'পেনাল্টি মিস করাটা দীর্ঘদিন যন্ত্রণা দেবে', দলের ব্যর্থতার দায় নিলেন হ্যারি কেইন
কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে একটি গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি মিস করেছেন দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। এরপর অনেকেই হ্যারি কেইনকে এই ম্যাচের খলনায়ক মনে করছেন। এমন অবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন কেইন নিজেও।
একই ম্যাচে প্রথম পেনাল্টি থেকে নির্বিঘ্নে গোল করায় হ্যারি কেইনকেই দ্বিতীয় পেনাল্টি নিতে বলা হয়েছিল। ম্যাচে তখন ২-১ গোলে এগিয়ে আছে ফ্রান্স। কিন্তু ইংল্যান্ডের এই বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দ্বিতীয় পেনাল্টিটি মিস করে বসেন হ্যারি কেইন, শটটি বারের উপর দিয়ে মারেন তিনি।
ইংলিশ অধিনায়ক যদি ব্যর্থ না হতেন, তাহলে স্কোরলাইন ২-২ হতেই পারত এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলার দিকে গড়াতে পারতো খেলা। ইংল্যান্ডের কয়েক দশক ধরে চলা সাইকোড্রামার আরেকটি নিষ্ঠুর অধ্যায় ছিল কেইনের এই পেনাল্টি মিস। তবে এর আগে ম্যাচের ৫৪ মিনিটেও পেনাল্টি নিয়েছিলেন কেইন এবং সেসময় গোল করতে কোনো ভুল করেননি তিনি। ওই গোলটি করে ওয়েইন রুনির ইংল্যান্ডের ৫৩ গোলের সমান রেকর্ড গড়েছিলেন হ্যারি কেইন।
এদিনের ম্যাচের পরে ইংলিশ অধিনায়ক জানিয়েছেন এই হারের সম্পূর্ণ দায় তিনি নিজের কাঁধে নিতে চান। হ্যারি কেইন বলেন, "অধিনায়ক হিসাবে এই হারের সম্পূর্ণ দায় আমি নিজের কাঁধে নেব। পেনাল্টি মিসটা আমায় যন্ত্রণা দিচ্ছে। এটা সত্যিই কঠিন একটা রাত। আমি হতাশ, দল হতাশ হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা এবারের বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু অর্জন করতে পারব, কিন্তু তা আর সফল হলো না। এই রাতে আমাদের সামনে ভালো সুযোগ ছিল, খেলায় ছন্দ ছিল, কিন্তু সবটা কার্যকর করা গেল না।"
২৯ বছর বয়সী হ্যারি কেইন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পেনাল্টি-টেকারদের একজন। ক্যারিয়ারে মাত্র ১১টি পেনাল্টি মিস করেছেন তিনি, কিন্তু একই সাথে ৫৮টি স্পটকিককে তিনি গোলে রূপান্তরিত করেছেন। হ্যারি কেইনের ভাষ্যে, তিনি ফ্রান্সের গোলরক্ষক এবং টটেনহাম সতীর্থ হুগো লরিসের বিরুদ্ধে রাতের দ্বিতীয় পেনাল্টি করার সময় আত্মবিশ্বাসী বোধ করছিলেন।
হ্যারি কেইন বলেন, "আমি এমন একজন মানুষে যখনই আমি খেলার জন্য প্রস্তুতি নিই, দুয়েকটি পেনাল্টির জন্য প্রস্তুত থাকি।"
রেফারির শেষ বাঁশি বেজে উঠতেই হতাশা-লজ্জায় কুঁকড়ে ছিলেন কেইন। ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, "দ্বিতীয় পেনাল্টি নিতে যাওয়ার সময় আমি প্রথমটির মতো আত্মবিশ্বাসী বোধ করেছিলাম। এটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করার জন্য ঠিকই ছিল। কিন্তু তারপর কী হয়ে গেল? অধিনায়ক হিসাবে এর দায়িত্ব আমাকে নিতেই হবে। এটা খেলার একটা অংশ। অবশ্যই এটা আমায় দীর্ঘ সময় ধরে যন্ত্রণা দেবে।"