কর্নওয়ালের ছোবলে তিনশ’র আগেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের পর বাংলাদেশের ইনিংসের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ লিটন দাস-মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। এই দুই জুটিই ভেঙেছেন রাকিম কর্নওয়াল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি এই অফ স্পিনারের স্পিন ভেল্কিতে তিনশ'তেও পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৯৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। প্রথম ইনিংসেই ১১৩ রানে পিছিয়ে পড়েছে মুমিনুল হকের দল।
তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের ইনিংসকে এলোমেলো করে দেওয়া কর্নওয়ালের শিকার ৫ উইকেট। এ ছাড়া শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ৩টি ও আলজারি জোসেফ ২টি উইকেট নেন। বাংলাদেশের ইনিংসে সবচেয়ে বড় জুটি লিটন-মিরাজের, ১২৬ রানের। মুশফিক-মিঠুন গড়েন ৭১ রানের জুটি। সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন লিটন। এ ছাড়া তামিম ৪৪, মুশফিক ৫৪ ও মিরাজ ৫৭ রান করেন। ১১৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে ক্যারিবীয়রা।
কর্নওয়ালে কোণঠাসা বাংলাদেশ
দ্বিতীয় দিন একটি উইকেটের দেখা মিলেছিল। কিন্তু তৃতীয় দিনে যমদূত হয়ে উঠেছেন রাকিম কর্নওয়াল। দিনের শুরুতেই মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনকে ফিরিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি এই অফ স্পিনার। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলা লিটন কুমার দাসকেও ফেরালেন তিনি।
লিটনকে ফিরিয়ে ১২৬ রানের জুটি ভাঙেন কর্নওয়াল। ৭১ রান করে থামেন লিটন। স্পিনার নাঈম হাসানকে নিজের পঞ্চম শিকারে পরিণত করেন কর্নওয়াল। তার স্পিন ছোবলে প্রথম ইনিংসের শেষ দেখছে বাংলাদেশ। ৫৭ রান মিরাজকে ফিরিয়েছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ৯ উইকেটে ২৯০ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
লিটন-মিরাজের হাফ সেঞ্চুরিতে লড়ছে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় দিনশেষে বাংলাদেশ শিবিরে ছিল শঙ্কার কালো মেঘ। ফলোঅন এড়ানোর আগেই অলআউট হওয়ার চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ৭১ রানের মধ্যেই প্রথম সারির চার ব্যাটসম্যানকে খোয়াতে হয়। তৃতীয় দিন সকালে আরও বিপদ বাড়ে মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের বিদায়ে।
অবশেষে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে, দিক হারিয়ে ফেলা দলকে পথ চেনাচ্ছেন লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সাত ও আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা এই দুই ব্যাটসম্যানই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। টেস্টে এটা লিটনের সপ্তম ও মিরাজের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
লিটন ৬৬ ও মিরাজ ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন। ইতোমধ্যে ১১৭ রানের জুটি হয়েছে তাদের। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮৮ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭২ রান তুলে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে এখনও ১৩৭ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
মিঠুন-মুশফিকের বিদায়ে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ
৪ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতেই ছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল। ডানহাতি এই অফ স্পিনার ফিরিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিমকে।
তৃতীয় দিন লড়াইয়েরই আভাশ দিয়েছেন মিঠুন-মুশফিক। কিন্তু তাদের লড়াই দীর্ঘ হলো না। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮৬ বলে ১৫ রান করা মিঠুন। মুশফিক অবশ্য উইকেট বিলিয়ে ফিরেছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান রিভার্স সুইপ শট খেলতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দেন। ৫৪ রান করে থামেনন তিনি।
ফলোঅন এড়ানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছেন লিটন কুমার দাস ও মেহেদ হাসান মিরাজ। লিটন ১৭ ও মিরাজ ১০ রানে অপরাজিত আছেন। ৫৮ ওভার শেষে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭৪ রান। ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের দরকার আরও ৩৬ রান।