বাদ পড়েননি, না খেলার কারণ জানালেন ইমরুল
টিবিএস রিপোর্ট
জেমকন খুলনার হয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ খেলছেন ইমরুল কায়েস। গ্রুপ পর্বের প্রথম সাত ম্যাচ খেললেও শেষ ম্যাচে তাকে একাদশে নেয়নি খুলনা। ব্যাট হাতে খুব একটা উজ্জ্বল না থাকায় সবার ধারণা ছিল বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বাদ পড়েছেন। তবে ইমরুল জানালেন, বাদ পড়েননি তিনি। ব্যক্তিগত কারণে পরিবারের কাছে ফিরতে হয়েছিল তাকে। ব্যক্তিগত কাজ শেষে ফিরে আইসোলেশনে থাকায় শেষ ম্যাচ ম্যাচটি খেলতে পারেননি তিনি।
৮ ম্যাচে ৪টি জয় পাওয়া খুলনা দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ১৪ ডিসেম্বর গ্রুপ পর্বের শীর্ষ দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচকে সামনে রেখে রোবাবার মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন করেছে খুলনা। অনুশীলন শেষে নিজের এবং দলের অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ইমরুল।
খুলনার সর্বশেষ ম্যাচ থেকে বাদ পড়ার প্রসঙ্গটি উঠতেই ইমরুল বলে ওঠেন, 'একাদশে জায়গা হারাতে হয় নাই। আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে বাসায় গিয়েছিলাম। কিছু নিয়ম ছিল যার জন্য খেলতে পারিনি। জৈব সুরক্ষার নিয়ম অনুযায়ী আইসোলেশনে ছিলাম, এ কারণে খেলতে পারিনি।'
বাদ পড়তে না হলেও ইমরুল নিজের পারফর্যান্সে সন্তুষ্ট নন। সাত ম্যাচে ১৩৮ রান করেছেন তিনি, নেই কোনো হাফ সেঞ্চুরি। বাকি দুই ম্যাচে ভালো করার কথা জানিয়ে ইমরুল বলেন, 'পারফরম্যান্স নিয়ে আমার যে প্রত্যাশা ছিল, আমি ওইভাবে করতে পারিনি। কিন্তু একজন খেলোয়াড় সব সময় টুর্নামেন্টে ভালো খেলে না। এখনও সুযোগ আছে। আরও দুটি ম্যাচ আছে, চেষ্টা করব জায়গা মতো ভালো খেলার।'
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে স্বস্তিতে না থাকলেও দলের ছন্দে খুশি ইমরুল। মানসিক দিক থেকে তাদের দল খুব ভালো অবস্থায় আছে বলে জানালেন তিনি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'মানসিকভাবে সবাই খুব ভালো। কারণ সেমিফাইনাল খেলছি, আমরা দুই নম্বর দল হয়েছি। আমাদের এখানে দুটি সুযোগ থাকবে ফাইনালে ওঠার।'
প্রথম কোয়ালিফায়ারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হচ্ছে খুলনাকে। ৮ ম্যাচের সাতটিতে জয় পাওয়া চট্টগ্রামের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচেই হার মানতে হয় খুলনাকে। পেছনের ভুল শুধরে এবার চট্টগ্রাম বাধা পেরোতে চায় খুলনা।
ইমরুল বলেন, 'চট্টগ্রাম আমাদের দুইবার হারিয়েছে। অবশ্যই তারা আমাদের থেকে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা যে ভুলগুলা করেছি শেষ দুইটা ম্যাচে ওদের সঙ্গে, ওইগুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে এবং আজও অনেক আলোচনা হবে। আমার মনে হয় যে ওই জায়গাগুলোতে যদি আমরা ভুল না করি, আমরা ভালোভাবে কামব্যাক করতে পারব।'
গ্রুপ পর্বে চট্টগ্রামের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ হারলেও প্রথম কোয়ালিফায়ারে নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন ইমরুল। সাকিব আল হাসানের অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, 'সাকিব বিশ্বের সব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটই খেলে। ওর যে অভিজ্ঞতা, এই টুর্নামেন্টে খুব কম খেলোয়াড়েরই তা আছে। সেদিক থেকে বলব অবশ্যই এগিয়ে আছি আমরা। আমরা হয়তো সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছি না, সঠিক সময়ে ক্লিক করতে পারছি না। আশাবাদী যে পরবর্তী ম্যাচে এসব পুষিয়ে নিতে পারব।'
বাকি তিন দলের মতো খুলনার চোখও শিরোপায়। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফিসহ আরও দারুণ কিছু ক্রিকেটারের সমন্বয়ে গড়া খুলনা চলতি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভারসাম্য দল। এমন দল নিয়েও শিরোপা জিততে না পারলে সেটা হতাশার হবে বলে মনে করেন ইমরুল।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'দল অনুযায়ী প্রত্যাশা তো প্রথম থেকেই আছে যে আমরা ফাইনাল খেলব বা শিরোপা জিতব। এ রকম একটা দল বানিয়ে যদি ভালো না খেলতে পারি…। আমি মনে করি সবদিক দিয়ে আমরা দল অনুযায়ী খেলতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতে একজনের পারফরম্যান্সে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। বড় খেলোয়াড়রা সেমিফাইনাল বা বড় বড় ইভেন্টে ভালো খেলে।'