রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল আফগান যুবারা
পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, প্রথম তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের দাপট। তাতে দুই ম্যাচ আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশ যুবাদের। কিন্তু এরপরই সব হিসেব পাল্টে গেল। 'মানকাড' কাণ্ডের চতুর্থ ম্যাচের পর শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশকে হারিয়ে দিল আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে আফগান যুবারা। এই জয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করলো সফরকারীরা। সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের আইচ মোল্লা।
২২ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটেই একটি চারদিনের ম্যাচ খেলবে দুই দল। ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরে ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশে রওনা দেবে আফগানিস্তান।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের হয়ে কেউ-ই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আফগান যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৭.৪ ওভারে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। এই রান নিয়ে বল হাতে লড়াই করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগান যুবারা।
শেষ দুই ওভারে আফগানিস্তানের দরকার ছিল ১০ রান। ৪৯তম ওভারে মাত্র ৩ রান ও একটি উইকেট নিয়ে আশা জিইয়ে রাখেন মুশফিক হাসান। শেষ ওভারে প্রয়োজন দাঁড়ায় ৭ রানের। আশিকুর রহমানের করা ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন ম্যাচ সেরা ইজহারুল হক নাভিদ। এক বল পর আরেকটি রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইসাক জাজাই। এ ছাড়া সুলিমান আরাবজাই ১৪, নাজিবুল্লাহ ১১, অধিনায়ক ইজাজ আহমেদ ৩২ ও নাভিদ অপরাজিত ২৯ রান করেন। বাংলাদেশের আশিকুর সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পান মুশফিক, নাঈমুর ও আইচ মোল্লা।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ পুরো ইনিংস ধরে ধুঁকেছে। সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া মাহফিজুল ইসলাম ১১, ইফতিখার হোসেন ২৬, তাহজিবুল ইসলাম ১৫, গোলাম কিবরিয়া ১৩ ও নাঈমুর রহমান ১৬ রান করেন। আফগান যুবাদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন বিলাল সামি ও নাঙ্গেইয়ালিয়া খারোতে। ২টি করে উইকেট পান নাফিদ ও শহিদুল্লাহ হাসানি।