সেনেগালের বিপক্ষে হেরে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে স্বাগতিক কাতার
নিজেদের ভাগ্যে কোনো বদল আনতে পারল না স্বাগতিক কাতার। উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে সেনেগালের কাছেও ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারল তারা। এই হারের ফলে কাতারের নক-আউট পর্বে উঠার আশা কাজে কলমে বেঁচে থাকলেও আদতে তা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল।
প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে হারায় টুর্নামেন্টে টিকে থাকার জন্য আফ্রিকান জায়ান্ট সেনেগালের সঙ্গে জিততেই হতো স্বাগতিক কাতারকে। সেনেগালও নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারায় জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না তাদের কাছেও। আল থুমামা স্টেডিয়ামে দুই দলেরই বাঁচা-মরার ম্যাচে জিতেছে সেনেগালই।
সেনেগালের কাছে ৩-১ গোলে হারায় নক-আউট পর্বে যাওয়ার রাস্তাটা প্রায় বন্ধই হয়ে গেল কাতারের জন্য। ইকুয়েডর এবং সেনেগালের কাছে পরপর দুই ম্যাচে হেরে একটা অনাকাঙ্খিত রেকর্ড সঙ্গী হয়েছে কাতারের। বিশ্বকাপে স্বাগতিক দল হিসেবে প্রথম দুই ম্যাচ হারার রেকর্ড এখন একমাত্র কাতারের।
দুই দলকেই জিততে হবে, এমন ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ সেনেগাল। কাতারের রক্ষণভাগে একের পর এক হানা দিতে থাকে আলিউ সিসের দল। ম্যাচের ৪১ মিনিটে বউলায়ে দিয়ার গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সেনেগাল। প্রথমার্ধ শেষ হয় এই স্কোরলাইনেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আরেকটি গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে সেনেগাল। সেটির ফলাফলও পায় তারা, ৪৮ মিনিটে দিয়েদিউয়ের গোল ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেয় সেনেগালিজদের।
৭৮ মিনিটে বিশ্বকাপে কাতারের প্রথম গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় মোহামেদ মুনতারি। তবে কাতারের গোলের পরেও ভড়কে যায়নি সেনেগাল। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই খেলতে থাকে তারা, ৮৪ মিনিটে বাম্বা দিয়েং আবারও ২ গোলের ব্যবধান গড়ে দেন দুই দলের মধ্যে।
৩-১ ব্যবধান থাকা অবস্থাতেই শেষ হয় ম্যাচ। এই জয়ের ফলে 'এ' গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের ৩ নাম্বারে অবস্থান করছে সেনেগাল। দুই ম্যাচই হেরে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা কাতার আছে গ্রুপের তলানিতে।
শেষ পর্যন্ত কাতার যদি গ্রুপ পর্ব পার হতে না পারে, দক্ষিণ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় স্বাগতিক দল হিসেবে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া দল হবে তারা। নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হতে যাওয়া কাতারের জন্য যেটি সম্ভাব্যই মনে হচ্ছে। অপরদিকে সেনেগাল মুখোমুখি হবে ইকুয়েডরের।