বাফুফের ভোট গ্রহণ শুরু
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টা থেকে হোটেল সোনাগাঁওয়ে শুরু হয় ভোটযুদ্ধ। এরআগে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বিগত বছরের সাফল্য-ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়। জানানো হয় ভবিষ্যত পরিকল্পনা। আর্থিক বিবরণী পেশ করা হয়েছিল এজিএমে, যা সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে।
তিনজন ছাড়া কাউন্সিলরদের সবাই উপস্থিত ছিলেন। ১৩৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর কাউন্সিলর তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ফরিদপুরের কাউন্সিলর নাজমুল ইসলাম খন্দকার ও পাবনার কাউন্সিলর অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু।
চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে এবারও সভাপতি পদে লড়ছেন কাজী সালাউদ্দিন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে সভাপতি পদে লড়ছেন গত ১২ বছর ধরে বাফুফে প্রধানের পদে থাকা সাবেক এই তারকা ফুটবলার।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে লড়ছেন শফিকুল ইসলাম মানিক। শেষ মুহূর্তে সুর পাল্টে নির্বাচন করছেন আরেক সভাপতি প্রার্থী বাদল রায়। শেখ মোহাম্মদ আসলাম-মহিউদ্দিন মহির নেতৃত্বে গড়া সমন্বয় পরিষদ থেকে সভাপতি পদে লড়ছেন তিনি।
সারা দেশ থেকে আসা ১৩৯ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন। সভাপতি পদটি ছাড়া এই নির্বাচনে আছে আরও ২০টি পদ। ২১ পদে এবারের নির্বাচনে মোট ৪৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে লড়াই করছেন দুজন। এই পদের দুজন প্রার্থী হলেন সম্মিলিত পরিষদের সালাম মুর্শেদী ও শেখ আসলাম। চারটি সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন ৮ জন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচন করছেন কাজী নাবিল আহমেদ, ইমরুল হাসান, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও আমিরুল ইসলাম বাবু।
সমন্বয় পরিষদ থেকে সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ও আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান। এ ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন তাবিথ আউয়াল। ১৫টি সদস্য পদে লড়াই করছেন ৩৪ জন প্রার্থী।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেজবাহ উদ্দিন। কমিশনার হিসেবে আছেন মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী ও মোহাতার হোসেইন সাজু। গত বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাচনী ভেন্যু হোটেল সোনাগাঁওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ভোটের দিন বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে দায়িত্বে আছেন পুলিশ ও এনএসআইয়ের সদস্যরা।