ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সরে এল কাতার
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির বিষয়ে আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আপাতত সরে এসেছে কাতার। কাতার জানিয়েছে, উভয় পক্ষের আলোচনা করার সদিচ্ছা প্রদর্শন করলেই কেবল এই কাজ পুনরায় শুরু হবে। খবর বিবিসি'র।
ওয়াশিংটনের কাছে দোহায় হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের উপস্থিতি আর গ্রহণযোগ্য নয়—মার্কিন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের এমন মন্তব্যের পর কাতারের পক্ষ থেকে এই বার্তা এলো।
কাতার তাদের প্রাথমিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আলোচনার কাজ স্থগিত করেছে এবং দোহায় হামাসের রাজনৈতিক দপ্তর 'আর পূর্বের মতো উদ্দেশ্য সাধন করছে না'।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় গত দশ দিন আগেই কাতার তাদের মধ্যস্থতা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিল।'
হামাস ২০১২ সাল থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় তাদের কার্যালয় পরিচালনা করে আসছে, যা বলা হয় ওবামা প্রশাসনের অনুরোধে স্থাপিত হয়েছিল। তবে শনিবার কিছু সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, কাতার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একমত হয়েছে যে হামাসের রাজনৈতিক দপ্তর বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে, কারণ তারা গাজা যুদ্ধ নিয়ে আন্তরিকভাবে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনকে 'ভুল' বলে অভিহিত করেছে এবং হামাসও এই দাবিগুলো অস্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও, কাতার ইরান, তালেবান এবং রাশিয়ার মতো বিষয়গুলোতে সংবেদনশীল আলোচনায় অংশ নিয়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের অবসানের জন্য মধ্যস্থতায় কাতারের প্রভাব বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ইসরায়েলও চুক্তি প্রত্যাখ্যানের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে। সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে তার নিরাপত্তা প্রধানদের পরামর্শ উপেক্ষা করে শান্তি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ করেছেন।
হামাসকে কাতার থেকে বহিষ্কারের আহ্বান সম্ভবত বাইডেন প্রশাসনের একটি উদ্যোগ, যা আগামী জানুয়ারিতে তাদের মেয়াদ শেষের আগে একটি শান্তি চুক্তি আনার চেষ্টার অংশ।