বয়স পঞ্চাশের কোঠায় এসেও কিভাবে নিজেকে ফিট রাখেন ডোয়াইন জনসন?
ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র জগত, প্রতিটি জায়গায়ই নিজেকে সফল প্রমাণিত করেছেন মার্কিন অভিনেতা-রেসলার ডোয়াইন জনসন। রেসলিং এর মঞ্চ থেকে এসে বাজিমাত করেছেন 'জুমানজি', 'বেওয়াচ', 'ব্ল্যাক অ্যাডাম'র মতো চলচ্চিত্রগুলোতে। কিন্তু একসঙ্গে এতকিছুতে কাজ করার জন্য নিজেকে ভীষণ ফিট রাখতে হয়েছে এই তারকাকে, মেনে চলতে হয়েছে কঠোর রুটিন। কিন্তু সেই রুটিনটা কী?
একজন পেশাদার কুস্তিগীর হওয়ার সুবাদে ডোয়াইন জনসনকে আগে থেকেই রুটিনমাফিক খাওয়াদাওয়া-ব্যায়াম করতে হয়েছে। কিন্তু ডোয়াইন জনসন নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। ২০০১ সালে মাসল অ্যান্ড ফিটনেস ম্যাগাজিন তাকে 'ম্যান অব দ্য সেঞ্চুরি' খেতাব দিয়েছিল। তার অভিনয়ের চরিত্রগুলোও ছিল দুর্দান্ত-দাপুটে চেহারার একজনের... যদিও সময়ের সাথে সাথে এই নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
তবে এই মুহূর্তে বয়স পঞ্চাশের কোঠায় এসেও সেই আগের মতোই আছেন ডোয়াইন জনসন। এখনো তিনি যেভাবে নিজের শরীরের যত্ন নেন তা হাতেগোনা কিছু লোকই পারে। আর এই স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অদ্ভুত কিছু নিয়ম মানতেও আপত্তি নেই 'জুমানজি' তারকার।
জানা গেছে, ডোয়াইন জনসন প্রতিদিন ৬০০০ ক্যালরি গ্রহণ করে থাকেন, দিনে খাবার খান ৬-৭ বেলা কিংবা তারও বেশি। গত ৫-১০ বছর যাবত এই রুটিনই মেনে চলছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা।
এমনকি রেস্টুরেন্টেও নিজের খাবার নিয়ে যান ডোয়াইন জনসন। তবে অভিনেতার খাদ্যাভাস সম্পর্কে আরও জানিয়েছেন 'ফ্লাইটিং উইথ মাই ফ্যামিলি'র পরিচালক স্টেফান মার্চেন্ট। সিরিয়াস এক্সএম স্টুডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমরা সিনেমাটা নিয়ে আলোচনা সভায় বসেছিলাম এবং তখন তার (ডোয়াইন জনসন) অ্যালার্ম বেজে উঠলো। সাথেসাথেই সে উঠে গিয়ে ফ্রিজ থেকে টার্কি এবং ভাতের প্লেট নিয়ে বসলো।" অর্থাৎ, নিজের ডায়েটের ব্যাপারে এতটাই কড়াকড়ি মেনে চলেন 'দ্য রক'!
মার্চেন্ট আরও জানান, বন্ধুদের সাথে ডিনারে গেলেও ডোয়াইন নিজের খাবার সাথে করে নিয়ে যান এবং রেস্টুরেন্টে গরম করে নেন। কারণ যতকিছুই হোক, 'দ্য রক' তার খাবারের নিয়মে ব্যত্যয় ঘটাবেন না।
সূত্র: মার্কা