রেসলিংয়ে ‘দ্য রক’ পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম
ডুয়াইন জনসন। হলিউডের অ্যাকশন অভিনেতা। তারও আগে বড় পরিচয়, তিনি ‘দ্য রক’খ্যাত সাবেক রেসলার। রেসলিংয়ের রিংয়ে যার ভয়ে থরথর কাঁপত প্রতিদ্বন্দ্বীরা। বড় পর্দায়ও একইভাবে কাঁপে খলনায়করা। ‘দ্য রক’ রেসলিং ছেড়ে হলিউডে ব্যস্ত হলেও এবার তার মেয়ে আসছেন রিং কাঁপাতে। পেশাদার রেসলার হিসেবে শিগগিরই দেখা যাবে ১৮ বছর বয়সী সিমন জনসনকে।
সোমবার ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডব্লিউডব্লিউই) নেটওয়ার্ক ঘোষণা দিয়েছে, বাবার মতোই সুপারস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে রেসলিংয়ের প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন সিমন। আমেরিকার ফ্লোরিডার অরলান্ডোতে অবস্থিত ডব্লিউডব্লিউই পারফরম্যান্স সেন্টারে তিনি নিয়মিত ঝরাচ্ছেন ঘাম। রেসলিং তার রক্তে। প্রপিতামহ, দাদা ও বাবা- এই তিন প্রজন্মের পর পেশাদার রেসলিংয়ে পরিবারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পেরে এই কিশোরী ভীষণ রোমাঞ্চিত। খবর সিএনএনের।
ডব্লিউডব্লিউই নেটওয়ার্কের ঘোষণার পরপরই ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি পোস্ট করে সিমন লিখেছেন, ‘‘যে বাচ্চা মেয়েটি একসময় রেসলিংয়ের প্রেমে পড়ে বলেছিল, ‘একদিন এটাই আমার জীবন হবে’, এই ছবি তার জন্য। আমি খুবই উচ্ছ্বসিত, কৃতজ্ঞ এবং কাজে নেমে পড়ার জন্য প্রস্তুত। চলো, কাজটা করে দেখানো যাক!’’
জবাবে, কোলের শিশু থেকে সিমনের কিশোরী হয়ে ওঠার নানা সময়ের ছবি দিয়ে একটি ভিডিও বানিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন তার মা ড্যানি গার্সিয়া। সেখানে লিখেছেন, ‘পারিবারিক উত্তরাধিকারই যেহেতু তোমার প্ল্যাটফর্ম হতে যাচ্ছে, সেখানে নিজের একটা স্বতন্ত্র ক্যারিয়ার তোমাকে গড়ে দেখাতেই হবে।’
সিমনের দাদা ‘সোল ম্যান’খ্যাত রকি জনসন ছিলেন ডব্লিউডব্লিউইর অন্যতম প্রবর্তক। এটির ইতিহাসের প্রথম দুজন আফ্রিকান-আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ট্যাগ চ্যাম্পিয়নের একজন তিনি। অবশ্য এই পরিবারে রেসলিংয়ের যাত্রা শুরু আরও আগে। ‘সোল ম্যান’-এর বাবা 'হাই চিফ’ পিটার মাইভার হাত ধরে।
সিমনকে নিয়ে ডব্লিউডব্লিউইর অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড কোচ সারা অ্যামাটো বেশ আশাবাদী। বলেছেন, ‘সে এক চমৎকার মেয়ে। ঠিক যেন স্পঞ্জের মতো। সে জানে রেসলিংয়ে সফল হতে চাইলে কতটা খাটতে এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।’
এখন অপেক্ষা, পরিবার ও ডব্লিউডব্লিউইর মুখ কতটা উজ্জ্বল করতে পারেন ‘দ্য রক'-এর কন্যা।