলোনা ও পিএসজির সাবেক তারকা নেইমার। এই চোটে তাকে অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছে। গত জুলাইয়ে অনুশীলনে ফিরলেও জাতীয় দলে ফেরা হয়নি ৩২ বছর বয়সী নেইমারের। তার ক্লাব আল হিলালের কোচ হোর্হে জেসুস জানিয়েছেন, মাঠে ফেরার জন্য এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নন নেইমার।
আগামী মাসে চিলি ও পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল, স্বভাবতই দলে নেই চোটে থাকা নেইমার। তবে কঠিন সময় পার করতে থাকা ব্রাজিল দলে অনেকেই তাকে দেখতে চান। কাতার বিশ্বকাপ থেকে শুরু হওয়া দুঃসময়ে নেইমারের ওপর ভরসা রাখতে চান তারা।
এদের সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে দরিভাল বলেছেন, 'আমরা সবাই তার গুরুত্ব সম্পর্কে জানি। আমরা তার অপেক্ষায় আছি। কিন্তু এ জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। অক্টোবর, নভেম্বর কিংবা ফেব্রুয়ারি, কখন সে দলে ফিরছে; সেটা বিষয় নয়। তাকে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, একইসঙ্গে পুরোপুরি ফিট হয়েই দলে ফিরতে হবে।'
বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য রিয়াল মাদ্রিদের তিন তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো ও এন্দ্রিককে দলে ডেকেছেন দরিভার। তাদের সঙ্গে আক্রমণভাগে রাখা হয়েছে বার্সেলোনা উইঙ্গার রাফিনিয়া ও আর্সেনাল ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিকে। মাঝমাঠ সাজিয়েছেন আন্দ্রে, ব্রুনো গিমারেস, গারসন, লুকাস পাকেতাদের নিয়ে।
সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরে যাওয়া ব্রাজিল বাছাইপর্বে ৮ ম্যাচে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ে প্যারাগুয়ের থেকে এক পয়েন্টে এগিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আগামী ১০ অক্টোবর সান্তিয়াগোতে চিলি এবং এর পাঁচ দিন পর ব্রাসিলিয়াতে পেরুর বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল।
ব্রাজিল স্কোয়াড
গোলরক্ষক: আলিসন, বেন্তো, এদেরসন।
রক্ষণভাগ: দানিলো, আবনের, ভ্যান্ডারসন, গিলের্মো আরানা, ব্রেমার, এদের মিলিতাও, গাব্রিয়েল মাগলায়েস, মার্কিনিওস।
মাঝমাঠ: আন্দ্রে, ব্রুনো গিমারেস, গারসন, লুকাস পাকেতা।
আক্রমণভাগ: রদ্রিগো, এনদ্রিক, লুইস হেনরিক, সাভিনিও, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ইগর জেসুস, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, রাফিনিয়া।