ব্রাজিলের বিপক্ষে ১২ রানেই অলআউট আর্জেন্টিনা
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নাম শুনতেই সবাই ফুটবল ম্যাচের কল্পনা এঁকে ফেলেন। এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ মানেই রোমাঞ্চকর লড়াই। যেখান থেকে ছড়ায় ঝাঁঝালো বারুদের গন্ধও। যুগে যুগে তাদের মধ্যে চলছে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। কখনও ব্রাজিল তো কখনও শেষ হাসি আর্জেন্টিনার। এই দুই দলকে সমর্থন দিতে পুরো ফুটবল দুনিয়াই দুই ভাগে ভাগ হয়ে পড়ে।
এই প্রতিবেদন লেখার যে কারণ, সেটা অবশ্য ফুটবল নয়। সমর্থন দিতে পুরো দুনিয়ার দুই ভাগে ভাগ হয়ে পড়ারও কারণ নেই। তাদের লড়াইটা এবার ক্রিকেটে। এই দুই দেশ যে ক্রিকেট খেলে, সেই খবরই অবশ্য অনেকের অজানা। হ্যাঁ ফুটবলের 'চাষ' হওয়া এই দুই দেশেও শুরু হয়েছে ক্রিকেটের চর্চা। তবে কোনো দলই সেভাবে এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি।
গুছিয়ে উঠতে না পারলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে ঠিকই উড়িয়ে দিয়েছে নেইমারদের দেশ ব্রাজিল। লিওনেল মেসির দেশকে মাত্র ১২ রানেই অলআউট করে দেয় ব্রাজিল। প্রতিপক্ষকে সামান্য রাতে গুটিয়ে দিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাই পর্বের এই ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতে নিয়েছে ব্রাজিল।
মেক্সিকো সিটির নাউকালপানের রিফর্মা আথলেতিক ক্লাবে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে আর্জেন্টিনা। ২০ ওভারের ম্যাচে ১২.২ ওভারে মাত্র ১২ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। সর্বোচ্চ ৩ রান আসে অতিরিক্ত থেকে। ২ রান করে করেন ৩ জন ব্যাটার, ১ রান করেন ৩ জন। বাকি ৫ জন রানের খাতা খুলতে পারেননি। ব্রাজিলের দুজন বোলার ২টি করে এবং চারজন একটি করে উইকেট পান। বাকি দুটি রান আউট।
জবাবে ৩.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ব্রাজিল। আউট হওয়া দুই ব্যাটারের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। একজন চার ও আরেকজন ২ রানে অপরাজিত থাকেন। ব্রাজিলও অতিরিক্ত থেকে সবচেয়ে বেশি ৭ রান পায়। ৪টি ওয়াইড, একটি নো বল ও দুটি বাই থেকে এই রান পায় তারা।
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দশ দলের এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক হিসেবে আগে থেকেই জায়গা নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত র্যাঙ্কিয়ের সেরা সাত দল সরাসরি খেলবে মূল পর্বে। বাকি দুই দল আসবে বাছাই পর্ব পেরিয়ে।